চকরিয়ায় বাড়িতে মলত্যাগ করার অপরাধে ধারালো অস্ত্রে কুপিয়ে দ্বিতীয় শ্রেনীতে পড়–য়া শিশু ছাত্র রাশেদুল ইসলাম বাবু হত্যাকারী সেই ঘাতক ফুফা রিদুয়ানুল হককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। থানার ওসি তদন্ত মো.কামরুল আজম ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মাহাবুবর রহমান গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ঘটনার একদিন পর মঙ্গলবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে চকরিয়া পৌরশহরের বাসটার্মিনাল এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন।
চকরিয়া থানার ওসি তদন্ত মো.কামরুল আজম বলেন, গ্রেফতারের পর থানায় আনা হলে ঘাতক রিদুয়ানুল হক ঘটনার ব্যাপারে অনুতপ্ত হন এবং আদালতে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিতে রাজি হন। তাঁর কথা মতো গতকাল বুধবার দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়। এরপর গ্রেফতারকৃত রিদুয়ানুল হক চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারকের কাছে ঘটনায় নিজে জড়িত থাকার স্বপক্ষে স্বেচ্ছায় ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেন। এরপর আদালত তাকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
পুলিশ জানায়, উপজেলার পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়নের দরবেশকাটা এলাকায় রবিবার রাতে ফুফার বাড়ির ভেতর মলত্যাগ করে শিশু ছেলে বাবু। এতে ক্ষুদ্ধ হন ফুফা রিদুয়ানুল হক। একপর্যায়ে সোমবার সন্ধ্যার দিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপালে ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়ে শিশু বাবু। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া পথে পটিয়া এলাকায় মারা যায় শিশুটি।
নিহত রাশেদুল ইসলাম বাবু (৮) উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের মগনামা পাড়ার মোহাম্মদ রিদুয়ানের ছেলে। পাশের ইউনিয়নের দরবেশকাটা উত্তরপাড়া গ্রামে ফুফু বুলবুল আক্তারের বাড়িতে থেকে পড়ালেখা করে আসছিল শিশু বাবু। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারী) চকরিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করেন নিহতের বাবা মোহাম্মদ রিদুয়ান।
পাঠকের মতামত: