নিজস্ব প্রতিবেদক ::
পেকুয়ায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন অনুষ্ঠানে কেক কাটা নিয়ে দু’গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে কেউ গুরুতর আহত না হলেও পেকুয়া উপজেলা বিএনপি অফিস ভাংচুর করা হয়েছে।
শুক্রবার (১সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে পেকুয়া বাজারস্থ উপজেলা বিএনপি অফিসে এ ঘটনা ঘটে। এসময় পেকুয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, দলের সিনিয়র নেতাকর্মী সহ প্রায় পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া পেকুয়া বাজারে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। ঈদের কেনাকাটায় বাজারে ব্যস্ত থাকা মানুষ প্রাণভয়ে দ্রুত বাজার ত্যাগ করে। ব্যবসায়ীরা বন্ধ করে দেয় তাদের প্রতিষ্ঠান। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পেকুয়া উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক কামরান জাদিদ মুকুট বলেন, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী কেক কাটার সময় পেকুয়া উপজেলা বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ইউসুফ রুবেল পেকুয়া উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মুজিবুল হক চৌধুরীকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি সিটকে পড়লে উপস্থিত নেতাকর্মীরা ক্ষিপ্ত হন। এতে ক্ষোব্দ নেতাকর্মীদের গণধোলাইর শিকার হন ইউসুফ রুবেল, পেকুয়া উপজেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আকিক মামুন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোঃ এরশাদ ও যুগ্ন সম্পাদক এটিএম জাহেদ। তারা সকলেই ইউসুফ রুবেলের অনুসারী।
তিনি আরো বলেন, এর আগেও দলীয় শৃংখলা ভঙ্গের দায়ে মোঃ এরশাদ ও এটিএম জাহেদ উপজেলা ছাত্রদল থেকে বহিষ্কার হয়েছিলেন।
পেকুয়া উপজেলা বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ইউসুফ রুবেল বলেন, পূর্বপরিকল্পিতভাবে পেকুয়া উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ও ছাত্রদলের সভাপতি কামরান জাদিদ মুকুটের নেতৃত্বে তার অনুসারীরা আমার উপর হামলা চালায়। তাদের নিভৃত করতে গিয়ে পেকুয়া সদর পূর্বজোন বিএনপির মাহাবুবুল করিম আহত হন।
পেকুয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন কেক কাটার সময় অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টির কথা স্বীকার করে বলেন, দলীয় মতানৈক্যের কারণে ঘটনাটি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ঈদের পরে বৈঠকের মাধ্যমে জড়িতদের ব্যাপারে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পাঠকের মতামত: