ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় ইউনিয়ন ভুমি অফিসে রের্কড় বহিতে ঘষামাঝা করল এমএলএস

পেকুয়া প্রতিনিধি ::

পেকুয়ায় এবার সংবাদকর্মীর জায়গা দখলে নিতে তৎপর হয়েছে একটি প্রতারক চক্র। ওই চক্রের সাথে লাখ টাকার মিশনে যুক্ত হয়েছে পেকুয়ার ইউনিয়ন ভুমি অফিস। ওই অফিসের এমএলএস শাহানা বেগম সাংবাদিক পরিবারের জায়গা প্রতিপক্ষকে পাইয়ে দিতে দুর্ধান্ত প্রতারনার আশ্রয় নেয়। বিরোধপুর্ন জমির আধিপত্য নিতে শক্তিশালী ওই পক্ষ ঢাল হিসেবে পেয়েছে শাহানাকে। ওই নারী টাকার বিনিময়ে সাংবাদিক পরিবারের বিরুদ্ধে সরাসরি অবস্থান নেয়। এমনকি ইউনিয়ন ভুমি অফিসের রের্কড় বহিতে ঘষামাঝা করতেও দ্বিধাবোধ করেননি। পেকুয়া সদর ইউনিয়ন ভুমি অফিসে রের্কড় বহিতে ঘষামাঝা নিয়ে তুলকলাম কান্ড হয়েছে। ভলিয়মে জায়গার অংশ রের্কড় হয়েছে। জায়গার পরিমান বাড়াতে এমএলএস শাহানা শামিলে নামজারী রের্কড় বহিতে ঘষামাঝা করেছে। পুর্বের রের্কড়ীয় সংখ্যাকে কয়েকগুনে রুপান্তরিত করতে শুন্যের জায়গায় বসানো হয়েছে ঘষামাঝা করে সংখ্যায় এক। লাল কালি দিয়ে ঘষামাঝা করার এ দৃষ্টি প্রত্যক্ষদর্শীরা দেখতে পান। এ সময় তুলকলাম কান্ড হয় তার সাথে। বিষয়টি ভুক্তভোগিকে তহশিল অফিস থেকে জানিয়ে দেয়া হয়। খবর পেয়ে পেকুয়ার কর্মরত সংবাদকর্মী মুহাম্মদ হাসেমসহ ৩জন সংবাদকর্মী ভুমি অফিসে যান। বিষয়টি নিয়ে ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা (তহশিলদার) রফিকুল ইসলামকে অবহিত করা হয়। তিনি অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ওই নথি তলব করে। এ সময় ঘষামাঝার বিষয়টি সত্যতা পান। এক পর্যায়ে তিনি ঘষামাঝার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে এর পেছনে কে দায়ী সেটি বের করার প্রতিশ্রুতি দেন। সরকারি রের্কড় বহিতে এমন ঘটনায় তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন। সাংবাদিকদের জানায় এ বিষয়ে আমার দৃষ্টি গোচর হয়েছে। এমন গর্হিত কাজ কখনো ক্ষমাযোগ্য নয়। জানা গেছে সাড়ে সাত শতক জমি নিয়ে মগনামায় রশিদ আহমদ কোম্পানি গং ও দৈনিক সাঙ্গু ও দৈনিক কক্সবাজার পত্রিকার পেকুয়া প্রতিনিধি সাংবাদিক মুহাম্মদ হাসেম গংদের বিরোধ দেখা দেয়। রশিদ আহমদ ২শতক জমি ক্রয় করে সাংবাদিক পিতা আব্দুল মাবুদ থেকে। ১৯৯১-৯২সালে সেটি শামিলে রের্কড় হয়। যার মামলা নং-২৮ (১)। ১৯৪ খতিয়ান থেকে আগত এ অংশ খরিদা মালিক রশিদ আহমদের নামে ২শতক নামজারী হয়। যা ইউনিয়ন ভুমি অফিসে রের্কড় বহিতে সৃজিত। এদিকে সাড়ে ৭শতক জমি মুহাম্মদ হাসেম গং জমাভাগ খতিয়ান সৃজন করে। যার নং-৩৩৯১। বিএস ১৯৪ নং খতিয়ানের ১৯শতক জায়গার রের্কড়ীয় মালিক আব্দুল মাবুদ ও ওমেদা খাতুন। তারা দু’জন সমান অংশের মালিক। সুত্র জানায় ওমেদা খাতুনের অংশ খরিদ করে আহমদ কবির গং। অপরদিকে ২শতক আব্দুল মাবুদ থেকে ক্রয় করে রশিদ আহমদ। অপর সাড়ে ৭শতক জায়গায় বসতবাড়ি হাসেম গংদের। সম্প্রতি ওই সাড়ে ৭শতক জায়গা জবর-দখলে নিতে রশিদ আহমদের পক্ষে ভাড়াটে হিসেবে মরিয়া হয়েছে জামাত নেতা আহমদ কবির কবির আহমদ গং। তারা গত কয়েকদিন জায়গা দখলে নিতে বসতবাড়িতে হানা দেয়। এ সময় হামলায় সাংবাদিক পরিবারের স্কুল ছাত্র ও মহিলাসহ ৯জন গুরুতর আহত হন। জামাত নেতা আহমদ কবির ভাড়াটে লোকজন নিয়ে এ জমি দখলের চেষ্টা করছে। এদিকে একই জায়গায় দু’টি জমাভাগ খতিয়ান সৃজিত হয়েছে। জানা গেছে ১ম খতিয়ান সৃজিত হয় হাসেম গংদের। এর কিছুদিন পর খতিয়ান সৃজন করে অপরপক্ষ। এ খতিয়ানে জায়গা আছে ২শতক। তবে সেটিকে কার্যকর করতে ভুমি অফিস গোপনে আতাঁত করে। ২শতক জায়গায় রের্কড়ীয় অংশ ঘষামাঝা করে ১২শতক করতে তারা তৎপর। এমএলএস শাহানাকে দিয়ে এ কাজ করেছেন রশিদ আহমদ গং। সাংবাদিক মুহাম্মদ হাসেম জানায় জায়গার বিরোধ রশিদ আহমদ ও আমাদের মধ্যে। কিন্তু হয়রানি ও হামলা করছে আহমদ কবির গং। তারা উপজেলা ভুমি অফিসে আমাদের খতিয়ানের বিরুদ্ধে আপত্তি দেয়। কানুনগো ও সার্ভেয়ার সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন। লোকজন ষ্পষ্ট বলেছেন যেখানে আমাদের বসতবাড়ি রয়েছে সেটি আমার বাবার অংশ। আহমদ কবিরের জায়গা আমাদের দখলে নেই। ওমেদা খাতুনের অংশ পশ্চিম দিকে। আর আমাদের অংশ পুর্ব দিকে। সেটি স্থানীয়রা তাদেরকে জানিয়েছেন। এমএলএস শাহেনা বেগম জানায় আসলে এটি সাংবাদিকে বিষয় আমি সেটি জানতাম না। না হয় পরবর্তী খতিয়ানে সহযোগিতা না করতাম। ঘষামাঝা আমি করিনি। কারা করছে জানিনা। পেকুয়া সদর ইউনিয়ন তহশিলদার রফিকুল আলম জানায় ঘষামাঝা হয়েছে। আপনাদের অভিযোগ পেয়েছি। এটি অত্যন্ত গুরুত্বেও সাথে দেখা হচ্ছে। তবে এ মামলাটি অন্য জায়গায় থাকতে পারে। সেখানে কি আছে সেটি ষ্পষ্ট করতে হবে।

#####

সাগরে মাছ ধরার ট্রলারে ডাকাতি, আহত-২

পেকুয়া প্রতিনিধি:

পেকুয়ায় রাজাখালী ইউনিয়নের সুন্দরীপাড়া মোস্তাক আহমদের মালিকানাধীন ১ টি ফিশিং বোটে ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। গত শুক্রবার রাতে গভীর সাগরে এ ঘটনা ঘটে। এফবি কুহিনুর-৪ নামের ফিশিং বোট কক্সবাজারের ৬ নং ঘাট থেকে গত ৩ দিন আগে মাছ ধরতে গভীর সাগরে পাড়ি দেয়। এ সময় মাছ ধরা অবস্থায় ডাকাত দলের কবলে পড়ে এ ফিশিং বোটটি। জলদস্যুরা সাগরে বোটে হানা দেয়। এ সময় মাঝি মাল্লাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মী করে। এ সময় প্রায় ৩ হাজারের অধিক পিস ইলিশ মাছ লুট করে নিয়ে যায়। ডাকাত দলের সদস্যদের হামলায় কহিনুর ফিশিং বোটের ২ জন জেলে আহত হন। আহতরা হলেন রাজাখালীর বকশিয়াঘোনা এলাকার আবু ছালেক মাঝি ও টইটং ধনিয়াকাটা এলাকার কলিমমুল্লাহ। এফবি কহিনুর ফিশিং বোটের মালিক মোস্তাক আহমদ জানায়, দাদন নিয়ে আমার বোট ব্যবসা পরিচালনা করছি। গত ৩ দিন আগে সাগরে মাছ ধরতে যায়। ডাকাতের কবলে পড়েছে শুক্রবার গভীর রাতে।

##########

পেকুয়ায় বিএনপি-ক্ষমতাসীন দলের পাল্টা পাল্টি মিছিল (ছবি আছে)

পেকুয়া প্রতিনিধি :::

পেকুয়ায় পাল্টা পাল্টি মিছিল করল জাতীয়তাবাদি দল (বিএনপি) ও ক্ষমতাসীনদল আ’লীগ। খালেদা জিয়ার রায়কে ঘিরে এ পাল্টা পাল্টি মিছিল করল দু’রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্ধি দল। শুক্রবার জুমার নামাযের পর পর ঝটিকা মিছিল বের করে যুবদল ও ছাত্রদল। সংক্ষিপ্ত এ মিছিলটি পেকুয়া বাজারের মধ্যখান থেকে বের হয়ে একশ গজের মধ্যে পান বাজার সড়কে গিয়ে মুর্হুতের মধ্যে নিরুদ্দেশ হয়। এর কিছুক্ষন পর পেকুয়া বাজারে পাল্টা মিছিল বের করে ক্ষমতাসীন দলের সহযোগি সংগঠন যুবলীগ ও ছাত্রলীগ। তারা যুবদলের এ মিছিলকে চ্যালেঞ্জ করে পেকুয়া বাজারের দেলোয়ার শপিং সেন্টার থেকে বের হয়ে পুর্ব দিকে ইসলামী ব্যাংক ও পেকুয়া বাজারের পশ্চিম প্রান্তে গিয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ মিছিলের সমাপ্তি ঘটান। মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে উপজেলা আ’লীগের সদস্য মোহাম্মদ ইকবাল বিএনপিকে কঠোর হুশিয়ারি উচ্চারন করে বলেন, পেকুয়ার শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করার চেষ্টা করা হলে কঠিন পরিনতি ভোগ করতে হবে বলে হুশিয়ারি উচ্চারন করেন। এদিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাষ্ট দুর্নীতি মামলায় রায় ঘোষিত হওয়ার পর উপজেলা পেকুয়ায় এ পর্যন্ত কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা সংঘটিত হয়নি। রাজনৈতিক দল বিএনপি উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে রাজপথ ঘোলাটে করার চেষ্টা করছে। গত দু’দিন ধরে দলটির শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা গোপন বৈঠক করছেন বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছেন। আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরাও রায়ের পর থেকে পেকুয়ায় বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান শক্তিশালী করে। কামরান জাদিদ মুকুটের নেতৃত্বে উপজেলা যুবদলের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীরা দুপুরে একটি ঝটিকা মিছিল বের করে। বারবাকিয়া যুবদল নেতা সাজ্জাদ, বেলাল উদ্দিন, মঈন উদ্দিন, ছাত্রদল নেতা রাশেদ, শওকতসহ ১৫-২০জন এ মিছিল বের করে। পুলিশের উপস্থিতি দেখতে পেয়ে তারা দ্রুত সটকে পড়েন। ব্যবসায়ীরা জানায় সারা দিন বাজারে পুলিশ ছিল। বিএনপি অফিসের সামনেও পুলিশ অবস্থান নেয়। পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিয়ে হঠাৎ এ ঝটিকা মিছিল নিয়ে রহস্য দেখা দিয়েছে। এটি পুলিশের নমনীয় ভাব ও দায়িত্ব অবহেলার প্রশ্ন তুলেছে অনেকে। বিকেলের দিকে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের শতাধিক নেতাকর্মীরা জড়ো হয়ে পাল্টা মিছিল করে। তারা এটিকে সংহতি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এ মিছিলটিকে শান্তি মিছিল আখ্যায়িত করেছেন। পুলিশ মিছিলকারীদের খোঁজতে পেকুয়া বাজারে বিএনপি নেতা বাহাদুর শাহ মার্কেট ও পরিষদ সড়কে অভিযান চালায়। এ সময় বিএনপি নেতা ইউপি সদস্য শাহনেওয়াজ আজাদকে ধাওয়া দেয়। রাজাখালী সবুজ বাজারে মিছিল করে যুবদল। ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে যুবদল এ মিছিলটি বের করে।

পাঠকের মতামত: