পেকুয়া প্রতিনিধি :::
পেকুয়ায় টইটং হাজ্বিবাজার ব্যবসায়ী (বণিক) সমিতির নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চিয়তা দেখা দিয়েছে। আগামি ৫জুন টইটংয়ের অন্যতম বানিজ্যিক কেন্দ্র হাজ্বি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচনের জন্য ভোট গ্রহনের দিনক্ষন চুড়ন্ত ছিল। তফশীল ঘোষিত হয়েছে। তবে নেতৃত্বের দ্বন্ধ নিয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে প্রকাশ্যে বিরোধ দেখা দিয়েছে। হাজ্বি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচন স্থগিত চেয়ে পেকুয়ার নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে গতকাল সোমবার (৩০মে) ব্যবসায়ী ও প্রতিষ্টানের স্বত্তাধিকারী শহিদুল ইসলাম মানিক বাদি হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় বাদি অভিযোগ করেছেন হাজ্বি বাজার প্রতিষ্টা লগ্ন থেকে তার পিতা শামসুল ইসলাম ব্যবসার সাথে জড়িত। পিতার মৃত্যুর পর রেখে যাওয়া সম্পত্তিতে হাজ্বি বাজারে মানিক ব্যবসা প্রতিষ্টানের স্বত্তাধিকারী হিসেবে বনিক সমিতির সাথে তার নিবীড় সম্পর্ক। গত নির্বাচনে শহিদুল ইসলাম মানিক সেক্রেটারী পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করেন। মাত্র এক ভোটের ব্যবধানে তিনি পরাজিত হন। এবারের নির্বাচনে ভোটার চুড়ন্ত তালিকায় ৮৮নং সিরিয়ালে অর্ন্তভুক্ত আছে।
শহিদুল ইসলাম মানিক জানায় নির্বাচনে আমি সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্ধিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ভোটাররা আমাকে নিশ্চিত বিজয় করবে। সেটি বুঝতে পেরে বর্তমান সভাপতি আনোয়ারুল হক বদু চক্রান্ত করে তার নাম ভোটার তালিকা থেকে কর্তন করে। আমার মৌলিক অধিকার খর্ব হওয়ায় আমি নির্বাহী ম্যজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা করছি।
ভোটার ডা.আব্দুল গফুর, স্বপন দাশ, আব্দুল খালেক, আব্দু জাব্বার, সুজিত সিকদার, দুলামিয়া জানায় মানিককে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেয়ার প্রশ্ন উঠেনা। তিনি গতবারেও ভোট করেছেন। বাজারে নিজস্ব দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্টান রয়েছে। আমরা তাকে সভাপতি পদে নির্বাচনে দেখতে চাই। চক্রান্ত করে তাকে সরানোর চেষ্টা চলছে।
হাজ্বি বাজার বনিক সমিতির সভাপতি আনোয়ারুল হক বদু জানায় বাজারে মানিকের কোন দোকান নেই, ব্যবসাও নেই। বোনকে মালিকানা বিক্রি করা হয়েছে। ব্যবসায়ী ছাড়া নির্বাচনে ভোট দেয়ার কিংবা প্রতিদ্বন্ধিতা করার কারো এখতেয়ার নেই। পেকুয়ার নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো.মারুফুর রশিদ খান জানায় বিষয়টি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সমবায় কর্মকর্তার কাছে তদন্তভার ন্যস্ত করা হয়েছে।
#####################
পেকুয়ায় হামলায় মহিলাসহ আহত-৬ পুলিশ মামলা নিল ভিকটিমদের বিরুদ্ধে
পেকুয়া প্রতিনিধি :::
পেকুয়ায় দুর্বৃত্ত হামলায় ৫গৃহবধু ও অন্তঃসত্তা মহিলাসহ মহিলাসহ একই পরিবারের ৬জন গুরুতর আহত হয়েছে। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে পেকুয়া হাসপাতালে ভর্তি করে। ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের টেকঘোনাপাড়া এলাকায়। আহতরা হলেন ওই এলাকার মো.হোসেনের স্ত্রী সালমা বেগম (৩৫), কামাল হোসেনের স্ত্রী কুলসুম আরা বেগম (২৬), সেকান্দারের স্ত্রী কমরুন্নাহার (২৬), মনোয়ার হোসেনের স্ত্রী জান্নাত আরা বেগম (২৭) আহমদ হোসেনের ছেলে কামাল হোসেন (৩০) ও তার পিতা বৃদ্ধ আহমদ হোসেন (৬৭)। এদের মধ্যে সালমা বেগম সাত মাসের অন্তঃসত্তা বলে জানা গেছে। ঘটনার জের ধরে স্থানীয় দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। পেকুয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। উভয়পক্ষ পরষ্পরপরকে দায়ী করে থানায় পৃথক এজাহার দিয়েছেন।
অভিযোগ উঠেছে পুলিশ মামলা নিয়েছে হামলাকারিদের। বৃদ্ধ আহমদ হোসেন বাদি হয়ে একই এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে নুরুল আলমকে প্রধান আসামি করে ১২জনের বিরুদ্ধে পেকুয়া থানায় ওইদিন রাতে লিখিত এজাহার দায়ের করেন। কিন্তু পুলিশ মোটাংকের টাকায় ম্যানেজ হয়ে হামলাকারি নুরুল আলম গংদের দায়েরকৃত এজাহারটি থানায় নিয়মিত মামলা হিসেবে রেকর্ড় করেন।
এদিকে ঘটনার ৫দিন অতিবাহিত হয়েছে। আহতদের মধ্যে সালমাসহ চার গৃহবধুর অবস্থা এখনো গুরুতর। ভিকটিমরা আইনি সহায়তার জন্য পুলিশের ধারস্থ হয়েছে। পুলিশ এখনো পর্যন্ত আহতদের দায়েরকৃত এজাহারটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করেননি বলে বাদি আহমদ হোসেন পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন।
আহমদ হোসেন জানায় টেকঘোনা এলাকায় ৯শতক জায়গা নিয়ে নুরুল আলম গংদের সাথে বিরোধ চলছিল। নুরুল আলম জোর করে জায়গা দখলের জন্য ওইদিন সকালে ভাড়াটে আবুল শামাসহ ১০-১২জনের অস্ত্রধারী জায়গায় অনুপ্রবেশ করে। তারা অবৈধ স্থাপনা তৈরীর চেষ্টা করলে এ সময় আমরা বাধা দিই। তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ধারালো অস্ত্রদিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আমাদেরেেক আহত করে।
ইউপি সদস্য বাদশাহ’র কাছে বিচার ছিল। বিচার অমান্য করে তারা বর্তমানে আমার জায়গায় ঘর তৈরী করেছে। ইউপি সদস্য বাদশাহ জানায় নুরুল আলম বিচার না মেনে জোর করে আহমদ হোসেনের জায়গায় ঘর করেছে। তাদেরকে আঘাতও করা হয়েছে।
ইউপির চেয়ারম্যান ছৈয়দনুর জানায় আমি উভয়পক্ষকে বিচারে হাজির থাকতে বলেছি। কিন্তু নুরুল আলম অগ্রাহ্য করে লোকজন নিয়ে জায়গা দখলে যায়। এখন উল্টোও মামলাও দিয়েছে নিরহ আহমদ হোসেন গংদের।
পাঠকের মতামত: