নিজস্ব প্রতিনিধি, চকরিয়া :: নিজের জমিতে বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করতে হলেও ২লাখ টাকা চাদাঁ দিতে হবে। অন্যতায় বসতবাড়ি ছেড়ে দিয়ে এলাকা থেকে চলে যেতে হবে বলে একের পর হুমকি দিয়ে চলেছে চাদাঁবাজ দূর্বৃত্তরা। ঘটনাটি ঘটেছে চকরিয়ায় পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের পালাকাটা আকবরিয়া পাড়া এলাকায়।
চকরিয়া পৌরসভার প্রশাসনিক বিভাগের উচ্চমান সহকারী উসমান গণি গত ২৫ সেপ্টেম্বার রাতে চকরিয়ায় সংবাদকর্মীদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, একই এলাকার মৃত মফজল আহমদের নিলাম খরিদ মুলে ওই জায়গার মালিকানা অর্জন করে। মফজল আহমদের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী ফাতেমা খাতুন ওয়ারিশ ও খরিদ সুত্রে ৪০শতক জায়গার বি এস-৬৪৬ নং খতিয়ান মুলে মালিক হয়েছে। মফজল আহমদের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী ফাতেমা খাতুন ২য় স্বামী ফজল আহমদকে বিয়ে করায় বিএস খতিয়ানে ফজল আহমদ প্রকাশ পায়। বিগত ১৯৮৫ সালের ২১ ডিসেম্বার দলিল নং ৫০১১ ও ৫০১৪ মুলে ফাতেমা খাতুন ৪০শতক জমি বিক্রি করে দিলে সৃজিত বি এস খতিয়ান ১২২৫ মুলে মো: হাসেম, ফোরকানুল ইসলাম ও উসমান গণি মালিক হয়ে তখন থেকে বাড়িঘর নির্মাণ করে ভোগ দখলে থাকিয়া শান্তিপূর্ন ভাবে বসবাস করে আসছে। তাদের উভয়ের ক্রয়কৃত ও ওয়ারিশী সুত্রে পাওয়া জায়গায় পুরাতন কাচাঁঘর ভেঙ্গে নতুন করে সেমিপাকা বাড়ি তৈরী করার জন্য মেস্ত্রি ও শ্রমিক নিয়োগ করাকালীন সময় থেকে ২লাখ টাকা চাদাঁদাবী করেছে। তাদের চাহিদা মতো চাদাঁ দিতে না পারায় দূর্বৃত্তারা আমাকে এবং আমার পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে। চাদাঁ না পেয়ে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিরাতে উচমান গনির বাড়িতে ইট, পাথর, বিভিন্ন ধরণের ময়লা আবর্জনা নিক্ষেপ করতে থাকে। এসময় গলা ফাটিয়ে বলে যতদিন পর্যন্ত টাকা না দিবি ততদিন পর্যন্ত এ উৎপাত চলতে থাকবে। এমনকি প্রাণ নাশের হুমকি দেয়ার কারণে গত ১৩ সেপ্টেম্বর আমি ও আমার পরিবারের সদস্যদের নিরপত্তা চেয়ে চকরিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। বর্তমানে ওই অভিযোগটি তদন্তধীন রয়েছে।
চকরিয়া পৌরসভার উচ্চমান সহকারী ওসমান গনি আরো বলেন, তার স্ত্রী একজন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। এসব চাঁদাবাজরা যে কোন মুহুর্তে অপ্রীতিকর কর্মকান্ড করতে পারে। আমার পরিবারের নিরপত্তাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
পাঠকের মতামত: