ঢাকা,বুধবার, ৬ নভেম্বর ২০২৪

গরম আর বিদ্যুতের ভেল্কিবাজীতে অসহ্য চকরিয়ার জনজীবন

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::

তীব্র গরম আর বিদ্যুতের ভেল্কিবাজীতে অসহ্য হয়ে উঠেছে চকরিয়ার জনজীবন। বিদ্যুৎ আসা যাওয়ার কারণে পবিত্র রমজান মাসে ধর্মপ্রাণ মুসলিমসহ উপজেলার সর্বসাধারণ মানুষকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। ২৪ঘন্টার মধ্যে ১২ঘন্টাও বিদ্যুত পাওয়া যায় না। একটু ঠান্ডা লাভের আশায় অস্থির হয়ে পড়েছে মানুষ। অসহনীয় গরম আর ঘনঘন লোডশেডিং জনজীবনে বির্পযস্থ করে তুলেছে।
জানা যায়, পবিত্র রমজান মাসের শুরুতে চকরিয়া উপজেলায় বৃদ্ধি পেয়েছে ভয়াবহ লোডশেডিং। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ইফতার ও তারাবির নামাজের সময় বিদ্যুৎ চলে যায়। প্রচন্ড তাপদাহ অন্যদিকে ঘনঘন লোডশেডিং চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে রোজাদারদের। রোজায় সুষ্ঠ ভাবে বিদ্যুত সরবরাহ করতে ধর্মপ্রাণ মুসলিরা বিদ্যুৎ বিভাগের কাছে আকুল আবেদন জানিয়েছেন।
বিদ্যুতের ঘনঘন লোডশেডিংয়ের কারণে ব্যবস্যা বাণিজ্যে ধস, ব্যাংক, বীমা বিভিন্ন কলকারখানা, ব্যবস্যা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মার্কেট, কম্পিউটার সাইবার ক্যাফগুলো ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। এতে সাধারণ জনগণও ব্যাপক ক্ষতির শিকার হচ্ছে। সেচ ও ইরিগেশন মৌসুম শেষ হয়েছে। এরপরও ঘনঘন লোডশেডিং জনজীবনকে বির্পযস্থ করে তুলেছে। তার সাথে বিদ্যুত সেবার মান সহনীয় রাখার দাবি জানিয়েছে তারা।
চকরিয়া বিদ্যুত বিতরণ বিভাগ জানায়, চকরিয়া বিদ্যুত বিভাগের আওতায় প্রায় ২২হাজার গ্রাহক রয়েছে। এসব গ্রাহকের চাহিদা পূরণ করতে ৯ মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু গ্রাহকরা বিদ্যুত বিভাগ থেকে বিদ্যুত পাচ্ছেন ৮ মেগাওয়াট, আরও ১ মেগাওয়াট বিদ্যুত ঘাটতি রয়েছে। ২৪ ঘন্টায় ৮ মেগাওয়াট বিদ্যুত দিয়ে গ্রাহকদের চাহিদা পূরণ করতে হচ্ছে বিদ্যুত বিভাগকে। চকরিয়া পৌরশহরের কোচপাড়া পাওয়ার ট্রান্সমিটার থেকে ২২হাজার গ্রাহককে ৫টি লাইনের মাধ্যমে বিদ্যুত বিতরণ করা হয়। এরমধ্যে ৩টি লাইন চালু থাকলেও অন্য ২টি লাইন বন্ধ রাখতে হয়।
গ্রাহকদের ২৪ঘন্টা বিদ্যুতের চাহিদা পুরণ করতে বিদ্যুত মন্ত্রনালয়ে চাহিদা পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দও পেয়েছে। কিন্তু কিছু মালামাল আসতে দেরি হওয়ায় দ্রুত সময়ে কাজ করা যাচ্ছে না।
কক্সবাজার জেলা পরিষদ সদস্য অধ্যাপক সোলতান আহমেদ বলেন, পবিত্র রমজান মাসে ইফতার এবং তারাবির নামাজের সময় প্রতিনিয়ত বিদ্যুত চলে যাচ্ছে। একদিকে তীব্র দাপদাহ অন্যদিকে ঘনঘন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। বিদ্যুত বিভাগ গ্রাহকদের চাহিদা পূরণ করতে ব্যর্থ হচ্ছে। এ দুর্ভোগ লাগবে বিদ্যুত বিভাগ আরও এগিয়ে আসতে হবে।
খুব শিগ্রই শতভাগ বিদ্যুত পাবেন বলে জানান চকরিয়া বিদ্যুত বিতরণ বিভাগের সহকারি প্রকৌশলী সাইদুজ্জামান। তিনি বলেন, প্রতিদিন বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে। তারমধ্যে অতিরিক্ত গরম। বিদ্যুতের চাহিদাও রয়েছে। বরাদ্দের তুলনায় বাড়তি বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ করতে হিমশীম খেতে হচ্ছে বিদ্যুত বিভাগকে। এরপরও দিনে শতভাগ বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ করে রাতের মধ্যে লোডশেডিং করতে হচ্ছে তিনি জানান।

পাঠকের মতামত: