নিজস্ব প্রতিনিধি. পেকুয়া:
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা আইন শৃংঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১১ ডিসেম্বর সকাল ১০ টায় উপজেলা সম্মেলন কক্ষে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সালমা ফেরদৌসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ রাজু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লুৎফা হায়দার রণি, জেলা পরিষদ সদস্য ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক জহিরুল ইসলাম খাঁন, জেলা আ’লীগের উপদেষ্টা এডভোকেট কামাল হোছাইন, জেলা আ;লীগের সদস্য উম্মে কুলছুম মিনু, এস এম গিয়াস উদ্দিন, উপজেলা আ’লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বখতিয়ার উদ্দিন, উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি এস এম মাহাবুব ছিদ্দিকী, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচ ও ডা: মজিবুর রহমান, বারবাকিয়া ইউপির চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মাও.বদিউল আলম, শীলখালী ইউপির চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম, টইটং ইউপির চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌং, মগনামা ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম এমইউপি, পেকুয়া জি এম সি ইনষ্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক জহির উদ্দিন, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ সভাপতি এস এম শাহাদত। এসময় উপস্থিত ছিলেন সরকারী বেসরকারী বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও সাংবাদিকবৃন্দ।
সভায় বক্তারা ওসির প্রতি ক্ষুদ্ধ হয়ে বলেন পেকুয়া থানা প্রশাসন যদি একটু কঠোর হয় তাহলে পেকুয়া থেকে ইয়াবা নামে শব্দটি মুছে যাবে। পেকুয়ায় ইয়াবা ব্যবসা ও বিক্রয়ের মাত্রা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তা থেকে আমরা পরিত্রাণ পেতে চায়। ইয়াবার গডফাদারদেরকে ধরতে হবে চুনে-পুটি ব্যবসায়ীদের নয়। বর্তমানে পেকুয়ার আনাচে কানাচে ইয়াবা ছড়িয়ে গেছে হাতবাড়ালে পাওয়া যাচ্ছে। এসব ইয়াবার চালান যায় কোন পথে সেটি চিহ্ণিত করুন এবং কারা এর সাথে জড়িত তাদেরকে আটক করুন। তাহলে ইয়াবা বন্ধ হবে। পুলিশ প্রশাসনের ৫০ গজের মধ্যে চৌমুহনী এলাকায় তালা কেটে দোকান চুরি করার ঘটনার উদ্বেগ প্রকাশ করেন বক্তারা। ইতিমধ্যে পেকুয়া বাজার এবং চৌমুহনী এলাকায় একটি বড় ধরণের দূঘর্টনা হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে যেহারে এ এলাকা সমূহে যানযট বৃদ্ধি পেয়েছে। তা অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে যানযট নিরসনের উদ্যোগ নিন। এমনকি এসব এলাকায় রাস্তার উপর সি এন জি এবং টম টম গাড়ী পাকিং করে যানযট সৃষ্টি করছে। চৌমুহনী এলাকায় চৌ রাস্তায় স্পীট ব্যাকার দেওয়ার দাবী করেন। আগামী ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করার জন্য সকলকে প্রস্তুতি নিতে হবে। ওসির বক্তব্য বলেন পেকুয়ার আইনশৃংখলা সন্তোষজনক ছোটখাট দু একটি ঘটনা ছাড়া কোন ধরণের বড় ঘটনা হচ্ছে না। তবে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের ধরতে পুলিশ জিরো ট্রলারেন্স ঘোষনা করেছে। যেখানে বাল্য বিবাহ এবং নারী নির্যাতিত হচ্ছে ও শান্তিপূর্ণ খেলাধুলা হলে পুলিশের সহযোগিতার প্রয়োজন হলে আমাকে ফোন করুন। উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য জাহাঙ্গীর আলম এবং জেলা আ’লীগের সদস্য এস এম গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্বে যে বিজয় মেলা করতে যাচ্ছে তা নিয়ে জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপার স্থানীয় প্রশাসনের প্রতিবেদন চেয়েছেন তার উপর ভিত্তি করে আমি ১৭টি বাধ্যতামূলক মানার শর্ত দিয়ে একটি প্রতিবেদন দিয়েছি। এসব শর্ত মানলে আজীবন বিজয় মেলা করতে আর কোন ধরণের বাধা রহিল না।
উপজেলা চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ রাজু বলেছেন পেকুয়ায় বেশকয়েকটি আশ্রয় কেন্দ্র নিমার্ণ কাজ শুরু হয়েছে এসব ভবন করতে কোন ধরণের ব্যাঘাত যাতে না ঘটে তার জন্য প্রশাসনকে নজর দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সালমা ফেরদৌস বলেন পেকুয়া কাটাফাটি এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের মালিকানাধীন ওই এলাকার চর দখল করে কিছু প্রভাবশালী লোকজন টাকা নিয়ে গরীব অসহায় লোকদের ভিটেবাড়ী করে দেয়। কয়েকদিন আগে সরকারী জায়গা থেকে উচ্ছেদ করতে পরিমাপ দিয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে উচ্ছেদ করে সরকারী জায়গা দখল মুক্ত করি। পেকুয়ায় দিন দিন শিশুশ্রম দেখা দিয়েছে তাদেরকে বিদ্যালয়মূখী করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
পাঠকের মতামত: