মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, পেকুয়া ::
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় দিনে-দুপরে এক ব্যসসায়ীকে গুলি করে ও পিঠিয়ে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে চিহ্নিত দূর্বূত্তরা। গুলিবিদ্ধ ব্যবসায়ীর নাম ফকরুল ইসলাম চৌধুরী মানিক (৫০)। তিনি পেকুয়া সদর ইউনিয়নের বকসু চৌকিদার পাড়া গ্রামের মরহুম ফরোখ আহমদ চৌধুরীর পুত্র। ঘটনাটি ঘটে. আজ ১১ ফেব্রেুয়ারী রোববার সকাল ১০টার দিকে স্থানীয় বকসু চৌকিদার পাড়া গ্রামে।
আহতের পরিবার ও স্থানীয়দের সূত্রে জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসায়ী ফকরুল ইসলাম চৌধুরী মানিকের কাছ থেকে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে আসছিল একই ইউনিয়নের ছিরাদিয়া গ্রামের হেলাল উদ্দিনের পুত্র বহু মামলার আসামী লিটন (৩০)। ঘটনার দিন সকালে ফকরুল ইসলাম মানিকের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করে লিটনসহ আরো কয়েক দূর্বুত্ত। ওই ব্যবসায়ী চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে লিটন। পরে লিটন ব্যবসায়ী ফকরুল ইসলাম চৌধুরীকে লক্ষ্য করে ১০/১২ রাউন্ড গুলি ছূড়লে তিনি গুরুতর আহত হয়ে মাঠিতে লুটিয়ে পড়েন। তখন লিটনের সাথে থাকা আরো তিন দূর্বূত্ত গুলিবিদ্ধ ব্যবসায়ীকে পিঠিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়। এসময় গুলির আওয়াজ শুনতে পেয়ে ব্যবসায়ীর পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসীরা এগিয়ে আসলে অস্ত্রধারী লিটনসহ আরো কয়েকজন হামলাকারী পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, সম্প্রতি সময়ে লিটন নামের ওই যুবক এলাকায় একটি বাহিনী গঠন করে নানান ধরনের অপকর্ম সংগঠিত করে আসলেও স্থানীয় প্রশাসন রহস্যজনক কারণে কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। ফলে দিন দিন চরমভাবে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ওই লিটনের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী বাহিনী। গত কয়েক মাস পূর্বে মগনামা ধারিয়াখালী এলাকার নিরহ এক লবণ চাষী আবদুর রহিমকে একটি দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ফাসিয়ে ছিলেন ওই লিটন। এ ধরনের অপকর্মের পরেও প্রশাসনের আস্কারায় পার পেয়ে যাচ্ছে লিটন। এদিকে ঘটনার পর পরই পেকুয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
আহত ব্যবসায়ী ফকরুল ইসলামের ভাতিজা দিদারুল করিম জানান, তার চাচার উপর হামলার অভিযোগে লিটনসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
পেকুয়া থানার ওসি জহিরুল ইসলাম জানান, ব্যবসায়ীর উপর হামলাকারীদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
পাঠকের মতামত: