পেকুয়া প্রতিনিধি :
পেকুয়ায় ক্ষমতাসীন দলের দু’গ্রুপের উত্তপ্ত পরিস্থিতি থামাতে পেকুয়া থানা পুলিশ দিনভর রাস্তায় অবস্থান করে। তথ্য সুত্রে জানা যায়, মগনামার সাবেক চেয়ারম্যান ইউনুছের উপর হামলার ঘটনায় পেকুয়া থানায় পর পর দুটি মামলা রেকর্ড করা হয়। ওই দুটি মামলায় মগনামার বর্তমান চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ ওয়াসিমকে প্রধান করে মামলায় ৫৭ জনকে আসামী করা হয়। মামলায় প্রায় ১৪ জনকে আ’লীগ ও যুবলীগের কর্মী-সমর্থককে আসামী করা হয়েছে বলে উপজেলা আ’লীগ ও যুবলীগ অভিযোগ তুলে।
এ দিকে গত ১৬ জানুয়ারী ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের মামলায় জড়ানো ও তাদেরকে মিথ্যা মামলা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য উপজেলা যুবলীগের সেক্রেটারী মোহাম্মদ বারেকের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার বিকালে পেকুয়া বাজারে বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসুচী ঘোষনা করে। অপরদিকে একই তারিখ একই সময়ে একই জায়গায় যুবলীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে অন্য একটি গ্রুপ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের ঘোষনা করে।
এ দিকে উভয়পক্ষ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের ঘোষনা করায় পেকুয়া থানা পুলিশের ঘুম হারাম হয়ে যায়। পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ জহিরুল ইসলাম খান নিজেই গতকাল বুধবার থেকে ওই কর্মসুচী না করার জন্য ব্যক্তিগতভাবে উভয়পক্ষকে নিষেধ করে। যেহেতেু উভয় গ্রুপ ক্ষমতাসীন দলের তারা পেকুয়া থানা পুুলিশের নির্দেশ মানতে বাধ্য হয়। শেষ পর্যন্ত উভয়পক্ষ পরিস্থিতি শান্ত রাখতে মাঠে বিক্ষোভ মিছিল করা থেকে বিরত রাখে।
এ দিকে পেকুয়া থানা পুলিশ যে কোন উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবেলায় পেকুয়া চৌমুহনী ও পেকুয়া বাজারে অবস্থান করে। পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক মনজুর কাদের মজুমদারের নেতৃত্বে একটি গ্রুপ পেকুয়া চৌমুহহনীতে ও পেকুয়া থানার ওসি জহিরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে একটি গ্রুপ পেকুয়া বাজারে টহল জোরদার রাখে।
এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক মনজুর কাদের মজুমদার জানায়, যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় পুলিশ হার্ডলাইনে অবস্থান করছে। সে কারনে পুলিশ রাস্তায় টহল জোরদার অব্যাহত রাখছে। তিনি আরো জানায়, পেকুয়ায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি মোকাবেলায় ৪০ জন আর্মড পুলিশ ব্যাটেলিয়ান অবস্থান করছে। পেকুয়া টাউনে ২০ জন ও মগনামাতে ২০ জন পুলিশ অবস্থান করছে।
পাঠকের মতামত: