এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :: চকরিয়া থানা পুলিশের উদ্যোগে বিট পুলিশিং কর্মসুচির আওতায় উপজেলার চিরিংগা ইউনিয়নে মাদক জঙ্গিবাদ সন্ত্রাস ও নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে চিরিংগা ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে অনু্িঠত সচেতনতামূলক সভায় অতিথি ছিলেন চকরিয়া সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার মো.তফিকুল আলম।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন চিরিংগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন। পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান শেখ সালাউদ্দীন, প্যানেল চেয়ারম্যান সিআইপি জাফর আলম, ইউপি সদস্য বেলাল উদ্দিন, ইউপি সদস্য রেজাউল করিম, উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা আহমদ কবির চৌধুরী, উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা কাজী নজরুল ইসলাম। সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন চিরিঙ্গা ইউনিয়নে বিট পুলিশিং দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা চকরিয়া থানার এসআই কামাল হোসেন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে ইউনিয়ন পরিষদের সকল সদস্য, আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মী, বিট পুলিশিং কমিটির নেতৃবৃন্দ এবং শ্রেণী-পেশার সর্বস্তরের নাগরিক উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে চকরিয়া থানার (ওসি) শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের বলেন, পুলিশ সবসময় জনগনের পাশে আছে। এলাকার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে পুলিশের প্রতিটি সদস্য। তাই আপনাদের এলাকায় কোনধরণের অপরাধ সংগঠিত হলে বা তাঁর আগে খবর পেলে আমাকে জানাবেন। সঙ্গে সঙ্গে আইনী প্রদক্ষেপ নেব। তিনি বলেন, সবাইকে সর্তক থাকতে হবে, যাতে কেউ আইন নিজের হাতে তুলে না নিই। অপরাধে যারাই জড়িত থাকুন না কেন কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা।
সচেতনতা সভায় প্রধান অতিথি এএসপি মো.তফিকুল আলম বলেন, চিরিঙ্গা ইউনিয়নের অতীতের রের্কড খারাপ থাকলেও এখন ভালো। অপরাধ করে কেউ সুখী হতে পারেনা। কারণ অপরাধীরা সবসময় ভীতিতে থাকেনা। আমি সেটি আর দেখতে চাইনা। সবাই ভালো পথে চলে আসুন, সুন্দর সমাজ সুন্দর দেশ বির্নিমানে নিজেকে নিয়োজিত করুন।
তিনি বলেন, পুলিশ বাহিনী অর্পিত দায়িত্ব পালনে সকলধরণের পরিস্থিতি মোকাবেলা করে কাজ করছেন। অতীতে পুলিশের মধ্যে পিছুটান থাকলেও এখন পুলিশের প্রতিটি সদস্য নির্ভয়ে কাজ করছেন। বিশেষ করে বর্তমান কক্সবাজার জেলা পুলিশ শতভাগ পেশাদারিত্বের সঙ্গে অর্পিত দায়িত্ব পালনে বদ্ধপরিকর রয়েছে। সেই আলোকে বলবো এখন থেকে সন্ত্রাস মাদক বাণিজ্য গরু-মহিষ চুরি এবং নারী নির্যাতন-ইভটিজিংয়ে জড়াবে তাদেরকে ছাড় দেওয়া হবেনা।
এএসপি তফিকুল আলম আরও বলেন বর্তমানে পুলিশের সেবা পেতে কোন টাকা লাগেনা। সত্যিকারের অপরাধীর বিরুদ্ধে কোন সুপারিশ ছাড়া, টাকা ছাড়া থানায় মামলা হবে। তবে এই ক্ষেত্রে পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে সেবাপ্রার্থীর কাছ থেকে কেউ টাকা চাইলে আমাকে জানাবেন। সঙ্গে সঙ্গে কঠোর ব্যবস্থা নেব।
পাঠকের মতামত: