অনলাইন ডেস্ক ::
কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচনে ভোট ডাকাতির অভিযোগ এনে একয়োগে নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করলেন প্রতিদ্বন্দ্বি চার মেয়র প্রার্থী। ভোট ডাকাতি, নীলনক্সার নির্বাচন বর্জন করে পুননির্বাচন দাবী করেছেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী রফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, সকাল থেকেই আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাস্তান সন্ত্রাসী দিয়ে নৌকার পক্ষে ভোট ডাকাতি শুরু করেছে। ৩৯ টি ভোট কেন্দ্রের সব কটিতেই আওয়ামী লীগের মাস্তান সন্ত্রাসীরা ত্রাস সৃষ্টি করে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করে। এতে সাধারণ ভোটাররা ভোট দিতে পারেনি। তারা নিজেরাই ভোট দিয়ে বাক্সভর্তি করে। বিকেল সাড়ে তিনটায় জেলা বিএনপি কার্যালয়ে আয়োজিত এক জরুরী সংবাদ সম্মলনে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপি সভপতি সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী।
বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক এমপি লুৎফুর রহমান কাজল, মেয়র প্রার্থী রফিকুল ইসলাম, জেলা সম্পাদক এড শামীম আরা স্বপ্না ও ইউসুফ বদরী।
অন্যদিকে বিকেল তিনটায় টেকপাড়ায় নিজ বাসভবনে আয়োজিত পৃথক এক সংবাদ সম্মলনে একই অভিয়োগ এনে নির্বাচন প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দেন নাগরিক কমিটির প্রার্থী সাবেক মেয়র সরওয়ার কামাল।
তিনি বলেন, এমন কোন কেন্দ্র নেই যেখানে সরকার দলীয় প্রার্থীর পক্ষে অনিয়মের আশ্রয় নেয়া হয়নি। অনেক কেন্দ্রে ভোট দানের গোপন কক্ষ বলতে কিছু ছিল না। প্রকাশ্যে সিল মারতে হয়েছে। যা নজিরবিহীন।
এই নির্জজ্জ নির্বাচন দেখে সাংবাদিক ও পর্যকবেক্ষকরা তাজ্জব হয়েছেন।সাধারণের ভোটাধিকার হরণ হয়েছে। গাজীপুর খূলনার মতো নির্বাচন হয়েছে। অন্যায়ভাবে নৌকা প্রতীক জিতিয়ে আনতে প্রশাসন যন্ত্র ব্যবহার করে করা হয়েছে। প্রশাসনও এই অণিয়ম পত্রিকায় জড়িত। তাই ভোট ডাকাতির এই নির্বাচন বাতিল করে করে সুষ্টু নিরপেক্ষ আয়োজন করার জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি জোর দাবি জানান। তিনি এই বৃষ্টির মাঝেও যারা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে কেন্দ্রে গিয়েছেন। নেতাকর্মীরা যারা কষ্ট করেছেন তাদেরও ধন্যবাদ জানান।
একই অভিযোগে এবং একই সময়ে নির্বাচন প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দেন জাতীয় পার্টীর মেয়র প্রার্থী রুহুল আমিন সিকদার ও ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের প্রার্থী মাওলানা জাহেদুর রহমানও নির্বাচন প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দিয়েছেন। তারা নিজের ফেসবুক পেজসহ অন্যান্য মাধ্যমে নির্বাচন প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দেন। সিবিএন
পাঠকের মতামত: