চকরিয়া অফিস :: কক্সবাজারের পেকুয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.মাহাবুব-উল করিমের হস্তক্ষেপে বন্ধ হয়ে গেলো সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীর বাল্য বিবাহ। ঘটনাটি ঘটেছে আজ ৩০ আগষ্ট উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের দক্ষিন সুতাচুরা আইয়ুব আলী পাড়া এলাকার হাজী ছাদেক আলীর বাড়িতে। এদিকে ঝামেলা এড়াতে গা ঢাকা দিয়েছে বরপক্ষ।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, কয়েকদিন আগে উজানটিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া (এএস) সিনিয়র মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির মেধাবী শিক্ষার্থী এবং একই ইউনিয়নের দক্ষিন সুতাচুরা আইয়ুব আলী পাড়া এলাকার হাজী ছাদেক আলীর শিশু মেয়ে সাদিয়া সুলতানা শেফা (১৩) এর সাথে বিয়ে ঠিক হয় একই উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের হাজ্বী আবুল কাশেমের ছেলে তানবির মুহাম্মদ ছোটনের (১৯)। বাল্য বিয়ে দেয়ার সমস্ত আয়োজন শেষ করেছে তাদের পরিবার। ৩০আষ্ট বিয়ে হওয়ার দিনক্ষণ ঠিক ছিলো।
ছাত্রীর বাল্য বিয়ের ব্যাপারে উজানটিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া (এএস) সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মৌলানা নুরুল হক মুকছুদি বলেন, শেফা এ বিয়ে সম্মত না থাকলেও তাকে জোরপূর্বক বিয়ের পিঁড়িতে বসানো হচ্ছে। এ বিয়ে ঠেকাতে আমরা স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তা চেয়েছি।
উজানটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.মাহাবুব-উল করিম সাহেবের কাছ থেকে ইউনিয়নে বাল্য বিয়ে হচ্ছে ঘটনাটি জানার পর কনে পক্ষের বাড়ি গিয়ে বাল্য বিয়ের সুবিধা-অসুবিধা সমুহ সম্পর্কে অবগত করি। মেয়ে বিয়ের উপযুক্ত না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেয়া হবেনা মর্মে কনের বাবা-মা’র কাছ থেকে মুছলেখা নিয়ে বিয়ে বন্ধ করা হয়েছে।
পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুবুল করিম বলেন, বাল্য বিয়ের খবর পাওয়ার সাথে সাথে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলামের সহায়তায় কনে পক্ষের পরিবারের সাথে বাল্য বিয়ে বন্ধ করতে বলি। এখন বিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কনে ও বর পক্ষ প্রশাসনের অগোচরে অন্য কোথায় গিয়ে বিয়ে দিচ্ছে কিনা সেটাও দেখা হচ্ছে।
পাঠকের মতামত: