ঢাকা,রোববার, ১৬ মার্চ ২০২৫

ঈদগাঁওতে আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত ১, আহত ২

কক্সবাজারের ঈদগাঁওতে আওয়ামী লীগ নেতার অনুসারী সন্ত্রাসীদের গুলিবর্ষণে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। শুক্রবার ( ১৪ মার্চ ) দিবাগত রাত ১০ টার দিকে উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের সিকদার পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। এতে নিহত হাবিবুল হুদা চৌধুরী প্রকাশ কালু (৬৫) উক্ত এলাকার মৃত সামশুল হুদা চৌধুরীর ছেলে। এসময় আহত হয়েছেন আরো ২ মহিলা।
ঈদগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবু তালেবের অনুসারী হিসাবে পরিচিত ও অপসারিত ইসলামাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাকের অনুসারী সন্ত্রাসীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানিয়েছেন নিহতের স্বজনরা।
নিহতের ছেলে এ্যাডভোকেট আবিদুল হুদা জানান, শুক্রবার বিকেলে বিরোধপূর্ন স্থানীয় বিরোধীয় একটি জমিতে সৃষ্ট সাংঘাত নিরসনে পুলিশ ফোর্স যাওয়ার পথে তার ছোট ভাই সাবিদ থেকে লোকেশন জিজ্ঞেস করে। তিনি লোকেশন দেখিয়ে দিলে ইসলামাবাদ ইউনিয়নের অপসারিত চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রাজ্জাক ক্ষিপ্ত হয়ে  “তোমাদের সরকার আর কয়দিন থাকবে, এরপর তোমাদের দেখে নেয়া হবে” মর্মে হুমকি দেয়। এরপর রাতে ৩০/৪০ জন সন্ত্রাসীসহ বাড়ীতে গিয়ে গুলিবর্ষণ করে আবদুর রাজ্জাক ।
২ নং ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার ও ইসলামাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম বলেন, বিকালে সংঘঠিত জমি দখলের ঘটনায় সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক আহত হন। এর জের ধরে তার অনুসারী সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা রাতে কালুর বাড়ীতে ঢুকে গুলিবর্ষণ করলে বুকে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। এসময় দুই মহিলাও আহত হয়।
এলাকাবাসী জানান, পরে স্বজনরা  উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে জেলা সদর হাসপাতালে ছুটে আসেন জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি এ্যাডভোকেট ছৈয়দ আলম ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খান কায়সারসহ আইনজীবি নেতৃবৃন্দ। খুনীদের আটক করার দাবী জানান তারা।
এলাকাবাসী জানান, ডিজিএফআই এর সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল হামিদুল হকের ভায়রা ভাই ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবু তালেব এলাকাভিত্তিক সন্ত্রাসী গ্রুপ গড়ে তুলে। আবদুর রাজ্জাক তাদেরই একজন।
এদিকে আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের গুলিবর্ষণ ও হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে রাতে মিছিল করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আবদুর রাজ্জাকসহ পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাদের গ্রেপ্তারের দাবী জানান তারা।
ঈদগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি ) মোঃ মছিউর রহমান  বলেন, জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এ হত্যাকান্ড সংঘঠিত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এ ঘটনায় এখনো থানায় কোন মামলা হয়নি বলেও জানান ওসি।

পাঠকের মতামত: