নাজিম উদ্দিন, পেকুয়া ::
পেকুয়া উপজেলা সরকারী হাসপাতালে এবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক মানসিক ভারসাম্যহীন কিশোরীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে খোদ হাসপাতালের এম্বুলেন্সের চালক নুরুল আমিনের বিরুদ্ধে। মানসিক ভারসাম্যহীন ওই কিশোরীর বাড়ি কুতুবদিয়া উপজেলায়। বর্তমানে ওই কিশোরী পেকুয়া হাসপাতালের ৩য় তলায় মহিলা ওয়ার্ড়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে। গতকাল ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে পেকুয়া সরকারী হাসপাতালে ওই কিশোরী যৌন নির্যাতনের শিকার হন। ১৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় সরেজমিনে পেকুয়া হাসাপাতালের মহিলা ওয়ার্ড়ে গিয়ে ওই কিশোরীর সাথে আলাপ কালে সে জানায়, গতকাল রাতে হাসপাতালের এম্বুলেন্সের চালক আমিন তাকে হাসপাতালের নিচে এম্বুল্যান্স রাখার গ্যারেজের সামনে নিয়ে গিয়ে যৌন নির্যাতন চালায়। ওই (সংঘত কারনে নাম গোপন রাখা হলো) কিশোরী আরো জানায়, তাকে মুখ চেপে ধরে নুরুল আমিন যৌন নির্যাতন চালিয়ে ক্ষান্ত হননি; তাকে মারধরও করেছে। পরে সকালে এ ঘটনা জানাজানি হয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে নুরুল আমিন একাধিক বিয়েও করেছন। তিনি একজন মাদক সেবী। হাসপাতালের বাসায় তিনি প্রতিনিয়ত মাদক ও ইয়াবা সেবন করে। তার বিরুদ্ধে নারী কেলেংকারীর অহরহ অভিযোও রয়েছে। বর্তমানে তিনি তিন সন্তানের জনক। বর্তমান স্ত্রীর সাথে তার বনিবনা চলছে।
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে হাসপাতালের এম্বুলেন্সর চালক আমিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেছেন। তিনি জানান, মানসিক ভারসাম্যহীন ওই কিশোরীকে হাসপাতালের টিএইচের নির্দেশে গত ৭ সেপ্টেম্বর ভর্তি করা হয়েছে। তাকে কোন ধরনের নির্যাতন করা হয়নি। এসব তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলে দাবী করেছেন।
পেকুয়া সরকারী হাসপাতালের টিএইচও ডা: মুজিবুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এম্বুলেন্সের চালক আমিনের চরিত্র পূর্বে থেকেই খারাপ। চালক আমিন কর্তৃক কিশোরীকে যৌন হয়রানীর প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি জানান, গত ৭ সেপ্টেম্বর হাসপাতালের নিচে মানসিক ভারসাম্যহীন এক কিশোরী পায়ে আঘাত না নিয়ে পায়চারী করতে দেখলে আমি উদ্যোগ নিয়ে কিশোরীকে হাসাপাতালে ভর্তি করিয়েছি। যেহেতু কিশোরীটি মানসিক ভারসাম্যহীন একেক সময় একেক ধরনের কথাবার্তা বলেন।
পাঠকের মতামত: