কক্সবাজারের পেকুয়ায় চলছে রোপাই খালে জেগে উঠা চর দখল করার মহাৎসবে মেতে উঠেছে স্থাণীয় প্রভাবশালীমহল। দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মান করেছে ওই প্রভাবশালীরা। মগনামা ইউনিয়ন যুবদল নেতা ও মগনামা ইউনিয়নের ধারিয়াখালী এলাকার মৃত ফেরদৌস আহমদের ছেলে ইখতিয়ার উদ্দিন রোপাই খালের ভরাট অংশে প্রায় ৪ একর জায়গায় নিজের নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্টা করেছে। একসময় ওই যুবদল নেতা ইখতিয়ার উদ্দিনের প্রচন্ড ক্ষমতা ও পেশীশক্তির কাছে মগনামা, উজানটিয়া ইউনিয়নের আ.লীগ অসহায় ছিল। জোট সরকারের সময় তার ঐকিক ক্ষমতার বলয় তৈরি করে এলাকায় নানান অপকর্ম তৈরি হয়। আ.লীগ বিরোধীদল থাকাবস্থায় ইখতিয়ার উদ্দিনের নেতৃত্বে ছাত্রদল ও যুবদল ক্যাডাররা ১৫ আগষ্টের দিন সোনালী বাজারে কাঙ্গাালী ভোজে হানা দিয়ে ভোজন ভোজের সব রান্না ফেলে দেয়।
বর্তমানে যুবদলের ওই ক্যাডারের নেতৃত্বে চলছে মগনামা রোপাই খালের পূর্ব অংশে দখলের মহোৎসব। জানা গেছে, রোপাইখালের উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের ধারিয়াখালী ও কুমপাড়া অংশে বিপুল অংশ ভরাট হয়ে গেছে। পলিরস্তর রোপাই খালের পুর্ব অংশ কাটাফাড়ি সোনালীবাজার সড়কের ধারিয়াখালী হামজা বর বাড়ীর সামনে ুনিকট প্রায় ৫একর মতো চর জেগেছে। এরই মধ্যে যুবদল নেতা নেতা ইখতিয়ার উদ্দিন প্র্রায় ৪একর জেগে উঠা চর দখলে নিয়েছে। ওই অংশে ইখতিয়ার উদ্দিন দখল ও আধিপাত্য প্রতিষ্টার জন্য ৪একরে মাটি কেটে সীমানা নির্ধারন করেন। এছাড়া খালের মাঝখানে ভিটি তৈরি করে একটি স্থাপনাও নির্মান করেছে।
জানা গেছে, পেকুয়া উপজেলার বদ্ধ জলমহালগুলোর মধ্যে রোপাইখাল প্রসস্থ ও দৈর্ঘ্য বিগত ৬০দশকে কাটাফাড়ি থেকে রোপাই খালকে পৃথক করা হয়। ফসল উৎপাদনের জন্য সেসময় মিষ্টি পানির উৎস সৃষ্টির জন্য সরকার রোপাই খাল বদ্ধ করে। ধারিয়াখালী থেকে বাইন্ন্যঘোনা রুকুরদিয়া, দরদরিঘোনা ও পশ্চিম মটকাভাঙ্গা হয়ে দক্ষিনমগনামার কোদাইল্ল্যদিয়া অংশে গিয়ে ওই খালের পরিসমাপ্তি ঘটে। প্রায় ১০কিলোমিটার এর বিস্তৃতি। রোপাইখালের খালের পানি থেকে মগনামা ইউনিয়নের বিপুল এলাকায় চাষীরা লবন চাষ করে। রোপাইখাল উম্মুক্ত বদ্ধ জলমহল হওয়ায় এখালে মৎস্য আহরন করে হাজার হাজার দরিদ্র মানুষ পরিবারে অন্ন রিযিক জোগায়। কিন্তু ওই খালের নাব্যতা হ্রাস পাওয়ায় যুবদলের ওই ইখতিয়ার দখল প্রক্রিয়া আরম্ভ করে। প্রবাহমান রোপাইখাল এক সময় প্রচন্ড খরেে¯্রাতা ছিল। অপরদিকে রোপাইখাল দখল করে যুবদল নেতা ইখতিয়ার উদ্দিন স্থাপনা নির্মান করায় এলাকয় ফের অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। ধারিয়াখালীর লোকজন দখলের বিরুদ্ধে ইখতিয়ার উদ্দিনকে বিবাদি করে পেকুয়ার ইউএনও’র কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
এব্যাপারে জানতে ইখতিয়ার উদ্দিনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি পরে যোগাযোগ করবেন বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
##################
পেকুয়ায় এক লবন ব্যবসায়ীকে মারধর করে টাকা লুট
স্টাফ রিপোর্টার, পেকুয়া :::
পেকুয়ায় এক লবণ ব্যবসায়ীকে মারধর করে নগদ টাকা লুট করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় দূর্বৃত্তের হামলায় কামাল হোসেন (৪২) নামের এক লবণ ব্যবসায়ী আহত হয়।
গত ৭মে উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের কাজী মার্কেট এলাকায় এঘটনা ঘটে। আহত কামাল হোসেন একই ইউনিয়নের কোদাইল্যা দিয়া এলাকার মোজাফফর আহমদেও পুত্র।
কামাল হোসেন বলেন, চাষীদের লবণ টাকা পরিশোধ করতে কাজী মার্কেট এলাকায় গেলে পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা চিহ্নিত দুর্বৃত্ত জাহেদুল ইসলাম ও জাহাঙ্গীর আমার উপর হামলা চালায়। এসময় তারা আমার কাছ থেকে নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। জাহেদুল ইসলাম ও জাহাঙ্গীর একই এলাকার সামশুল আলমের পুত্র। এ ব্যাপারে আমি আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি।
####################
পেকুয়ায় প্রভাবশালীদের প্রকাশ্যে হুমকিতে এলাকা ছাড়া গৃহবধূ!
স্টাফ রিপোর্টার. পেকুয়া :::
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় সংঘবদ্ধ প্রভাবশীদের হুমকিতে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে এক অসহায় গৃহবধূ! এ নিয়ে ওই গৃহবধু প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে গত কয়েক দিন পূর্বে পেকুয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
লিখিত অভিযোগের সূত্রে জানা গেছে, পেকুয়া উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের পূর্ব ভারুয়াখালী গ্রামের আবদুল আলিমের স্ত্রী তাহিজুল আকতার (২৬) ও তার পরিবারকে গত কিছু দিন ধরে একই এলাকার মো. রাসেল ও মহি উদ্দিনসহ একদল প্রভাবশালী হুমকি দিয়ে আসছিল। হুমকিতে ওই গৃহবধূ এলকা ছেড়ে অনত্রে এক আত্মীয়ের বাসায় আশ্রয় নেন। এ সুযোগে প্রভাবশালীরা গত ২ এপ্রিল তাহিজুল আকতারের বসতভিটায় প্রবেশ করে গুরুত্বপূর্ণ মালামাল লুট ও কিছু গাছ কেটে লুট করে নিয়ে যায়।
গৃহবধূ তাহিজুল আকতার এ প্রতিবেদককে জানান, ওই প্রভাবশালীরা বর্তমানে তাকে ও তার পরিবারকে হত্যাসহ নানান ধরনের হুমকি দিচ্ছেন। তিনি এ নিয়ে প্রভাবশালীদের রাহুগ্রাস থেকে বাঁচতে স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তা কামনা করেছেন।
########################
পেকুয়ায় মাদ্রাসা যাওয়ার পথে ছাত্রীকে অপহরনের চেষ্টা
স্টাফ রিপোর্টার. পেকুয়া :::
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় মাদ্র্রাসা যাওয়ার পথে এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে জোর করে সিএনজি অটোরিক্সায় তুলে অপহরণ চেষ্টা চালিয়েছে স্থানীয় সংঘবদ্ধ বখাটেরা। পরে ওই ছাত্রীর শৌর চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে বখাটের দল পালিয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটে ৮ মে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড়ের মেম্বার জসিমের বাড়ীর সামনে।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদশীদের সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের শরৎঘোনা গ্রামের জনৈক কৃষকের মেয়ে ও মগনামা শাহ রশিদিয়া মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী ওই দিন মাদ্রাসার অর্ধ বার্ষিকী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের জন্য বাড়ী থেকে বের হয়ে ২ নং ওয়ার্ড়ের মেম্বারের বাড়ীর সামনে পৌঁছালে পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা শরৎঘোনা গ্রামের হাবিবুর রহমানের বখাটে পুত্র রেজাউল করিম (২৩) এর নেতৃত্বে একই ইউনিয়নের বাজার পাড়া গ্রামের নুর হোছনের পুত্র মো. কালু (৩০) ও পেকুয়া সদর ইউনিয়নের গোঁয়াখালী গ্রামের ইসমাঈলের পুত্র আবুল কাসেম ওই ছাত্রীর পথরোধ করে। পরে ছাত্রীকে বখাটে রেজাউল করিমসহ তার সঙ্গে থাকা অন্যান্য বখাটেরা জোরকরে একটি সিএনজি অটোরিক্সায় তুলে নিয়ে অপহরনের চেষ্টা চালায়। এসময় ওই ছাত্রী শৌর চিৎকার স্থানীয় ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিন দ্রুত বাড়ী থেকে বের হয়ে তাকে উদ্ধার করে। এসময় স্থানীয়রাও এগিয়ে এলে বখাটের দল পালিয়ে যায়। ওই ছাত্রীর পিতা অভিযোগ করেছেন, প্রায় সময় বখাটে রেজাউল করিমের নেতৃত্বে একদল বখাটে তার মেয়েকে মাদ্রাসায় আসা যাওয়ার পথে উত্যক্ত করে আসছিল। বখাটের কারণে তার মেয়ের পড়ালেখা নিয়ে তিনি শংকিত হয়ে পড়েছেন। তাই জরুরী ভিত্তিতে তিনি বখাটেদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের কাছে হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মগনামা শাহ রশিদিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ নুর জানান, তার মাদ্রসার অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীকে মাদ্রাসায় আসার পথে অপহরণ করার চেষ্টা চালিয়েছে। তিনি ওই ছাত্রীকে আইনত সহায়তা প্রদানের জন্য মাদ্রাসার পক্ষ থেকে লিখিত প্রত্যয়নপত্র প্রশাসনের কাছে দেওয়া হয়েছে।
পাঠকের মতামত: