চকরিয়ায় শুরু হয়েছে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কার্যক্রম। এই কার্যক্রমের প্রথমদিনে গতকাল শনিবার যাচাই-বাছাই কমিটি এবং প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের মুখোমুখি হয়েছেন জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল এর (জামুকা) অনলাইনে আবেদন করা ১৮৭ জন প্রার্থীর মধ্যে ৪০ জন। বাকী প্রার্থীরা মুখোমুখি হবেন আজ রোববার ও আগামীকাল সোমবার। এছাড়া আগামী ২২ ও ২৩ ফেব্রুয়ারি শুনানী অনুষ্ঠিত হবে বাতিল গেজেটভূক্তদের। পরদিন ২৪ ফেব্রুয়ারি লাল তালিকাভূক্তদের বিষয়ে করা অভিযোগের শুনানী হবে। এদিকে পেকুয়া উপজেলায়ও গতকাল থেকে শুরু হয়েছে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কার্যক্রম।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সারাদেশের ন্যায় মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে চকরিয়ায় সঠিক মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কার্যক্রম শুরু হয় গতকাল শনিবার। এই যাচাই-বাছাই কার্যক্রম অনুষ্ঠান শুরুর দুইদিন আগে থেকে উপজেলার সবকটি ইউনিয়ন এবং পৌরসভায় ব্যাপকভাবে মাইকিং করা হয়। সেই অনুযায়ী সকাল থেকেই ভিড় জমে যায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে। বাইরে উপস্থিত আবেদিত এসব প্রার্থীর জন্য বসার ব্যবস্থা করা হয়। আর প্রথমদিনে হলরুমের ভেতর অনুষ্ঠিত যাচাই-বাছাই কমিটির মুখোমুখি হন ৪০ জন।
জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুর রহমানকে আহবায়ক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাহেদুল ইসলামকে সদস্য সচিব করা হয় চকরিয়ার যাচাই-বাছাই কমিটির। এছাড়া আরো কয়েকজনকে এই কমিটির সদস্য হিসেবে রাখা হয়। কমিটির সদস্য সচিব ও চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাহেদুল ইসলাম বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হতে নতুন করে জামুকার অনলাইনে আবেদন করা ১৮৭ জন প্রার্থীর মধ্যে প্রথমদিনে যাচাই-বাছাই করা হয়েছে ৪০ জনের আবেদন। পর্যায়ক্রমে বাকী প্রার্থীদের আবেদনও যাচাই-বাছাই হবে। এরপর ২২ ও ২৩ ফেব্রুয়ারি শুনানী অনুষ্ঠিত হবে বাতিল হওয়া গেজেটভূক্তদের। পরদিন ২৪ ফেব্রুয়ারি লাল তালিকাভূক্তদের অভিযোগের বিষয়ে শুনানী অনুষ্ঠিত হবে।’
পাঠকের মতামত: