ডেস্ক রিপোর্ট ::
আন্তর্জাতিক যোগাযোগে পুরোপুরি প্রস্তুত কক্সবাজার বিমানবন্দর। রানওয়ে চওড়া করা হয়েছে দেড়শ থেকে দুইশ ফুট। জাপানি প্রযুক্তি ব্যবহার করে সমুদ্রে তৈরি হচ্ছে রানওয়ে। বিমানবন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের ৯০ শতাংশেরও বেশি কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।
কিছুদিনের মধ্যেই পূর্ণ হতে যাচ্ছে দেশবাসীর স্বপ্নের এ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।
কক্সবাজার বিমানবন্দরের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী আমিনুল হাসিব জানান, কক্সবাজার বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক মানে উন্নীতকরণ প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প হিসেবে ইতিপূর্বে ৯ হাজার ফুট দীর্ঘ রানওয়ে উন্মুক্ত হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পর কক্সবাজার বিমানবন্দরটি দ্বিতীয় এয়ার ফিল্ড ও বেজ স্টেশন হিসেবে বিবেচিত হবে।
তিনি আরও বলেন, পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে এবং বিমানবন্দরের সৌন্দর্য বাড়াতে সমুদ্রের পানিতেই তৈরি করা হবে রানওয়ের বর্ধিত অংশ। কিছুদিনের মধ্যেই জাপানি প্রযুক্তি ব্যবহার করে এ কাজ শুরু করা হবে।
বেবিচক সূত্রে জানা গেছে, রানওয়ে লাইটিং ও সম্প্রসারণের বাকি সামান্য কিছু কাজ সম্পন্ন হলেই কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বোয়িং ৭৭৭ এর মতো সুপরিসর বিমান ওঠানামা করবে। ইতোমধ্যে বোয়িং ৭৩৭ উঠানামা শুরু করছে।
২০১৭ সালের ৬ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম বোয়িং ৭৩৭ বিমান নিয়ে কক্সবাজার বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। ওইদিন কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়ক উদ্বোধনে এসে কক্সবাজার বিমানবন্দরের সুপরিসর বোয়িং বিমান চলাচল কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, ব্রিটিশ আমলে নির্মিত হয়েছিল কক্সবাজার বিমানবন্দর। এ বিমানবন্দরের ছয় হাজার ৭৭৫ ফুটের রানওয়ে এখন ৯ হাজার ফুটে উন্নীত হয়েছে। চওড়া করা হয়েছে দেড়শ থেকে ২০০ ফুট।
কক্সবাজার বিমানবন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের (প্রথম পর্যায়) প্রাক্কলিত ব্যয় ১১৯৩.৩২ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকার দিয়েছে ৮০২.৬৬ কোটি টাকা এবং সিএএবির নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় হচ্ছে ৩৯১.৬৬ কোটি টাকা।
কক্সবাজার বিমানবন্দর উন্নয়ন প্রকল্প ২০০৯ সালের অক্টোবরে শুরু হয়ে চলতি বছরের জুনে শেষ হওয়ার কথা ছিল। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে রয়েছে হাল্লা কর্পোরেশন (কোরিয়া), মীর আকতার হোসেন লি. (বাংলাদেশ) এবং সিয়োকওয়াং লি. (কোরিয়া)। বিমানবন্দরের রানওয়ে দৈর্ঘ্য বৃদ্ধিকরণ, প্রশস্তকরণ, রানওয়ে শোল্ডার নির্মাণ শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে। টেক্সিওয়ে, ওভার রান নির্মাণ চলছে। গ্রাউন্ড ট্রিটমেন্ট ও বাঁধ রক্ষার কাজ শেষ হয়েছে। অবকাঠামো নির্মাণ সম্পন্নের পথে। কন্ট্রোল টাওয়ারের কাজও চলছে।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পের মধ্যে কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীতকরণ প্রকল্পটি উল্লেখযোগ্য। প্রধানমন্ত্রী নিজেই এ কাজের তদারকি করছেন।
পাঠকের মতামত: