ঢাকা,বুধবার, ৬ নভেম্বর ২০২৪

নির্বিচারে পাহাড় ও বৃক্ষনিধন অব্যাহত

বিশেষ প্রতিবেদক:
কক্সবাজার সদর থানাধীন মেহেরঘোনা রেঞ্জের নতুন বাজার হতে পুর্বদিকে কাচা রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন এবং রাত্রে কাঠ, বালু, মাটি পাচার অব্যাহত রয়েছে।নাকের ডগার উপর দিয়ে পাচার হলেও রহস্যজনক কারনে বনবিভাগ নীরব ভুমিকা পালন করছে।অভিযোগ রয়েছে,টাকা দিতে দেরী হলে বন বিভাগ রাস্তা কেটে দেয় কিন্তু টাকা হাতে পেলেই আবার খুলে যায়।বছরের পর বছর ধরে এই অবস্থা চলতে থাকলে ও কোন সমাধান মিলছেনা।

স্থানীয় ইয়াবা ও অস্ত্র ব্যবসায়ীরা এতে যুক্ত হওয়ায় বনবিভাগের পক্ষে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হচ্ছেনা।রাত হলেই চলতে থাকে ফাঁকা গুলি বর্ষনের মাধ্যমে ক্ষমতা প্রদর্শনের প্রতিযোগিতা।

প্রাপ্ত তথ্যে আরও জানাযায়,কালিরছড়া উত্তর পাড়া তেতুল গাছতলা হতে রাস্তাটি পুর্ব দিকে গিয়ে একেবারে ঈদ্গাঁও ভাদিতলা পর্যন্ত চলে গেছে।এই রাস্তা দিয়ে গেলে অনুভব করা সহজ হবে যে কি পরিমান পাহাড় ও বৃক্ষ নিধন সংঘটিত হয়েছে।প্রতিরাত্রে ফজরের আযান পর্যন্ত চলে ডাম্পারের আনাগোনা।বাগানের ছোট ছোট গাছের চারা কেটে ডাম্পার ভর্তি করে ব্রিক ফিল্ডে বিক্রয় করা হয়।বালি মাঝেমধ্যে জব্দ করা হলেও রহস্যজনক কারনে তা আংশিক নিলামের মাধ্যমে মীমাংসা করা হয়।

অন্যদিকে ভাদিতলা রোড দিয়ে একইভাবে গাছ ও বালি পাচার অব্যাহত রয়েছে। রক্ষক যেখানে দর্শকের ভুমিকায় অবতীর্ন।স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ীরা পাহাড় কর্তন ও বালি বিক্রয় এর সাথে জড়িত থাকায় দিনে দিনে বিষয়টি মহামারী আকার ধারন করেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কাঠুরিয়া জানায়,বর্তমানে একটি শক্তিশালী সন্রাসী চক্র সামাজিক বনায়নের নামে কয়েকশত একর পাহাড় দখল করেছে।সেই পাহাড়ে কার ও ঢুকার সাধ্য নাই কিন্তু রাত্রে গাছ কেটে বনবিভাগের সহযোগিতায় ব্রিক ফিল্ডে পাচার করা হয়।

একজন ডাম্পার ড্রাইভার জানিয়েছে, ইয়াবা, বালি, মাটি এবং জালানী কাঠ- এই এলাকার প্রধান ব্যবসা।সবাই জানে অবৈধ কিন্তু কেউ তোয়াক্কা করে না।টাকার কাছে সবাই অসহায়।অত্র এলাকার একটি ডাম্পারের ও লাইসেন্স নাই কিন্তু রহস্যজনক কারনে তাদের আটকানো হয় না।

পাঠকের মতামত: