ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় উপ-ভাড়ায় চলছে মহিলা মার্কেট

pekua,,পেকুয়া প্রতিনিধি :::

পেকুয়ায় উপ-ভাড়ায় চলছে মহিলা মার্কেটের কার্যক্রম। সরকার বিকিকিনিতে মহিলা উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের অন্যতম বানিজ্যিক কেন্দ্র সওদারগর হাটে নির্মান করেন মহিলা মার্কেট। গত ২০০৯সাল থেকে মহিলা মার্কেটের মাধ্যমে সওদারগর হাটে শুভা পেয়েছে কেনাকাটা। উপজেলার একমাত্র মহিলাদের জন্য ওই মার্কেটটি নির্মান করে। ওই সময় ৫টি দোকান ৫জন মহিলা উদ্যোক্তাদের বরাদ্ধ দেয়। স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর (এলজিইডির) মালিকানাধীন ওই মহিলাদের জন্য বরাদ্ধ দিলেও সওদাতে নেই কোন মহিলা ব্যবসায়ী। সরকারের নীতিমালা উপেক্ষা করে মার্কেটের সব দোকানগুলোর ব্যবসায়ীরা হচ্ছেন পুরুষ। এলজিইডির মালিকানাধীন বারবাকিয়া বাজারের মহিলা মার্কেট দোকানগুলো বর্তমানে চলছে উপ-ভাড়ায়। কাগজে কলমে মহিলা মার্কেট হলেও বাস্তবে তা নেই। অপরদিকে মার্কেটের ৫টি দোকান উপকারভোগিরা উপ-ভাড়ায় অন্যদের নিকট মালিকানা হস্তান্তর করেছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নীতিমালা উপেক্ষা করে বরাদ্ধ প্রাপ্তরা সব দোকান মোটা অংকের টাকা নিয়ে অন্যদের কাছে ভাড়া দেয়। ননজুডিসিয়াল ষ্ট্যাম্পের মাধ্যমে নিজেদের দখল হস্তান্তর করেছেন অন্যদের নিকট। এদিকে মহিলা মার্কেটে উপ-ভাড়া নিয়োগ হওয়ায় ক্ষোভ ও অসন্তোষ পরিলক্ষিত হয়েছে বারবাকিয়া বাজারে। বাজার পরিচালনা কমিটি ও ব্যবসায়ীরা এর বাতিল চেয়ে জেলা প্রশাসক কক্সবাজার বরাবর গত ২৩অক্টোবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন। বিষয়টি আমল নিয়ে জেলা প্রশাসক এর কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালককে নির্দেশনা দেন। বিষয়টির আইনি পদক্ষেপ নিতে ইউএনও পেকুয়াকে অবহিত করেছেন স্থানীয় সরকার শাখার কক্সবাজারের উপ-পরিচালক। পেকুয়ার ইউএনও মারুফুর রশিদ খান এর অগ্রগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রকৌশলী এলজিইডি পেকুয়াকে দায়িত্বভার ন্যস্ত করেন। এদিকে এলজিইডি পেকুয়ার পক্ষ থেকে গতকাল শুক্রবার একটি প্রতিনিধি টিম মহিলা মার্কেট সরেজমিন পরিদর্শনে যান। কমিউনিটি অর্গনাইজার মো.গিয়াস উদ্দিন ও হিসাব রক্ষক মো.আব্দুর রাজ্জাক মিয়া জানায় উর্ধ্বতন মহলের নির্দেশ পেয়ে আমরা তদন্ত করতে যায়। ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলেছি। তারা এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। আমরা মার্কেটের দোকানগুলো বরাদ্ধ দিয়েছিলাম নাছিমা আক্তার, ফরিদা বেগম, পারুল বালা নাথ, মিচিং মং রাখাইন ও রতœা ধরকে। নাছিমার দোকান ভাড়া দেয় মো.আলমকে, ফরিদা বেগমের দোকান ভাড়া দেয় ইমাম হোসাইন রিয়াদকে, পারুল বালা নাথের দোকানটি ভোগ করছে সমির কান্তি শীল, মিচিং মং রাখাইনের দোকান উপ-ভাড়া দিয়েছে কামাল খলিফাকে। রতœা ধরের দোকানটি করছে বাঁশখালী জলদি এলাকার রতন ধর। আমাদের শর্ত লঙ্গন করা হয়েছে। অবশ্যই বিষয়টি আমরা উর্ধ্বতন মহলকে প্রতিবেদনের মাধ্যমে অবহিত করব।

পাঠকের মতামত: