নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: চকরিয়া উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নে সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি আলহাজ্ব বদিউল আলম চেয়ারম্যান প্রদত্ত ৮ আনা ওজনের বঙ্গবন্ধু মিনিবার গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট ২০২০ এর ফাইনাল খেলা সম্পন্ন হয়েছে।
বিএমচর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গত ৮জানুয়ারী বিকালে হাজারো দর্শকের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত ফাইনাল খেলায় রহিম ফুটবল একাদশ পহরচাঁদা বরইতলী চকরিয়া বনাম বন্ধু বাঁধন সংগঠন ফুটবল একাদশ বেতুয়াবাজার অংশগ্রহন। এতে রহিম ফুটবল একাদশ পহরচাঁদা বরইতলী চকরিয়া এর হাতে গড়া টিম (আবির স্পোর্টিং ক্লাব পহরচাঁদা বরইতলী চকরিয়া) টাইব্রেকারে ১-০ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
খেলার আয়োজন বিএমচর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক আলহাজ বদিউল আলমের সভাপতিত্বে ফাইনাল খেলায় উদ্বোধক ছিলেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ শামসুল তাবরীজ। খেলা শেষে পুরুস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজার জেলা পরিষদের সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ সম্পাদক লায়ন কমরউদ্দিন আহমদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামীলীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিটু, অ্যাডভোকেট আবু নাছের, প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা মাস্টার আবুল কালাম আজাদ, বিএমচর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন রানা প্রমুখ। এছাড়াও অনুষ্ঠানে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ, ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য, ক্রীড়ামোদী দর্শক উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইউএনও সৈয়দ শামসুল তাবরীজ বলেন, যুবকরা হচ্ছে জাতির কান্ডারি। মাদকের ভয়াল কারণে অনেক যুবক আজ বিপদগামি হয়ে যাচ্ছে। সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়ে পড়ছে। তাদের এই অশুভ পথ থেকে বের করে আনতে হলে ক্রীড়ার কোন বিকল্প নেই। যুবকদের পড়ালেখার পাশাপাশি ক্রীড়ামুখি হতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়তে হলে যুবকদের এগিয়ে আসতে হবে।
পুরুস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি লায়ন আলহাজ কমরউদ্দিন আহমদ বলেন, গ্রামীণ জনপদে খেলাধুলার আয়োজন নিঃসন্দেহে একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। এটি দেখে ভবিষ্যতে নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা আরও উৎসাহিত হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার ক্রীড়াঙ্গনকে উজ্জেবিত করার মাধ্যমে আগামীর দেশগড়ার কারিগর যুবসমাজ ও কিশোরদের সুশৃঙ্খল দক্ষমানব সম্পদ হিসেবে গড়তে কাজ করছেন। সেই ধারণা থেকে নতুন প্রজন্মকে মাদক থেকে বাঁচতে হলে খেলাধুলার কোন বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, লেখাপড়ার সঙ্গে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিতে মনোযুগী থাকলে নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা কোনদিন বিপদগামী হবেনা। একই সঙ্গে ক্রীড়া চর্চার মাধ্যমে যুব সমাজকেও নানা অপরাধ প্রবণতা থেকে মুক্ত রাখা সম্ভব হবে। তাই এখন থেকে শিক্ষার্থীদেরকে বিপদগামী থেকে মুক্ত রাখতে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়ার সঙ্গে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কর্মকা-ে মনোযুগী করতে হবে।
পাঠকের মতামত: