পেকুয়ায় ঘুর্নিঝড় রোয়ানুর আঘাতে মগনামা জেটিঘাটে ফাটল দেখা দিয়েছে। রোয়ানুর সময় সমুদ্রে জোয়ারের পানি আকষ্কিকভাবে বৃদ্ধি পায়। কুতুবদিয়া চ্যানেলে প্রচন্ড ঢেউ ওই জেটিঘাটে আঘাত হানে। এ সময় মগনামা থেকে কুতুবদিয়া পারাপারের একমাত্র জেটিঘাটের মুল ফটক মারাত্বকভাবে ফাটল হয়েছে। জেটিঘাটের মুল ভখন্ড অংশের সাথে মুল জেটিঘাট পৃথক হয়ে গেছে। ওই সময় থেকে জেটিঘাটের টার্মিনালের গাড়ি যাতায়ত বন্ধ রয়েছে।
ঘুর্নিঝড় রোয়ানুর আঘাতে উপকুলের সবচেয়ে ব্যস্ততম মগনামা জেটিঘাট বিধ্বস্থ হওয়ায় কুতুবদিয়া জেটি পারাপারে যাত্রীদের মারাত্বক ঝুঁকি দেখা দিয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। মগনামা জেটিঘাটে নানা প্রান্ত থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী নদী পারাপার করে। নদী পয়েন্টে চিত্ত বিনোদনের জন্য প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে শতশত দর্শনার্থীর মিলনমেলা হয়। টার্মিনাল পয়েন্টে সাগরের ঢেউ ও বিচ্ছিন্ন দ্বীপ কুতুবদিয়াকে খুব কাছে থেকে অবলেঅকন করতে ছুটে যান। কিন্তু জেটিঘাটে ফাটল দেখা দেয়ায় যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
বাংলাদেশ ওয়াটার ডেভলেপমেন্ট অথরিটি কতৃপক্ষ যাত্রী পারাপারের জন্য উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের কুতুবদিয়া চ্যানেলে জেটিঘাট স্থাপন করেন। বিগত এরশাদ সরকারের সময় ক্ষুদ্র পরিসরে মগনামা ঘাটে জেটি স্থাপন করেন। পরবর্তীতে ২০০৪সালে নদীর চর জেগে উঠা অংশে জেটিঘাট অধিক সম্প্রসারন করা হয়। এ সময় মুল ভুখন্ড থেকে দৈর্ঘ্য জেটি স্থাপনের পাশাপাশি নদী সিমানায় স্থাপান করা হয় টার্মিনাল। রোয়ানুর সময় সমুদ্রের ঢেউয়ের প্রচন্ড আঘাতে জেটিঘাটের প্রতিরোধক হিসাবে ব্যবহৃত ব্লক ও সিমেন্টের পলক ঢেউয়ের তোড়ে সাগরে বিলিন হয়ে যায়। মাটি সরে গিয়ে মুল জেটিঘাট থেকে আলাদা হয়ে যায়।
জেটিঘাটে আসা যাত্রী ইলিয়াছ, মুন্নি, জান্নাতুল ফেরদৌস, আইয়ুব আলী, দর্শনার্থী মনছুর, শাহাব উদ্দিন, রেবেকা, সাবিনা জানায় যেভাবে ফাটল দেখা দিয়েছে মনে হয় জেটিঘাট আর বেশি দিন স্থায়িত্ব হবেনা। বিধ্বস্থ অংশ দ্রুত সংস্কার করতে হবে। গাড়ি যাতায়ত বন্ধ আছে। পায়ে হেটে উঠতেও ঝুঁকি মনে হচ্ছে। টোল আদায়কারী নুরুল আবছার জানায় রোয়ানুর সময় ভেঙ্গে গেছে। আমরা মাটি ও বালির বস্তা দিয়ে আপাতত ক্ষত ঠেকিয়েছি। গাড়ি চলছেনা।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ রাজু জানায় কতৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ফাটলের কারনে জেটিঘাট বিপদজনক হয়েছে। ভোগান্তি দুর্ঘটনার সম্ভবনাও দেখা দিয়েছে। বিনোদনের জন্য বিকেল বেলায় শতশত মানুষ জেটিঘাটে আসে। ফাটলের কারনে দর্শনার্থীর সংখ্যা অনেক কমে গেছে।
পাঠকের মতামত: