ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় স্কুল ভবন সংস্কার কাজে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার, পেকুয়া :

পেকুয়ায় স্কুল ভবন সংস্কার কাজে অনিয়ম ও দূর্নীতি করায় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গত ৩০ এপ্রিল অভিযোগটি দায়ের করেন পেকুয়া উপজেলার টৈটং ইউনিয়নের সোনাইছড়ী গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা ও অনিয়ম দূর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার আজগর আলীর পুত্র পেকুয়া চৌমুহুনীর ডিস ব্যবসায়ী নুরুল আমিন। অভিযোগসূত্রে জানা যায় টৈটং ইউনিয়নের ১০ নং পশ্চিম সোনাইছড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি পরিত্যক্ত ভবন সংস্কার কাজে কার্যাদেশপ্রাপ্ত ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তারা নানান অনিয়ম ও দূর্নীতির আশ্রয় নিয়ে সরকারি টাকা লুটপাট করার জন্য অপচেষ্টা চালায়। পেকুয়া এল.জি.ইডি অফিস থেকে ওই স্কুলের পরিত্যক্ত ভবনটি সংস্কার নামে অর্থ বরাদ্দ দিয়ে দূর্নীতির আশ্রয় নিয়েছে। এই পরিত্যক্ত ভবনটির সংস্কারের জন্য সাত লক্ষ চৌদ্দ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়। নিয়ম বহিভুত ভাবে গত ২৮/০৫/২০১৭ ইং তারিখে ওই কাজের কার্যাদেশ পায় বি এন পি নেতা মাষ্টার জয়নাল আবেদীন। কার্যাদেশ পাওয়ার পর থেকে ওই পরিত্যক্ত ভবন সংস্কারের নামে অর্থ বরাদ্দ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ সরকারি অর্থ লুটের মহা উৎসবে মেতে উঠেছে। সে ঠিকাদারি করে দূর্নীতি রাজত্ব কায়েম করছে। নিজে কাজটি বাস্তবায়ন না করে আরেক দূর্নীতিবাজ ও সন্ত্রাসী মেহেদী হাসান নামক এক ডজন মামলার বাদী ও বিবাদী মামলাবাজ লোকের মাধ্যমে কাজটি যেমন তেমনভাবে করে অনিয়ম ও দূর্নীতির আশ্রয় নিয়ে কাজ চালাচ্ছে। পেকুয়া এল.জি.ই.ডি’র প্রকৌশলী জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী বরাবরে ঐ সংস্কার কাজে দূর্নীতি বন্ধে করার নিমিত্তে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও তিনি ঠিকাদারের সাথে আঁতাত করে কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এল.জি.ই.ডি’র প্রকৌশলী জাহেদুল ইসলাম, ঠিকাদার, সাব ঠিকাদার মেহেদী হাসান ঐ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মিজানুল করিম পরষ্পর যোগসাজসে যৌথ সিন্ডিকেট করে সরকারি বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে।

উল্লেখ্য যে, মিজানুল করিমের জ্ঞাত আয় বহির্ভূতভাবে বর্তমানে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছেন। সরকারি কর্মচারী হয়েও কিভাবে মিজানুল করিম কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন সেটা এলাকায় নানান রহস্য সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে ৫টি গাড়ীর মালিক এবং কোটি কোটি টাকা ব্যাংকে স্ত্রীর নামে সম্পত্তি অর্জন করে।

এদিকে অভিযোগকারী নুরুল আমিন এ প্রতিবেদককে জানান, বিদ্যালয়ের সংস্কার কাজের অনিয়য়-দূর্নীতির বিরুদ্ধে এল.জি.ই.ডি’র বরাবর লিখিত অভিযোগ করায় আমার উপর সন্ত্রাসী হামলা করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমি বাদী হইয়া চকরিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ঠিকাদার স্কুলের শিক্ষক ও ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করি। যাহার মামলা নং- ৮১৬/১৭ইং। মামলাটি তদন্তের জন্য কক্সবাজার পুলিশের তদন্তকারী সংস্থা পি.বি.আইকে প্রেরণ করে। পি.বি.আই তদন্তে বিদ্যালয়ের সংস্কারের অনিয়ন প্রতিবেদনে উল্লেখ করিলেও সন্ত্রাসীদেরকে আসামী করে অপারপর ঠিকাদার শিক্ষককে বাদ দেওয়ার জন্য সরকারি কাজে দূর্নীতির ফৌজদারী ধারা উল্লেখ না করে টাকার বিনিময়ে পি.বি.আই তদন্তকারী কর্মকর্তা তাদেরকে বাদ দিয়ে চকরিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে। ম্যাজিষ্ট্রেট সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বিগত ২২/০৪/২০১৮ইং তারিখে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করে। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন আছে। উক্ত পক্ষাবলম্বন করে একতরফা প্রতিবেদন এর বিরুদ্ধে কোন বিহীত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নি। ঐ আসামী সহ বিদ্যালয়ের কমিটির বিরুদ্ধে অনিয়ন দূর্নীতির বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার, কক্সবাজার ও উপ-পরিচালক প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, চট্টগ্রাম এবং মহা-পরিচালক প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, ঢাকা বরাবরে অভিযোগ দায়ের করি। মামলার ভিত্তিতে মাষ্টার মিজানুল করিম কে উক্ত বিদ্যালয় থেকে বদলি করে। দুনীতির বিরুদ্ধে স্বেচ্চার কেন জানতে চাইলে সে বলেন ২০১৪ সালে ২৬ শে মার্চ ঢাকা প্যারেড স্কায়ার ময়দানে বাংলাদেশ লাখে কন্ঠে সোনার বাংলা শপথে বলিয়ান হয়ে নিজে দূর্ণীতি করবো না কারো দূণীতি করতে দিবো না ওই আমি ওই স্থানে উপস্থিত হয়ে শপথ নিয়েছি।

পাঠকের মতামত: