সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ::
পেকুয়ায় টইটং ইউপির চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরীকে বহিষ্কার যৌক্তিক ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। ত্রাণের চাল লোপাট, কালোবাজারে বিক্রি অতঃপর জাহেদুল ইসলাম চৌধুরীকে চেয়ারম্যান পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত ও দলীয় সাধারন সম্পাদক পদ থেকে তাকে জেলা আ’লীগ বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এ সংক্রান্ত প্রতিক্রিয়ায় জেলা আ’লীগ সদস্য বর্ষিয়ান নেতা মোহাম্মদ হোছাইন বিএ বলেন, জেলা আ’লীগ সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে। এটি রাজনৈতিক দল আ’লীগের যৌক্তিক ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। চোরের কোন দল নেই। দলীয় পরিচয় দেয়ার অধিকারও কোন অপকর্মকারী ও দুর্ণীতিবাজের নেই।
তিনি বলেন, জেলা আ’লীগ যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমরা ওই সিদ্ধান্তকে সর্বাত্মক সমর্থন জানিয়েছি। রাজনৈতিক দল আ’লীগের মূল নীতি ও আদর্শ হচ্ছে মানুষের অধিকার প্রতিষ্টিত করা। সাগরপাড়ের সূর্যসন্তান জেলা আ’লীগ সাধারন সম্পাদক ও কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র সংগ্রামী জননেতা মুজিবুর রহমানকে আমি অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
এমন পরিস্থিতিতে তিনি প্রথমে তড়িত সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। পরবর্তীতে জেলা আ’লীগের সভাপতি এড. সিরাজুল মোস্তফাসহ সমস্ত জেলা আ’লীগ একই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন।
জাহেদুল ইসলাম চৌধুরীকে নিয়ে পেকুয়ায় যে অচলাবস্থা তৈরী হয়েছে সেটি অবসান হয়েছে। আমি আহবান করছি এ ধরনের অপকর্মকারীদের বিরুদ্ধে আ’লীগের এ্যাকশান অব্যাহত থাকুক।
টইটংয়ের চেয়ারম্যান হিসেবে জাহেদুল ইসলাম দলকে যে ভাবে কলংকিত করেছে এর অবসান ঘটাতে হবে। বহিস্কার নিয়ে নানান ধরনের বক্তব্য পাওয়া গেছে। একটি পক্ষ দুর্ণীতিবাজকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। তারা দলীয় এ সিদ্ধান্তকে প্রশ্নবিদ্ধ করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
আমি রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে বলতে চাই, আ’লীগে দুর্ণীতিবাজের স্থান নেই, ভবিষ্যতেও থাকবে না। চালচুরির পক্ষে যারা সাফাই করছেন চোরকে যারা সহযোগিতা করছেন আমি আহবান করছি ওই চক্রকেও খোঁজে বের করতে হবে। কারা জাহেদ চেয়ারম্যানকে সহযোগিতা করছে এদেরকে চিহ্নিত করুন। আইনের আওতায় এনে তার সহযোগিদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে।
আ.লীগ নেতা মোহাম্মদ হোছাইন বলেন, সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা প্রশাসনযন্ত্রসহ রাষ্ট্রব্যবস্থাকে অনুরোধ করছি চাল চুরির বিষয়ে অধিক তদন্ত জড়িত ব্যক্তি ও সহযোগীদেরও আইনের আওতায় নিয়ে আসুন।
আমরা রাজনীতি করছি নি:স্বার্থভাবে। নিষ্টা, আদর্শ ও সততা, ন্যায় নীতি না থাকলে আ’লীগের নেতা ও কর্মী হওয়া যায় না।
আমি মোহাম্মদ হোছাইন বিএ সবার জ্ঞাতার্থে বলছি, পেকুয়ায় সরকারী ত্রাণ লোপাটের দায় রাজনৈতিক দল আ’লীগ নিবেনা। ব্যক্তির একক অপরাধ দল নিবে কেন। জননেত্রী শেখ হাসিনা মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকারের জন্য সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। কিছু অসাধু চক্র তার এ অর্জন ম্লান করবে। আমরা কিছুতেই হতে দেবনা। বঙ্গবন্ধুর সংগ্রাম ছিল বৈষম্য ও দুর্ণীতির বিরুদ্ধে। শোষকের বিপক্ষে নিপীড়িত ও বঞ্চিত মানুষের পক্ষে সংগ্রাম ছিল আ’লীগের অভীষ্ট লক্ষ্য। আমরা এ দলের কর্মী। ত্যাগ ও আদর্শ আছে। আ’লীগের বদনাম হবে সেখানে গঠনতন্ত্র বিধি ও উপবিধির প্রয়োজন পড়ে না। পরবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতিতে সংকটময় মুহুর্তে মানুষের ত্রাণ লোপাট করবে ওই ব্যক্তি শেখ হাসিনার কর্মী হওয়ার অধিকার রাখে না। যারা করেছিল নেত্রী এদেরকে দ্রুত দল থেকে বহিস্কার করেছে। আমরাও পেকুয়ার ক্ষেত্রে একই নিয়মে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
মেয়র মুজিবুর রহমান আ’লীগের সাহসি ঠিকানা। আমরা তিনিসহ কক্সবাজার জেলা আ’লীগকে এ সিদ্ধান্তকে দৃষ্টান্ত হিসেবে অবহিত করছি। কোন ব্যক্তি ভবিষ্যতে এ ধরনের করলে এর চুড়ান্ত শিক্ষা হচ্ছে এটি।
জনাব হোছাইন আরো বলেন, আমি ২২ বছর কক্সবাজার পৌর আ’লীগের সাধারন সম্পাদক ছিলাম। জেলা আ’লীগের দীর্ঘদিন সাংগঠনিক সম্পাদকও ছিলাম। বর্তমানে জেলা আ’লীগের সদস্য। আমরা রাজনীতি করেছি মানুষের জন্য। ভোগ বিলাসের জন্য করি নি। দল থেকে নেওয়ার জন্য রাজনীতি নয়, দলকে দিতে শিখেছি। বঙ্গবন্ধুর প্রত্যেকটি কর্মী ত্যাগ ও আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করে। ব্যক্তির চেয়ে দল বড়। দলের চেয়ে দেশ বড়। বিধি গঠনতন্ত্র উপবিধি নিয়ে তর্ক করা দুর্ণীতিবাজকে প্রশ্রয় দেয়া বলে মনে করি।
পাঠকের মতামত: