ঢাকা,সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় শিক্ষক লাঞ্ছিতের প্রতিবাদে

চকরিয়ায় শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন, অভিযুক্ত সেই কুলাঙ্গার শিক্ষার্থীর শাস্তি দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: 
চুয়াডাঙ্গায় ভিক্টোরিয়া জুবিলি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কর্তৃক শারীরিকভাবে শিক্ষক লাঞ্ছনার প্রতিবাদে গতকাল বুধবার কক্সবাজারের চকরিয়ায় মানববন্ধন করেছে সরকারী মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার চট্টগ্রাম মহাসড়কের চকরিয়া পৌরশহরের চিরিঙ্গায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে চকরিয়া সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও চকরিয়া সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ ও প্রায ৪শত ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহণ করেন। এসময় শহরের সাধারণ মানুষও এ মানববন্ধনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন।

পাশাপাশি শিক্ষকের উপর ন্যাক্কারজনক ঘটনায় প্রতিবাদে মুখর হয়ে উঠেছে উপজেলার সকল মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

মানববন্ধনে কর্মরত শিক্ষকদের সুরক্ষা ও ঘটনায় অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়ে বক্তব্য রাখেন, চকরিয়া সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফরিদ উদ্দিন ও চকরিয়া সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা। সহাকারী শিক্ষকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জিএএম এনামুল হক, মো.আবু শোয়াইব, মো.জসিম উদ্দিন ও মো.ছলিম উল্লাহ।

মানববন্ধনে শিক্ষকেরা বলেন, মানুষগড়ার কারিগর সম্মানিত শিক্ষককে চড়-থাপ্পড় মারা সেই কুলাঙ্গার শিক্ষার্থীকে দুষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। এইধরনের ঘটনা শিক্ষাঙ্গনের জন্য শিষ্টাচার বহির্ভূত এবং গর্হিত কাজ। জড়িত কুলাঙ্গার শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে জরুরি প্রদক্ষেপ না নেওয়া হলে দেশের অন্যান্য শিক্ষার্থীও এ ধরণের ঘটনা করার সাহস পাবে।
তাই অভিযুক্ত এই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারসহ দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে। ন্যাক্কারজনক এ ঘটনার জন্য তীব্রনিন্দা জানিয়ে শিক্ষক সুরক্ষা আইন নিশ্চিত করা জন্য মানববন্ধনে জোর দাবী জানান শিক্ষকেরা।

উল্লেখ্য, গত রোববার বেলা ১১টায় এসএসসি পরীক্ষার নির্বাচনী পরীক্ষা চলছিল চুয়াডাঙ্গার ভিজে স্কুলের ১১২ নম্বর কক্ষে। ওই কক্ষে পরীক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন ওই বিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহকারী শিক্ষক হাফিজুর রহমান। এ সময় পরীক্ষার হলে বিশৃঙ্খলা ও অসদুপায় অবলম্বনের অভিযোগে পরীক্ষার্থী দশম শ্রেণির ছাত্র সাইফুল আমিন শীর্ষের খাতা কেড়ে নেন শিক্ষক। এতে শিক্ষক ও ছাত্রের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়।
এরই একপর্যায়ে শিক্ষক হাফিজুরকে চড়-থাপ্পড় মারেন অভিযুক্ত শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় অস্বাভাবিক হয়ে ওঠে পরীক্ষার হল। শিক্ষক মারধরের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এ ঘটনার পর থেকে সারাদেশে ফুঁসে উঠেছে অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাও।

পাঠকের মতামত: