পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের আতরআলী পাড়ার সাইক্লোন সেন্টারে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুতে আশ্রয় নেওয়া জায়গা দখল নিয়ে সংঘর্ষে ২জন আহত হয়েছে। আহতরা হলেন, একই এলাকার ঠান্ডার পাড়ার আজিজুর রহমানের স্ত্রী মমতাজ বেগম(৪০) ও তার শিশু পুত্র প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র শফিউল আলম(১২)। তার মধ্যে মমতাজ বেগমের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করে পেকুয়া সরকারী হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক। ঘটনাটি ঘটেছে ২১ মে দুপুর একটায়।
আহত মমতাজ বেগমের স্বামী আজিজুর রহমান জানান, ঘটনার দিন তার পরিবারসহ ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু থেকে বাঁচতে আতর আলী পাড়া সাইক্লোন সেন্টারের ২য় তলার একটি জায়গায় অবস্থান করি। এরই মধ্যে একই এলাকার মৃত নন্না মিয়ার পুত্র শাহাবউদ্দিন, শাহাজামাল ও তার পুত্র মোজাম্মেল, মৃত মহিউদ্দিনের পুত্র বেলাল উদ্দিন তার পুত্র মো: মুজিবসহ আরো কয়েকজন ওই জায়গার পার্শ্বে অবস্থান নেন। পরে তাদের আরো জায়গা লাগবে মর্মে আমাদের জায়গা ছেড়ে দিতে বলে। এ সময় আমার স্ত্রী জায়গা ছেড়ে না দেওয়া ও অন্য একটি জায়গা ব্যবস্থা করে দেওয়ার কথা বললে হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে আমি খবর পেয়ে তাদেরকে স্থানীয় লোকদের নিয়ে উদ্ধার করে পেকুয়া সরকারী হাসপাতালে নিয়ে আসার চেষ্টা করলে স্থানীয় এমইউপি ওসমাণ গণি ওখানে প্রাথমিক চিকিৎসার কথা বলে বাঁধা প্রদান করেন। এ সময় আমার স্ত্রী রক্তভূমি করলে তাতে স্থানীয়রা প্রতিবাদ মুখুর হয়ে ওঠে। এক সময় তাদের পেকুয়া সরকারী হাসপাতালে নিয়ে আসি। তার মধ্যে আমার স্ত্রীর মাথায় আঘাত গুরুতর হওয়ায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করেন। এ বিষয়ে তিনি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এমইউপি ওসমাণ গণি জানান, ওই মহিলাটিকে হামলা চালিয়ে আহত করলে আমি তাৎক্ষনিক স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করি। আমি তাতে বাঁধা প্রদান করি নাই।
পাঠকের মতামত: