ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় সাঁকো গুড়িয়ে দিল দুবৃর্ত্তরা, রাতে গুলিবর্ষন

পেকুয়া প্রতিনিধি :
পেকুয়ায় পাহাড়ী ছড়ার পারাপার সাঁকো গুড়িয়ে দিল দুবৃর্ত্তরা। এ সময় জনমনে ভীতি ছড়াতে এক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে দুবৃর্ত্তরা। এর জের ধরে উপজেলার টইটং ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ী ছনখোলার জুম এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। দীর্ঘ ২০ বছর আগে নির্মিত পাহাড়ী ছড়ার পারাপারের একমাত্র ঝুলন্ত বাঁশের সাকো গুড়িয়ে ফেলায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এতে করে গত কয়েকদিন ধরে ছনখোলার জুম গ্রামের অন্তত ২শতের অধিক পরিবার প্রায় অবরুদ্ধ হয়েছে। বাঁশের সাকো বিচ্ছিন্ন হওয়ায় এলাকায় যাতায়াত ব্যবস্থা থেমে গেছে। বিশেষ করে ওই এলাকার সাথে বনকাননের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ দিকে বাঁশের সাকো রাতের আধারে গুড়িয়ে দেয়ার এ ঘটনায় এলাকায় টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। আধিপত্য নিতে সংঘবদ্ধ ভাড়াটে অস্ত্রধারীরা রাতে ছনখোলার জুম এলাকায় সোনাইছড়ি পাহাড়ী ছড়ার উপর নির্মিত বাঁশের সাকো গুড়িয়ে ফেলেছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন। গ্রামবাসী জানায়, পাহাড়ী রিজার্ভ জায়গা নিয়ে ছনখোলার জুম এলাকার মৃত মাহামুদুল্লাহ মিস্ত্রীর ছেলেদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। স্থানীয়রা জানায়, মাহামুদুল্লাহ মেস্ত্রীর ৯ ছেলে,৩ মেয়ে পৈত্রিক সম্পত্তির ওয়ারিশ। ১৯৬২ সালের দিকে মাহামুদুল্লাহ মেস্ত্রী এ জায়গায় বসতি করেন। অভিযোগ উঠেছে, তার দ্বিতীয় ছেলে জয়নাল অপর ভাইদের এ জায়গা থেকে উচ্ছেদ করার পায়তারা করছে। জয়নাল তার শ্যালক কাছিমকে জায়গা বিক্রি করার অজুহাত সৃষ্টি করে অপর ওয়ারিশদের বিতাড়িত করার কৌশল করছে। এ নিয়ে এক মাস আগে ইউপি সদস্যকে নিয়ে বৈঠক হয়েছে। স্থানীয় দুই ইউপি সদস্য আবু ওমর, হাজী সাহাব উদ্দিন ও জুবাইদুল্লাহ লিটনসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বৈঠক করছিলেন। তবে বিষয়টি অমীমাংসিত থেকে যায়। স্থানীয়রা জানায়, মাহামুদুল্লাহর বড় ছেলে হেলাল মেস্ত্রী, আবু জাফর, আবুল কালাম, আবু তালেবসহ সব ওয়ারিশ জয়নালের লোভুতর কুদৃষ্টির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে। এর জের ধরে জয়নাল গত ২৮ অক্টোবর গভীর রাতে হেলাল মেস্ত্রীর বাড়িতে হানা দেয়। এ সময় ভাড়াটে অন্তত ১০/১২ জন বহিরাগত লোকজন সেখানে তান্ডব চালায়। এমনকি তারা হেলাল মেস্ত্রীর বাড়ির নিকট একমাত্র পারাপার বাঁশের সাকোটি গুড়িয়ে দেয়। পার্শ্ববর্তী পেঁপে বাগানের প্রহরীরা এসে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেন। এ সময় ভীতি ছড়াতে ১ রাউন্ড গুলি ছুড়ে। পেকুয়া থানার এস,আই সুব্রত দাশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আবদু সালাম সওদাগর ও নৈশ প্রহরী জানায়, তারা অন্যায় করেছে। ছেনুয়ারা, সাজেদা বেগম, মহালেছা বেগম, সাফিয়া বেগমসহ মহিলারা জানায়, তারা রাতের আঁধারে বাঁশের সাকো গুড়িয়ে দেয়। আমরা বের হয়েছিলাম। গুলি বর্ষন করায় ঘরের ভিতর ঢুকে পড়েছি।

পাঠকের মতামত: