সেলিম উদ্দীন, ঈদগাঁও, কক্সবাজার প্রতিনিধি: কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁও থেকে রাতের অন্ধকারে এক দোকানদারকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার একদিন পর মুক্তিপণ দিয়ে ছাড় পেল অপহৃত মোঃ তারেক। সে ঈদগাঁও ইউনিয়নের ভাদিতলা এলাকার কবির আহমদের ছেলে। তার স্বজনরা জানায়, অপহরণের পর থেকে মুঠোফোনে মুক্তিপণ দাবী করে আসছিল অপহরনকারীরা। অর্থের অভাবে নিজের ছেলেকে বাঁচাতে প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েও না পেয়ে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লেঃ কর্নেল ফোরকান আহমদের কাছে গেলে তিনি তারেকের মোবাইলে কল দিয়ে অপহরনকারীদের সাথে কথা বলেন এবং তারেককে ছেড়ে দিতে বলেন। না হয় পরিনতি ভাল হবে না, পাহাড়ে চিরুনি অভিযান চালানো হবে বলে হুংকার দেন কউক চেয়ারম্যান। এর পর আবারো মুক্তিপণের জন্য মারধর করে মোবাইলের মাধ্যমে স্বজনদের কান্নার শব্দ শুনায়। মেরে পেলার হুমকি দেয় এ চক্রটি। এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে তারেকের বাবা ধার কর্জ করে ১ লক্ষ টাকা দিতে সম্মতি হয়। এরপর শুরু হয় স্থান নির্ধারন। বিভিন্ন স্থান নির্ধারনের পর রামু উপজেলার জোয়ারিয়ানালা এলাকার পূর্বে গহীন জঙ্গলে। মুক্তিপণের টাকা দিতে গেলে তারেকের বাবা ও বড় ভাইকেও বেঁধে রেখে কারন জানতে চাই অপহরণকারীরা। কেন কউক চেয়ারম্যান, পুলিশ, র্যাব, চেয়ারম্যানকে ঘটনা জানিয়েছিস বলে শারীরিক নির্যাতন করে তারা। এদিকে মুক্তিপণের টাকা পেয়ে রাত ১১ টার দিকে তারেককে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে তাকে স্বজনরা উদ্ধার করে ঈদগাঁওস্থ একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করায়।
উল্লেখ্য,গত ২৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ২ টার দিকে ভাদিতলা রাইচমিল সংলগ্ন এলাকায় থেকে তারেককে অপহরণ করা হয়। ঈদগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ছৈয়দ আলম উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এদিকে অনেকদিন পর ফের ব্যবসায়ী অপহরণ হওয়ায় স্থানীয়দের মাঝে অজানা আতংক বিরাজ করছে। অপহৃত তারেকের স্বজনদের মাঝে নেমে এসেছে উদ্বেগ আর উৎকন্ঠা।
পাঠকের মতামত: