মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, পেকুয়া-কুতুবদিয়া ::
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় সরকারী অফিসে বসে সাপ্তাহিক বন্ধের দিন দরিদ্র নারী মাতৃত্বকালীন ভাতাভোগীদের কাছ থেকে প্রকাশ্যে ঘুষ নিচ্ছে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহকারী!
ভুক্তভোগীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আজ আজ শনিবার সকাল ১০টা ১৫ মিনিটের দিকে পেকুয়া উপজেলা পরিষদ ভবনের নিচ তলায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পেকুয়া মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার অফিস সহকারী বেলায়েত হোসেন ও আরেক অফিস সহায়ক মিলে বারবাকিয়া ইউনিয়নের দরিদ্র নারীদের কাছ থেকে মাতৃত্বকালীন ভাতার ব্যাংক হিসাব খোলার ফরম পুরণের নামে প্রকাশ্যে ঘুষ নিচ্ছেন। এসময় কয়েকজন দরিদ্র নারী ভুক্তভোগীরা বলেন, ব্যাংক হিসাব খোলার ফরম পুরনের জন্য ১৫০ টাকা করে আমাদের কাছ থেকে নেয়া হচ্ছে। অফিস সহকারী বেলায়েতস সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত প্রায় ৫০ জন দরিদ্র নারীদের কাছ থেকে ১৫০ টাকা করে ঘুষ আদায় করেছেন। এদিকে পেকুয়া মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের সহকারী বেলায়েতের ঘুষ গ্রহণের বিষয়টি তাৎক্ষণিক এ প্রতিবেদক মুঠোফোনে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কামাল হোসেনকে অবহিত করেন। এরপরে ডিসির নির্দেশে ইউএনও মাহবুব উল আলম দ্রুত মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে এসে অফিস সহকারী বেলায়েত হোসেনকে দরিদ্র নারীদের কাছ থেকে ঘুষের টাকা না নেওয়ার জন্য বলেন। তবে দেখা গেছে, ইউএনও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয় ত্যাগ করার সাথে সাথেই বেলায়েত ফের ঘুষ নেওয়া শুরু করেন।
ঘুষ গ্রহনের বিষয়টি জানতে চাইলে পেকুয়া মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহকারী বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘আমরা একাউন্ট করার জন্য টাকা নিচ্ছি। এত টাকা কেন নিচ্ছেন জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেনি।
পেকুয়া উপজেলা মহিলা বিষয়ক কার্যালয়ের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা মোছাম্মৎ হাবিবা জাহান এ প্রসঙ্গে বলেন ‘ ইউএনও স্যার আমাকে বিষয়টি অবহিত করেছেন। তিনি শনিবার সাপ্তাহিক বন্ধের দিন কার্যালয়ে আসেননি। তার কার্যালয়ের অফিস সহকারী বেলায়েত কর্তৃক দরিদ্র নারীদের কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
কক্সবাজার জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সুব্রত বিশ্বাসকে এ এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষন করা হলে তিনি বলেন ‘সরকারী অফিসে বসে ঘুষ গ্রহণের বিষয়ে পেকুয়া উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ঘুষ গ্রহণের সাথে জড়িত কর্মচারীকে কোনভাবেই ছাড় দেওয়া হবেনা বলে তিনি জানান।’
পাঠকের মতামত: