শাহজাহান চৌধুরী শাহীন, কক্সবাজার, ৫ নভেম্বর ॥
কক্সবাজার সদরের খুরুশকুলে মায়ের সামনেই নির্মম ভাবে মারধরের পর বৈদ্যুতিক শক দিয়ে মামুন নামের (১৪)কিশোরকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। রোববার ৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় ৬টার দিকে এই বর্বরোচিত ঘটনাটি ঘটেছে খুরুশকুল ইউনিয়নের কোনারপাড়া নামক গ্রামে।
নিহত কিশোর মামুন খুরুশকুল কোনারপাড়া নবীউল হকের ছেলে। সে কক্সবাজার শহরের বড় বাজার রেস্তোরাঁ এন্ড বিরানি হাউজ নামের একটি খাবার হোটেলে বয় পদে কর্মরত বলে জানা গেছে।
তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফরিদ উদ্দীন খন্দকার।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান,মামুন তার বন্ধু আব্বাস, নবাব মিয়া, নুরুল হুদা ও ইজিবাইক চালক জাকের সহ ৫জন মিলে রবিবার সকালে জুমছড়ি নামক গ্রামে বেড়াতে গিয়েছিল। ফেরার পথে ওই গ্রামে এক নারীকে ইভটিজিংয়ের অভিযোগে তাদেরসহ ইজিবাইকটি আটকিয়ে রাখে গ্রামের লোকজন। ওই সময় কৌশলে গ্রামবাসিকে ফাঁকি দিয়ে মামুন বাড়িতে চলে আসেন।
নিহত কিশোরের মা হাজেরা খাতুন জানান, চার বন্ধু মামুনের ঘরে এসে তাকে বলেন, ইজিবাইক ছাড়িয়ে আনার জন্য তোকে যেতে হবে। কিন্তু মামুন কিছুতেই যেতে রাজি হয় না। এক পর্যায়ে আব্বাস, নবাব মিয়া, নুরুল হুদা ও জাকের,মামুনকে ধরে বেদম মারধর করে এক পর্যায়ে টেনেহিঁচড়ে সহপাঠি জাকেরের ইজিবাইক গ্যারেজে নিয়ে যায়।
তিনি আরোও বলেন, পাষান ছেলেরা মামুনকে গ্যারেজে ঢুকিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করে। এক পর্যায়ে মামুন জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। তাতেও থামেনি তারা, একসময় নিষ্ঠুর বন্ধুরা মামুনকে ইজিবাইক গ্যারেজের বৈদ্যুতিক তারের শক দিলে মামুন একটা চিৎকার করে, এটাই তার শেষ কথা। পরে তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালের কর্তব্যরত জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নুরুদ্দিন পারভেজ কিশোর মামুনের মৃত্যু নিশ্চিত করেন।
এই ব্যাপারে খুরুশকুলে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দীন জানান, ঘটনাটি শুনে আমি সদর হাসপাতালে ছুঁটে যাই। আমি দোষিদের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করছি সরকারের কাছে।
কক্সবাজার সদও মডেল থানার ওসি ফরিদ উদ্দীন খন্দকার বলেন, এব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে। আসামীদের ধরতে পুলিশী অভিযান অব্যাহত আছে।
পাঠকের মতামত: