নাজিম উদ্দিন,পেকুয়া:
পেকুয়ায় পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় পরীক্ষার্থীসহ একইদিনে অন্তত ৭ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময় দুটি গাড়ী জব্দ করেছেন পেকুয়া থানা পুলিশ। পেকুয়ায় সড়ক দূর্ঘটনা আশংকাজনক হারে বেড়ে গেছে। সড়ক যেন মৃত্যু ফাঁদ। গত ২ দিনের ব্যবধানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতসহ হতাহত হয়েছে অন্তত ২০ জনের অধিক। এদের মধ্যে অনেকেই মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন হাসপাতাল শয্যায়। অনেকের পায়ে অস্ত্রোপাচার হয়েছে। চিরতরে পঙ্গুত্ব বরন করছেন অনেকে। গতকাল ১৪ নভেম্বর পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৭ জন জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার্থী আহত হয়েছেন। একইদিনে ওই দিন তিনটি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে পেকুয়ায়। উপজেলার সদর ইউনিয়নের তেলিয়াকাটা নামক স্থানে টমটম দুর্ঘটনায় শিলখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। একইভাবে সদর ইউনিয়নের কলেজ গেইট চৌমুহনী জিএমসি ইনষ্টিটিউশান সংলগ্ন স্থানে এবিসি সড়কে সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে। এ সময় মেহেরনামা আলমাছিয়া দাখিল মাদ্রাসার ছাত্রী জেডিসি পরীক্ষার্থী আখিঁ মনি, জন্নাতুল ফেরদৌসসহ ৩ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। ওই দিন সকালে টইটং ইউনিয়নের ধনিয়াকাটা বাজারে এবিসি সড়কে দুর্ঘটনা হয়েছে। এ সময় জিএমসি ইনষ্টিটিউশানের ৬ষ্ট শ্রেনীর ছাত্রী তাহমিনা জান্নাত আহত হয়েছে। সকালে আবদুল্লাহপাড়া নিজ বাড়ি থেকে প্রাইভেট পড়তে যাচ্ছিলেন। এ সময় গাড়ীর জন্য সড়কে অপেক্ষা করছিল। পিছন দিক থেকে একটি দ্রুতগামী সিএনজি তাকে ধাক্কা দেয়। এ সময় ওই ছাত্রী গুরুতর আহত হন। তাহমিনা জান্নাত টইটং ইউনিয়নের আবদুল্লাহপাড়া এলাকার নাজেম উদ্দিনের মেয়ে। ওই দিন দুপুর ১ টার দিকে জেএসসি পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফিরছিলেন শিক্ষার্থীরা। তারা একটি টমটম যোগে জিএমসি ইনষ্টিটিউশান কেন্দ্র থেকে শিলখালী ইউনিয়নে বাড়িতে ফিরছিলেন। এ সময় মগনামা-বানিয়ারছড়া সড়কের বারবাকিয়া রাস্তার মাথায় দুর্ঘটনা হয়েছে। বিপরীত দিক থেকে আসা একটি সিএনজি ও টমটম মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় শিলখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও পেঠানমাতবর পাড়া এলাকার আক্তার আহমদের মেয়ে শামীমা নাসরিন একা, আবদুস সোবাহানের মেয়ে রেশমা জন্নাত পপি ও আবদুল মালিকের মেয়ে সাদেকা জান্নাত মুন্নি আহত হয়েছে। জিএমসির সামনে ম্যাজিক ও টমটম মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় ম্যাজিক ও টমটম জব্দ করা হয়েছে। খবর পেয়ে শিলখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ ইব্রাহীম, সহকারী শিক্ষক জাহেদ উল্লাহ, আলমাছিয়া মাদ্রাসার সুপার মাওলানা ছগির আহমদ, সহকারী শিক্ষক মাওলানা শফিকুর রহমান হাসপাতালে ছুটে যান। তারা আহতদের চিকিৎসার বিষয়ে খোঁজ খবর নেন। এ ব্যাপারে পেকুয়া উপজেলা মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি ও শিলখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মোহাম্মদ জাহেদ উল্লাহ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, সড়ক অনিরাপদ হয়েছে। প্রাণহানি ঘটছে। গত কয়েকদিনের ব্যবধানে কয়েকজন শিক্ষার্থী সহ প্রাণ গেছে আরো কয়েক জনের। আমরা দুর্ঘটনা রোধ করতে চাই। প্রয়োজনে গণসচেতনতা সৃষ্টির জন্য রাজপথেও নামতে হবে। আহবান করছি নিরাপদ সড়ক দাবীতে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হই।
#############
পেকুয়ায় জমির ফসল লুট
পেকুয়া প্রতিনিধি:
পেকুয়ায় বিরোধপূর্ণ ৪০ শতক জমির পাকা আমন ফসল লুট করেছে দুবৃর্ত্তরা। এ সময় ভাড়াটে সন্ত্রাসী ও বহিরাগত লোকজন জড়ো করে তারা। এলাকায় ভীতি ও আতংক ছড়িয়ে জমির এ সব ফসল লুট করে তারা। ঘটনার জের ধরে উপজেলার সদর ইউনিয়নের পশ্চিম গোয়াখালী ফতেহ আলী মাতবরবাড়ীর দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পেকুয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। বিষয়টি নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত দু’পক্ষকে শান্তি ভঙ্গ থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। গতকাল ১৪ নভেম্বর সকাল ৯ টার দিকে ফসল লুটের এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, পেকুয়া মৌজার বিএস খতিয়ান ৭৪৯ এর ৪০ শতক জমি নিয়ে মৃত দলিলুর রহমান চৌধুরীর ছেলে নুরুল হায়দার চৌধুরী ও নুরুল মোস্তফা চৌধুরীর মধ্যে বিরোধ চলছিল। জমি নুরুল হায়দার চৌধুরী ভোগ করছিলেন। দীর্ঘদিন তিনি ভোগ দখলে আছেন। চলতি মৌসুমে নুরুল হায়দার চৌধুরী জমিতে আমন ফসল ফলান। বর্তমান সময়ে ফসল কাটার মৌসুমে ওইদিন সকালে তার ভাই নুরুল মোস্তফা চৌধুরী ও ভাতিজা মোহাম্মদ রোমান ফসল লুট করে নিয়ে যায়। তারা ভাড়াটে লোকজন জড়ো করে জমির পাকা ফসল লুট করে। পেকুয়া থানায় এ বিষয়ে অভিযোগ ছিল। অপরপক্ষ জমির কোন কাগজপত্র দেখাতে সক্ষম হননি। পুলিশ জমিতে প্রবেশ না করতে নুরুল মোস্তফা গংকে বারন করছিলেন। পেকুয়া থানার এস,আই শিমুল বড়–য়া জানায়, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সন্ধ্যার দিকে উভয়পক্ষকে থানায় হাজির থাকতে বলা হয়েছে।
পাঠকের মতামত: