ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় টাকা না পেয়ে প্রবাসির জায়গায় বেড়া দিল দূবৃর্ত্তরা

পেকুয়া প্রতিনিধি.08

পেকুয়ায় ৭ শতক জায়গা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দিয়েছে। একটি চাঁদাবাজ চক্র দাবিকৃত টাকা না পেয়ে জবর দখলে নিতে দিনে দুপুরে বাঁশের ঘেরা দেয় প্রবাসির মালিকানাধীন জায়গায়। এনিয়ে উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের নতুনঘোনা এলাকায় দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়রা প্রবাসির জায়গায় অবৈধ স্থাপনা না করতে ওই চক্রকে তাগিদ দেন। কিন্তু চাঁদাবাজ চক্রটি গায়ের জোরে দীর্ঘ ৫০বছরের ভোগ দখলীয় জায়গাতে দেয় বাঁশের ঘেরা। জায়গা দখলের এ ঘটনা ঘটে উজানটিয়া ইউনিয়নের পেকুয়ারচর ও নতুনঘোনা এলাকায় গতকাল ১৯ এপ্রিল বুধবার দুপুর ১২টার দিকে। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, মগনামা ইউনিয়নের চেরাংঘোনা এলাকায় ৭ শতক জায়গা নিয়ে উজানটিয়া ইউনিয়নের নতুনঘোনা এলাকার প্রবাসি হাজ¦ী নওশা মিয়ার ছেলে নুর মোহাম্মদ, নুরুল আবছারের ছেলে শফিউল আলম গং ও একই এলাকার মৃত. বদিউল আলমের ছেলে গিয়াস উদ্দিন প্রকাশ আব্দুল হকের বিরোধ চলছিল। শফিউল আলম গং ওই জায়গা খরিদা স্বত্তের মালিক। তারা চেরাং বংশের ওয়ারিশদের কাছ থেকে বিপুল জায়গা খরিদ করেন। কইড়া বাজার-সোনালী বাজার সড়কের চেরাংঘোনা মোকামে সড়কের পাশের জায়গাগুলো পাউবো ব্যক্তি মালিকানায় সারেন্ডার করেন। বর্তমানে ওই জায়গা দিআরআর রেকর্ডভুক্ত হয় শফিউল আলম গংদের নামে। জায়গা মগনামা মৌজায়। কিন্তু গিয়াসউদ্দিন উজানটিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা। মগনামা মৌজায় তার কোন নালি জমি নেই। এরপরেও ওই জায়গা তার মাথাকিলা দাবি করে দখল প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। এর জের ধরে ওইদিন দুপুরে গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্বে ৮/১০ জনের দূবৃর্ত্তরা শফিউল আলম গংদের জায়গায় বাঁেশর ঘেরা দেয়। শফিউল আলম গং ৭ শতক জায়গায় করে মাছ চাষের জন্য পুকুর খনন করে। নতুন মাঠির পাড়ে গিয়াস উদ্দিন এ ঘিরা দেয়। এব্যাপারে শফিউল গং অভিযোগ করে বলেন, গিয়াস উদ্দিন কয়েকদিন আগে থেকে জায়গাটি দখলের কথা বলে আমাদের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। দাবিকৃত চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তার নেতৃত্বে ৮/১০জন দূবৃর্ত্ত বাশের ঘেরা দেয়। বিষয়টি জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানিয়েছি। জায়গাটি আমাদের খরিদা স্বত্ত। তার কোন কাগজ পত্র নেই।

পাঠকের মতামত: