মিজবাউল হক :
ঈদ মানেই খুশি আর আনন্দ। আর এই অনুভূতি প্রকাশের সাথে জড়িত নতুন পোশাক। শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত সকল বয়সী মানুষই চায়, ঈদে নিজেকে সুন্দরভাবে সাজাতে। তাই ঈদ এলেই সকলেই বিভিন্ন ডিজাইনের নতুন পোশাক কেনা বা বানানোর পরিকল্পনা করেন। আর ক’দিন পর মুসালমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব হচ্ছে ঈদুল ফিতর। এই উৎসব পালনে মুসলিম পরিবারে চলছে নানা আয়োজন। এবারেও নতুনের মতো বরণে আনন্দ-উৎসব করবে সকল শ্রেণিপেশার মানুষ।
ঈদকে সামনে রেখে চকরিয়া বিপনি বিতান গুলো ক্রেতারা আসতে শুরু করেছে। বিভিন্ন দোকানে বাড়ছে ক্রেতার সমাগম। প্রতিদিন কসমেটিক, জুয়েলারী দোকান, শাড়ির দোকান ও অন্যান্য ঈদ সামগ্রী ক্রয় করতে ভিড় করছেন।
এদিকে ক্রেতাদের অর্ডারের কাপড় দ্রুত হাতে তুলে দেওয়ার জন্য রাতদিন কাজ করছেন দর্জিরা। আর এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য অনেকেই কিনছেন তৈরি পোশাক। আবার অনেকেই নিজের শরীরের সঙ্গে সুন্দরভাবে মানানসই পোশাক তৈরির জন্য ভিড় করছেন দর্জি কারখানাতে। আর ঈদ এলেই বেড়ে যায় দর্জিদের ব্যস্ততা।
জানা যায়, চকরিয়া পৌরশহরের শতাধিক টেইলার্সের দোকান রয়েছে। প্রত্যেকের দোকানের জন্য একটি করে সেলাই কারখানা রয়েছে। প্রায় দুই হাজার দর্জি সেখানে কাজ করছেন। তাদের প্রায় এক হাজার মতো সহকারী কাজ করেন কারখানা গুলোতে। টেইলার্সের ম্যানেজার প্রতিদিন শার্ট, পেন্ট, কোর্ট, সাপারি, পাঞ্জাবি, ত্রি-পিসসহ সেলাইরে বিভিন্ন আইটেম অর্ডার নিচ্ছেন। এরমধ্যে শার্ট, পেন্ট, পাঞ্জাবি, ত্রি-পিস, লং কামিজ বেশি অর্ডার নিচ্ছেন। এসব কাপড় গ্রাহককে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দেওয়ার জন্য রাতদিন কাজ করতে হচ্ছে দর্জিদের। প্রত্যেক দর্জিদের সকাল ৯টার মধ্যে কারখানায় হাজির হতে হয়। একেরপর এক শুর¤œ হয় অর্ডারের কাজ। রাতদিন কাজ করতে করতে সেহেরীর সময় হয়ে যায়। সঠিক সময়ে বাড়িতো যেতে পারছে না। থেকে যাচ্ছেন কারখানাতে।
ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ততার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন চকরিয়া পৌরশহরের দর্জিরা। সকাল থেকে রাত অবধি তাদের দোকানে যাচ্ছেন গ্রাহকরা। তবে এ গ্রাহকদের বড় অংশই নারী। আর তাছাড়া নারীরা সবসময়ই চান তাদের পোশাকে থাকুক আধুনিক ও নতুনত্ব। তাই তারা বিভিন্ন রকম থান কাপড় কিনে বানাতে দিচ্ছেন বিভিন্ন ডিজাইনের পোশাক। ফলে পৌহশহরের দর্জির দোকানগুলোতে রাতদিন সমান করে চলছে ঈদের নতুন পোষাক তৈরির কাজ। তবে অতিরিক্ত চাপের কারণে ইতোমধ্যে পোশাক তৈরির অর্ডার নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন অনেক দর্জি।
চকরিয়া সুপার মার্কেটের ডিসেন্ট ফ্যাশনের মালিক মনছুর ইসলাম জানান, ঈদ উপলক্ষে তাদের কাজের চাপ বেড়েছে রোজার আগে থেকেই। বাড়তি কাজের জন্য অতিরিক্ত কর্মচারী নেওয়া হয়েছে। তারপরও সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পোশাক তৈরি করে চলেছেন তারা। এবার ঈদে নারীদের তৈরি পোষাকের মধ্যে রয়েছে কামিজ, লং কামিজ, জিপসি, লং জিপসি ও ফতুয়া।
একইভাবে ডিসেন্ট টেইলার্সের মালিক বলেন, ‘ঈদকে সামনে রেখে আমাদের কাজের চাপ বেড়েছে কয়েক গুণ। অর্ডারের কাপড়ও জমা হয়েছে অনেক। কয়েক দিনের মধ্যেই অর্ডার নেয়া বন্ধ করে দেবো।
এদিকে এবারের ঈদে নারীরা বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন লং কামিজকে। তবে এর সঙ্গে আরো থাকছে কামিজ, রাউন্ড কামিজ, জিপসি ও ফতুয়াসহ বিভিন্ন ডিজাইনের পোশাক। পোশাকের ডিজাইনের সঙ্গে সঙ্গে বেডেছে মজুরিও। আর তাই চাপ থাকলেও বেশ উৎসাহ নিয়ে কাজ করছেন পোশাক কর্মীরা।
প্রকাশ:
২০১৭-০৬-১০ ১১:০২:৪৩
আপডেট:২০১৭-০৬-১০ ১১:০২:৪৩
- চকরিয়ায় ৪৬টি পূজা মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপনের প্রস্তুতি
- চকরিয়ায় ইট বোঝাই ডাম্পার ট্রাকের চাপায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
- চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালীতে ভন্ড বৈদ্যের আবির্ভাব
- বৈষম্য মূলক নিয়োগে ফুঁসে উঠেছে চৌদ্দ হাজার সিএইচসিপি!
- কক্সবাজারে যোগ হচ্ছে রিজিওনাল ট্রেনিং সেন্টার :
- চকরিয়ায় যাত্রীবাহি বাস চাপায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
- আগস্টে ৪৬৭ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪৭৬
- সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উপর হামলার প্রতিবাদে চকরিয়ায় মানববন্ধন
- চাঁদাদাবী, ভাঙচুর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে চেয়ারম্যান ইউনুছসহ ১২জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা
- কক্সবাজার আদালতে স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বামীর যৌতুকের মামলা!
- তামাকের ব্যবহার কমাতে শক্তিশালী কর পদক্ষেপ ও আইনের বিকল্প নেই
- সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উপর হামলার প্রতিবাদে চকরিয়ায় মানববন্ধন
- চকরিয়ায় যাত্রীবাহি বাস চাপায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
- কক্সবাজারে যোগ হচ্ছে রিজিওনাল ট্রেনিং সেন্টার :
- তামাকের ব্যবহার কমাতে শক্তিশালী কর পদক্ষেপ ও আইনের বিকল্প নেই
- আগস্টে ৪৬৭ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪৭৬
- চকরিয়ায় পুকুরে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে দুই বোনের মর্মান্তিক মৃত্যু
- চাঁদাদাবী, ভাঙচুর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে চেয়ারম্যান ইউনুছসহ ১২জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা
- চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালীতে ভন্ড বৈদ্যের আবির্ভাব
- চকরিয়ায় ইট বোঝাই ডাম্পার ট্রাকের চাপায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
- কক্সবাজার আদালতে স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বামীর যৌতুকের মামলা!
- বৈষম্য মূলক নিয়োগে ফুঁসে উঠেছে চৌদ্দ হাজার সিএইচসিপি!
পাঠকের মতামত: