ঢাকা,মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ডাক্তারের বিরুদ্ধে মামলা

ঈদগাঁওতে পায়ের ক্ষত সারাতে গিয়ে যক্ষায় আক্রান্ত যুবক

আতিকুর রহমান মানিক :: ঈদগাঁওতে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় পঙ্গু হতে চলছে এক যুবক। সড়ক দুর্ঘটনায় পায়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ডাক্তারের শরনাপন্ন হলে সেলাই ও নিয়মিত ড্রেসিং করার প্রায় দুইমাস পরেও অবস্হার উন্নতি না হয়ে বরং ক্ষতহানে ইনফেকশন ও ভুল ঔষধ সেবনের ফলে পরবর্তীতে যক্ষায় আক্রান্ত হয়েছে রোগী।

এতে সংক্ষুব্ধ হয়ে সম্প্রতি ডাক্তারের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ভূক্তভোগী নেছার উদ্দিন (২৪)। তিনি ঈদগাঁও সদর ইউনিয়নের কালির ছড়া গ্রামের ছাবের আহমদের ছেলে।
সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যজিষ্ট্রেট আমলী আদালত ঈদগাঁও’তে দয়েরকৃত মামলাটি আমলে নিয়ে ঈদগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক ৷
এতে অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা. হাবিবুর রহমান ঈদগাঁও মডেল এন্ড ডায়াবেটিস কেয়ার সেন্টারে কর্মরত আছেন।

ভূক্তভোগী নেছার উদ্দিন বলেন, দুর্ঘটনায় ডান পায়ের টাখনুর নীচে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে উপরোক্ত প্রাইভেট হাসপাতালে গেলে ডা. হাবিবুর রহমান ক্ষতস্থানে সেলাই করেন ও চিকিৎসা শেষে ব্যবস্হাপত্র লিখে দেন৷ তৎপরবর্তীকালে উক্ত চিকিৎসক নিয়মিত ড্রেসিং করেন ও ক্ষতস্হান শুকিয়ে যাবে মর্মে আশ্বাস দেন৷ কিন্তু ঔষধ সেবনকালীন একমাস গত হয়ে গেলেও ক্ষতস্থান না শুকিয়ে বরং পুঁজ নির্গত হতে থাকে। পুঁজের সাথে সেলাইয়ের সুতার অংশবিশেষ বের হতে থাকে।

রোগী আরো বলেন, এতে ব্যাথা-যন্ত্রনা বেড়ে গেলে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার শাহ আলমের শরনাপন্ন হলে তিনি ক্ষতস্থান পরীক্ষা করে ইনফেক্টেড মর্মে ব্যবস্হাপত্র প্রদান করেন। তখন আরেক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. অহিদুল হেলাল ক্ষতস্হান পরীক্ষা করে প্যাথলজিক্যাল টেষ্ট করতে দিলে ক্ষতস্হানে যক্ষার জীবানু ধরা পড়ে। এরপর তাকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের অধীনে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার বক্ষব্যাধি ক্লিনিকে রেফার করেন। বর্তমানে সেখানে নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন ভুক্তভোগী নেছার।

অভিযুক্ত চিকিৎসক হাবিবুর রহমান বলেন, উক্ত রোগী আগে থেকেই যক্ষায় আক্রান্ত ছিলেন৷ সে কারনে ক্ষত শুকায়নি। এ রোগী বাইরের ফার্মেসী থেকে ড্রেসিং করার ফলে ইনফেকশন হয় বলেও দাবী করেন তিনি।

পাঠকের মতামত: