ঢাকা,রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় বিচ্ছিন্ন ঘটনায় ভোট গ্রহন সম্পন্ন, উপজেলা আ’লীগের সা:সম্পাদক ও সাংবাদিকসহ আহত-৭

‍ুুুুুমো: ফারুক, পেকুয়া :::

কক্সবাজারের পেকুয়ায় বিচ্ছিন সংঘর্ষ আর পুলিশের গুলিতে শেষ হল ৭ ইউপি নির্বাচন। এ ঘটনায় উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাংবাদিকসহ ৭জন অঅহত হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংঘর্ষ ও গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটে সদর ইউনিয়নে। এ সময় সকাল ১০টায় সদর ইউপির ৫নং পেকুয়া জিএমসি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পুলিশের ব্যাপক পিঠুনীতে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম, তার ভাই আবুল হাশেম টুনু ও মো: এরফান, উপজেলা আ’লীগের সাবেক সাংগঠনিক আবুল শামা শামীম ও বিএনপি নেতা হেনাউল ইসলাম বাবুল গুরুতর আহত হয়েছে। এ সময় পুলিশের গুলিতে আ’লীগ আবুল কাশেমের ভাই মো: ইকবাল ও আওয়ামীলীগ কর্মী আবুল শামা গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তাদেরকে পেকুয়া সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করালে অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের দুজনকে চমেকে রেপার করে। তাছাড়াও আবুল শামা শামীম গুরুতর আহত অবস্থায় কক্সবাজার হাসপাতালে ও আ’লীগ সম্পাদক আবুল কাশেমকে আহত অবস্থায় থানায় আটকিয়ে রাখা হয়। ওই সময় আ’লীগ সম্পাদক আবুল কাশেম ও আবুল শামা শামীমের উপর পুলিশ ও র‌্যাবের ব্যাপক পিঠুনীর চিত্র ধারণ করতে গিয়ে সময় টিভির জেলা প্রতিনিধি সুজাউদ্দিন রুবেলও গুরুতর আহত হয়। এছাড়াও সদরের ৭নং উত্তর মেহেরনামা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ হলেও উল্টো উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমকে কেন্দ্রে থেকে উঠিয়ে নিয়ে আসে এবং গুলি বর্ষন করে নৌকার সমর্থকদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়। ৩নং মইয়াদিয়া সাইক্লোন সেন্টার কেন্দ্রে বিএনপির নেতাকর্মীরা ব্যালট ছিনতায় করার সময় পুলিশের সাথে বিএনপির গুলিবিনিময় হয়। ওই সময় উপজেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইউসুফ রুবেলকে আটক করে পুলিশ। এছাড়াও ২নং পূর্ব গোয়াখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রেও নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকদের ব্যাপক লাঠিচার্জ করে ১জনকে আটক করে।

ুুুািাএছাড়াও মগনামা, উজানটিয়া, রাজাখালী, শীলখালী, বারবাকিয়ায়, টইটং ইউনিয়নে বড় ধরনের বিশৃংখলা ছাড়াই ভোট গ্রহন শেষ হয়েছে।

সরোজমিন উপজেলার বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে পরিদর্শনে দেখা গেছে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত বিজিবি, পুলিশ, র‌্যাব, আনসার ব্যাটালিয়ান মোতায়ান করা হয়েছে। প্রত্যেকটি কেন্দ্রে তারা শর্তক অবস্থায় ছিল। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও সমর্থকরা অভিযোগ করেছেন প্রশাসনের সব কর্মকর্তারা ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীদের বিজয়ী করতে আওয়ামী সমর্থকদের ভয়ভীতি প্রদর্শন, গুলিবর্ষন ও লাঠিসার্জ করে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়। বিএনপি নেতাদের কাজ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে তারা এ কাজ করেছেন। অন্যদিকে প্রশাসনের দাবী আইন শৃংখলা রক্ষায় জিরো টলারেন্স দেখানো হয়েছে।

উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম জানান, বিএনপির পক্ষে গিয়ে প্রশাসন নীল নকশার নির্বাচন বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছেন। এরই ধারাবাকিতায় প্রশাসন আমি ও আমার ভাইসহ দলীয় নেতাকর্মীদের গুলি ও হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে। আমি প্রশাসনের উর্ধŸতম কর্তৃপক্ষের কাছে দোষী কর্মকর্তা ও কন্সেটেবলদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া দাবী জানাচ্ছি।

বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সদর ইউপিতে সংঘর্ষে তাদের নেতাকর্মীরা জড়িত নয়। অহেতুক আ’লীগ নেতাকর্মীরা বিএনপির ত্যাগি নেতা বাবুলসহ আরো কয়েকজনকে আহত করেছে।

এদিকে সর্বশেষ রিপোর্টে জানা গেছে, মগনামায় ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী শরাফত উল্লাহ ওয়াসিম, টইটংয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী, শীলখালীতের ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী নুরুল হোছাইন, বারবাকিয়ায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জিএম কাশেম, উজানটিয়ায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শহিদুল ইসলাম ফলাফলে এগিয়ে রয়েছেন।

পাঠকের মতামত: