ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় প্রধান মন্ত্রীকে নিয়ে চেয়ারম্যানের ঔদ্বত্ব্যপুর্ন বক্তব্য!

pic syeednur chairman pekua 18-06-16পেকুয়া প্রতিনিধি ::

পেকুয়ায় কমিউনিটি পুলিশিং সভায় ইউপির চেয়ারম্যান এবার প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ঔদ্বত্ব্যপুর্ন

মন্তব্য করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শনিবার (১৮জুন) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার রাজাখালীতে কমিউনিটি পুলিশিং সভা অনুষ্টিত হয়। ওই সভায় রাজাখালী ইউপির নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছৈয়দ নুর প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে প্রকাশ্যে এ ঔদ্বত্ব্যপুর্ন বক্তব্য রেখেছেন। এ সময় তিনি নিজেকে আ’লীগ প্রধান করতে গিয়ে বলেন আমি প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মানিনা।

 ১৯৭৬সাল থেকে আ’লীগ করি। বর্তমান আ’লীগকে আমি পছন্দ করিনা। ওই দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা তাকেও আমি মানিনা। রাজাখালীর বিষয়ে আমি যা বলি তা। প্রধান মন্ত্রী বললে আমাকে মানতে হবে এমন কোন কথা নেই। এয়ার আলী খান উচ্চ বিদ্যালয় হল কক্ষে ইউনিয়ন কমিউনিটি পুলিশিং সভা অনুষ্টিত হয়। চেয়ারম্যানের এহেন প্রকাশ্যে প্রধান মন্ত্রীকে নিয়ে আচরন উপস্থিত সভ্য বৃন্দরা মেনে নেননি।

 চেয়ারম্যানকে প্রধান মন্ত্রী প্রসঙ্গে মুখ বন্ধ করতে তাৎক্ষনিক অনুরোধ করেন উপজেলা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাষ্টার আজমগীর চৌধুরী। তিনি অনুরোধ করার পরও চেয়ারম্যান তার বক্তব্য থেকে প্রধান মন্ত্রীকে নিয়ে আলোচনা বাদ দেননি। এদিকে খোদ প্রধান মন্ত্রীকে নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের জ্ঞানহীন কান্ডে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা বিস্মিত হয়েছেন।

 সভায় চেয়ারম্যানের বক্তব্যের খবর জানাজানি হলে তুপের মুখে পড়েন রাজাখালী ইউপির থেকে স্বতন্ত্র ব্যানারে নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছৈয়দ নুর। আ’লীগ নেতৃবৃন্দরা ওই আচরনকে চেয়ারম্যানের শিষ্টচার বিবর্জিত ও কান্ডজ্ঞানহীন হিসেবে অবহিত করেছেন। কমিউনিটি পুলিশিং সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন পেকুয়া থানার ওসি জিয়া মো.মোস্তাফিজ ভুঁইয়া। এ সময় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, শিক্ষক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা পুলিশিং সভায় বক্তব্য দেন।

 রাজাখালী ইউনিয়ন আ’লীগ সাধারন সম্পাদক আবুল কাসেম আযাদ জানায় চেয়ারম্যান কি বলতে কি বলেছে নিজেও জানেনা। প্রধান মন্ত্রীকে নিয়ে কথা না বলতে আজমগীর স্যার তাকে নিষেধ করেছেন। হাউজে আমিও ছিলাম। মেম্বারাও ছিল। জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের অহংকার। তাকে নিয়ে অযাথা মাতামাতি আমরা সহ্য করবনা।

 উপজেলা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাষ্টার আজমগীর চৌধুরী জানায় আসলে চেয়ারম্যান আবেগপ্রবন হয়েছিল। এ ধরনের বক্তব্যে জটিলতা সৃষ্টি হবে সেটি তার মাথায় নেই। আসলে আ’লীগ করে। তাই বলে আবদারের সহিত এসব বক্তৃতায় বলেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ইউপি সদস্য জানান এখানে প্রধান মন্ত্রীকে নিয়ে সমালোচনার প্রশ্ন আসেনা। চেয়ারম্যান অশিক্ষিত লোক। কথার মারপ্যাচ বুঝেনা।

 রাজাখালী ইউপির চেয়ারম্যান ছৈয়দ নুর জানায় আমি বলেছি যারা দেশ স্বাধীন করেছেন আমি তাদেরকে নেতা মানি। প্রধান মন্ত্রীকে নিয়ে কোন ধরনের কথা বলেনি। রাজাখালীতে সকল দলের চেয়ারম্যান আমি। এখানে আ’লীগ অন্যায় করলে তাদেরকেও ছাড় দেয়া হবেনা। কিছু মানুষ আমাকে নিয়ে এসব বাড়াবাড়ি করছে।

পাঠকের মতামত: