ঢাকা,সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় দ্রুত বেড়িবাঁধ সংস্কার দাবিতে এলাকাবাসির স্মারকলিপি

পেকুয়া প্রতিনিধি ::

পেকুয়ায় দ্রুত বেড়িবাঁধ সংস্কার কাজ বাস্তবায়ন দাবিতে পেকুয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউএনও’র নিকট স্মারকলিপি দিয়েছেন এলাকাবাসি। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের ১ ও ২ নং ওয়ার্ড়ের গ্রামবাসিদের পক্ষে ওই স্মারকলিপি প্রেরন করা হয়েছে। এ সময় প্রায় দু’শতাধিক উপকুলবর্তী মগনামা ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাবাসিরা উপজেলা পরিষদ চত্তরে অবস্থান নেন। দ্রুত বেড়িবাঁধ সংস্কার দাবিতে তারা ব্যানারসহ কলেজ গেইট চৌমুহনী থেকে সড়ক প্রদক্ষিন করে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ রাজু ও ইউএনও মো.মারুফুর রশিদ খান বরাবর লিখিত আবেদন স্মারকলিপি সহকারে পেশ করেন। এ সময় মগনামা ইউনিয়নের হারুন মাতবরপাড়া, লালমিয়াপাড়া, ঘাটমাঝিরপাড়া, মৌলারপাড়া, ফতেয়আলীরমার পাড়া, শরৎঘোনা, পশ্চিম বাজারপাড়া এলাকা থেকে লোকজন পেকুয়ায় জড়ো হয়েছে। সাবেক ইউপি সদস্য মোকতার আহমদ, নুরমোহাম্দ, মাহমুদুল হক, সাকলাইন, শাহজাহান, মো.রশিদ, রিয়াজ উদ্দিন স্থানীয়দের পক্ষে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এদিকে গত ২১ মে ঘুর্নিঝড় রোয়ানুর আঘাতে কুতুবদিয়া চ্যানেল সংশ্লিষ্ট মগনামা অংশের পাউবোর নিয়ন্ত্রিত বেড়িবাঁধ বিলিন হয়েছে। শরৎঘোনা জাবের আহমদের বাড়ি থেকে চরখানাই হুমায়ন চৌধুরীর প্রজেক্ট পর্যন্ত প্রায় এক কি. বেড়িবাঁধ সম্পুর্ন বিলিন হয়ে যায়। ওই ভাঙ্গন অংশ দিয়ে সাগরের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে মগনামার ১ ও ২নং ওয়ার্ড়ের বিপুল এলাকা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। বর্তমানে ওই দু’ওয়ার্ড়ে নিয়মিত জোয়ার ভাটায় পরিনত হয়েছে। সাগরের সাথে একাকার হয়েছে লোকালয়। মগনামা ইউনিয়নের বিপুল অংশ সাগরের লোনা পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। বাড়িঘর বিধ্বস্থ হয়েছে। পুকুর ও খাল বিলে লবনাক্ততা হয়েছে। পানির তোড়ে হাজার হাজার শিক্ষার্থীর বই পুস্তুক ও শিক্ষা উপকরন বিনষ্ট হয়েছে। চিংড়িঘের পানিতে তলিয়ে গেছে। লাখ লাখ মন লবন পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে। গত ১০দিন আগে বেড়িবাঁধ বিলিন হলেও এখনো সংস্কারের মুখ দেখেনি। স্মারকলিপিতে তারা উল্লেখ করেছেন দ্রুত সময়ে বেড়িবাঁধ সংস্কার না হলে দু’ওয়ার্ড়ের বিপুল জনগোষ্টিসহ মগনামা ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ অস্থিত্বহীন হয়ে পড়বে। আগামি জুঁতে আরো ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হবে। পেকুয়ার ইউএনও মো.মারুফুর রশিদ খান জানায় এলাকাবাসিরা সরকারের উধ্বতন মহলকে অবহিত করতে বেড়িবাঁধ সংস্কার দাবি জানিয়ে আমি বরাবরে স্মারক লিপি দিয়েছেন। পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে কথা বলেছি। আগামি কাল (আজ) বুধবার পাউবো বেড়িবাঁেধর অবস্থা নিরুপনের জন্য পরিদর্শনে আসবে। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ রাজু জানায় জেলা প্রশাসককে সমন্বয় সভায় মগনামার দুর্ভোগের কথা জানানো হয়েছে। ঠিকাদার ও পাউবো এ অবস্থার জন্য দায়ী।

###############

পেকুয়ায় ‘রোয়ানু’ ক্ষতিগ্রস্থদের পুর্নবাসন সহায়তা করল পিল লি.

পেকুয়া প্রতিনিধি :::

পেকুয়ায় ঘুর্নিঝড় ‘রোয়ানুর’ আঘাতে ক্ষতিগ্রস্থ ১শ পরিবারকে পুর্নবাসন সহায়তা জন্য এগিয়ে এসেছেন পেকুয়ায় গ্যাস সঞ্চালন লাইন স্থাপনে ঠিকাদারি প্রতিষ্টান দি পাইপলাইন ইঞ্জিনিয়ার্স এন্ড এসোসিয়েটস লি. (পিইএএল)। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় পেকুয়া উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে রোয়ানু ক্ষতিগ্রস্থ পেকুয়ার এসব পরিবারকে ঠিকাদারি প্রতিষ্টানের পক্ষ থেকে অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এ উপলক্ষে এক আলোচনা ও চেক বিতরনী সভা অনুষ্টিত হয়েছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাসান মুরাদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন পিইএএল এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর রিসাল মাহমুদ। প্রধান অতিথি ছিলেন ইউএনও মো.মারুফুর রশিদ খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন পেকুয়া থানার অফিসার ইনর্চাজ জিয়া মো.মোস্তাফিজ ভুঁইয়া, উপজেলা আ’লীগ সাধারন সম্পাদক আবুল কাসেম। জানাগেছে গ্যাস সঞ্চালন লাইন স্থাপনে জিটিসিএল এর ঠিকাদারি প্রতিষ্টান পিইএএল পেকুয়ায় কাজ করছে। গেল ঘুর্নিঝড় রোয়ানুর আঘাতে পেকুয়ায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দরিদ্র মানুষের গৃহ নির্মান সহায়তার জন্য তারা দুর্গত মানুষকে ঢেউটিন বিতরন করবে। ক্ষতিগ্রস্থ প্রায় ১শ পরিবারকে এক বান করে টিন বিতরনের জন্য ওইদিন ইউএনও মো.মারুফুর রশিদ খানকে নগদ তিন লাখ টাকার চেক প্রদান করেন। একইভাবে পেকুয়া সদর ইউনিয়নে গ্যাস সঞ্চালন লাইন স্থাপনে ক্ষতিগ্রস্থ চল্লিশ পরিবারকে চার লাখ টাকা পুর্নবাসন সহায়তা দেয়া হয়েছে। ইউপি সদস্য নুরুল হক সাদ্দাম ওই চেক গ্রহন করেন। উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানে শিক্ষার্থীদের স্কুল ড্রেস সরবরাহের জন্য পিইএএল এর পক্ষ থেকে এদিন পাঁচ লাখ ষাট হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়েছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাসান মুরাদ চৌং ওই চেক গ্রহন করেন। অনুরুপভাবে ওইদিন উপজেলায় পাঠাগারে পুস্তাকাধি সরবরাহের জন্য দু’লাখ টাকার অর্থ সহায়তা করা হয়েছে।

পাঠকের মতামত: