ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়া পেকুয়ায় বৃষ্টিপাতে লবণ তামাক ইটভাটার ব্যাপক ক্ষতি

জহিরুল ইসলাম, চকরিয়া ::
চকরিয়া ও পেকুয়ায় শনিবার সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। সন্ধ্যায় এক পর্যায়ে ব্যাপক বৃষ্টি শুরু হয়। প্রায় ১ ঘন্টার বৃষ্টিপাতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। লবণ, তামাক ও ইটভাটার ক্ষতি হয়েছে সব চেয়ে বেশী। মাতামুহুরী নদীর রাবার ড্যামের ভেতরের অংশে পানির চাপ বেড়েছে। এতে নিচু এলাকায় বোরো চাষে পানি উঠেছে। মাতামুহুরী নদীর রাবার ড্যামের ভেতরের অংশে পানির চাপ বেড়েছে। চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় মাতামুহুরী নদীর পালাকাটা অংশে রাবার ড্যাম ২ফুট নিচু করে দেয়া হয়েছে। এতে ড্যামের ভেতরের অংশের অতিরিক্ত পানি বের হয়ে যাচ্ছে।
জানা যায়, চকরিয়া ও পেকুয়ার উপকূলীয় এলাকার ব্যাপক জমিতে লবণের চাষ হয়ে থাকে। শনিবারের বৃষ্টির পানিতে লবণ মাঠের বেশীরভাগ লবণ গলে গেছে। চকরিয়া উপজেলার বমু বিলছড়ি, সুরাজপুর-মানিকপুর, কাকারা, কৈয়ারবিল, বরইতলী, ফাঁসিয়াখালী, লামার ফাঁসিয়াখালী ও মাতামুহুরী নদীর চরে প্রায় ৮ হাজার একর জমিতে তামাকের চাষ করা হয়েছে। এখন তামাক পাতা তোলার সময় হয়েছে। ঠিক ওই সময়ে শনিবারের অকাল বৃষ্টিতে এসব এলাকার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তামাক চাষীরা জানায়, তামাক পাতায় বৃষ্টিতে দাগ লেগে গেছে। ইটভাটার মালিক চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন, এই বৃষ্টিতে ইটভাটা গুলোর প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। পেকুয়া সদর ইউনিয়নের নন্দীর পাড়ার আবদুর রহিম সওদাগর জানান, শনিবারের বৃষ্টিতে ওই এলাকার বেশীরভাগ বোরো ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে। বৃষ্টির পানি ছেড়ে দেয়া না হলে বোরো ধান নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। মগনামা ইউনিয়নের শরত ঘোনার লবণ চাষী মোঃ আলমগীর জানান ওই এলাকার মাঠের লবণ বৃষ্টির পানিতে গলে গেছে। চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসাবে অতিরিক্ত দায়ীত্বে) মোঃ সাহেদুল ইসলাম জানান; সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে আলাপ আলোচনা করে মাতামুহুরী নদীর পালাকাটা রাবার ড্যামের ব্যাগ ২ ফুট নিচু করে দেয়া হয়েছে। রাবার ড্যামের ইনচার্জ অপারেটার আবদুর রহিম জানান, ড্যাম নিচু করে দেয়ায় ভেতরের অংশে বৃষ্টির অতিরিক্ত পানি নেমে যাচ্ছে। বাঘগুজারা রবার ড্যামের পাশের একটি ক্যানেল খুলে দিয়ে পানি নেমে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেয়া হয়েছে। পেকুয়া সদর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড এলাকার দুইটি স্লুইচ গেটও খুলে দেয়া হয়েছে। এতে বৃষ্টির অতিরিক্ত পানি দ্রুত নেমে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসি। পেকুয়া সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ ও পূর্ব অংশে বোরো ধান বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে রয়েছে। কৃষকরা অতিরিক্ত পানি বের করে দেয়ার দাবী জানান।

পাঠকের মতামত: