চকরিয়া উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড দক্ষিণ কাকারা এলাকায় কবরস্থানের বিভিন্ন জাতের প্রায় দুই শতাধিক গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। কাটা গাছ গুলো কাউকে না জানিয়ে বা নিলাম না দিয়ে বিক্রি করে দুই লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ করেছে।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের দক্ষিণ কাকারা ৭নং ওয়ার্ডের পশ্চিম ময়নামতি দীঘির পাশে স্থানীয় জমিদার মোস্তাক আহমদ চৌধুরী পঞ্চাশ বছর পূর্বে জনস্বার্থে কবরস্থানের জন্য ৩৯ শতক জমি দান করেন। সেই থেকে ওই কবরস্থান এলাকাবাসীরা ব্যবহার করে আসছেন। প্রায় বিশবছর পূর্বে চার শতাধিক বিভিন্ন জাতের গাছ রোপন করা হয়। গাছ গুলো লুটের জন্য বেশ কয়েকবার চেষ্ঠা করে ওই এলাকার বাসিন্দা রেজাউল করিম তার ভাই আবু বক্কর। সম্প্রতি দুই ভাইয়ের নেতৃত্বে ৫-৬জন লোক দিয়ে প্রায় দুই শতাধিক গাছ গুলো কেটে ফেলা হয়েছে। তারা কাউকে না জানিয়ে প্রায় দুই লক্ষাধিক টাকা বিক্রি করে দেয়। তারা গাছ বিক্রির টাকা কবরস্থানের সংস্কারের জন্য না দিয়ে আত্মসাৎ করা হয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, গাছগুলো কবরস্থানের শোভা বৃদ্ধি করছিল। কিন্তু হঠাৎ করে গাছগুলো কেটে ফেলা হয়েছে। এখন পুরো এলাকা ফাঁকা হয়ে গেছে। এই কবরস্থানে অসংখ্য মেহগনি, অর্জুন ও কড়ই সহ বিভিন্ন মূল্যবান গাছ ছিল। তারা আরও জানান, গাছ কাটতে বনবিভাগ থেকে অনুমতি লাগে। কিন্তু তারা কাউকে না জানিয়ে কবরস্থানের দুই শতাধিক গাছ কেটে ফেলে।
কাকারা ইউপি চেয়ারম্যান শওকত ওসমান জানান, দক্ষিণ কাকারা ৭নং ওয়ার্ডে রোপিত গাছ গুলো ব্যক্তি মালিকাধীন। তাদের গাছ গুলো কেটেছে। তবে কবরস্থানের ১০-২০টা গাছ কাটা হয়েছে। সেখানে তিনশ নয় মূলত ৪০টা গাছ কেটেছে। গাছ বিক্রির অর্ধেক টাকা কবরস্থান সংস্কারের জন্য দেয়া হবে বলে তিনি জানান।
ফাঁশিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন জানান, যেকোনো গাছ কাটার আগে বনবিভাগের অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু কাকারা ইউনিয়নের দক্ষিণকাকারা কবরস্থানের গাছ কাটার বিষয়ে বনবিভাগের অনুমোদন নেওয়া হয়নি। সরেজমিনে দেখে তাদের বিরুে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ##
পাঠকের মতামত: