ঢাকা,সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় গ্যাস লাইনে হাইড্রোস্ট্যাটি পরীক্ষামূলক সঞ্চালনে ১৬কি.মিটারে সতর্কতা

12144705_889534974455838_5989135785643671443_nনিজস্ব প্রতিনিধি. পেকুয়া:

পেকুয়ায় গ্যাস লাইনে পরীক্ষামূলক সঞ্চালন করতে যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এনিয়ে উপজেলার ১৬কিলোমিটার এরিয়ায় সতর্কতা জারী করা হয়েছে। গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানির পক্ষ থেকে পাইপলাইনে উচ্চচাপে (১৬৫০পিএসআই) সম্পুর্ন হওয়ায় পেকুয়াসহ কক্সবাজার জেলা ও চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী সীমানা পর্যন্ত প্রায় ১৬কি.মিটার এলাকা জুড়ে বিশেষ সর্তকতা জারি করা হয়েছে। জানাগেছে গত তিন মাস আগে থেকে গ্যাস সঞ্চালন লাইন স্থাপন কাজ চলমান রয়েছে। সরকারের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার সোনাদ্বিয়া থেকে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা পর্যন্ত প্রায় ৯২কি.মিটার স্থাপন কাজ চলমান রয়েছে। ৯৯২কোটি টাকা ব্যায়ে বাস্তবায়ন কাজ করছেন পেট্টোবাংলা। এর সহযোগি প্রতিষ্টান জিটিসিএল আনোয়ারা থেকে মহেশখালী পর্যন্ত কাজ বাস্তবায়নে কার্যাদেশ পান। জানাগেছে গ্যাস সঞ্চালন স্থাপনে ভুগর্ভস্থ পাইপ স্থাপন করা হয়েছে। গ্যাস সঞ্চালনের পাইপলাইন প্রকল্পের সেকশন-সি অংশে শুরু করা হবে হাইড্রোস্ট্যাটিক টেস্ট। পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের মাতামুহুরী নদী অববাহিকা উজানটিয়া মৌজার করিয়ারদ্বিয়া পর্যন্ত আনুমানিক ৪.২ কি.মিটারে ভুগর্ভস্থ পাইপলাইনে এ টেস্ট চলবে। একইভাবে ওই ইউনিয়নের কোহেলি নদী করিয়ারদ্বিয়া মৌজার ৩.২৫ কি.মি এবং মাতামুহুরী নদী হতে চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালীর নাপুরা পর্যন্ত আনুমানিক ১৬কি.মিটারে হাইড্রোস্ট্যাটিক টেস্ট হবে। জানাগেছে গ্যাস সঞ্চালন লাইনে হাইড্রোস্ট্যাটিক টেস্ট চলবে প্রায় ৫দিন। আগামি (২১মে শনিবার) থেকে বুধবার পর্যন্ত এ টেস্ট চলবে বলে গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লি.এর প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল্লাহ আল গালিব নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন হাইড্রোস্ট্যাটিক টেস্ট চলার সময় অনেকটা ঝুঁকি থাকে। তাই পরীক্ষা নিরীক্ষার সময় বিশেষ এলাকায় সর্তকতা জারি করা হয়। তিনি জানায় করিয়ারদ্বিয়া, পেকুয়া সদর, বারবাকিয়ার ফাঁসিয়াখালী, মৌলভীবাজার, টইটং হয়ে চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালীর পুইছড়ি, নাপুরা, প্রেমবাজার পর্যন্ত সর্তকতা দেয়া হয়েছে। ওই সব এলাকায় টেস্ট চলাকালিন সময়ে জনসাধারন ও যানবাহন সমুহকে সর্তকতার সহিত চলাচলের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

#################

পেকুয়ায় ঘরের ভিতরে বৃষ্টি পড়া বন্ধ করতে গিয়ে এক গৃহবধূর মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিনিধি.পেকুয়া:

পেকুয়ায় নিজের ঘরের ছাউনি মেরামত করতে গিয়ে এক গৃহবধূর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সদর ইউনিয়নের সিকদার পাড়া এলাকার মৃত ছাবের আহমদের বাড়ীতে। প্রত্যক্ষদূর্শী ও স্থানীয়সূত্রে জানা যায় গত ১৯ মে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত গুটি গুটি বৃষ্টি হলে মৃত ছাবের আহমদের স্ত্রী হামিদা বেগম (৩৫) বিকাল ৪ টায় নিজের ঘরের ছাউনি দিয়ে ভিতরে ফুটা ফুটা বৃষ্টি পড়লে ঘরের ছাউনিতে মেরামত করতে উঠে ঐ গৃহবধূ। এক সময় হঠাৎ ঘরের উপর থেকে নিচে পড়ে গিয়ে মুমুর্ষ হয়ে যায়। পরে বাড়ির লোকজন এগিয়ে এসে উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে। সে ৩ সন্তানের জননী বলে জানা গেছে। তার এই মর্মান্তিক মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

################

গণিতের পুন মূল্যায়নে পেকুয়া জি এম সি ইনষ্টিটিউশনে এ প্লাসের সংখ্যা বেড়েছে

নিজস্ব প্রতিনিধি.পেকুয়া:

সদ্য প্রকাশিত এস এস সি পরীক্ষার ফল প্রকাশের এক সপ্তাহ পর গণিত বিষয়ে সংশোধিত ফলাফল প্রকাশ করায় পেকুয়া জি এম সি ইনষ্টিটিউশনে এ প্লাসের সংখ্যা বেড়েছে। জানা যায় চলিত মাসের ১১ মে এস এস সি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড। তথ্য নিয়ে জানা গেছে গণিত বিষয়ের নৈব্যক্তিক গ ও ঘ সেটের প্রশ্নপত্রের উত্তর মূল্যায়নের সময় ক্রুটির কারণে সঠিক ফলাফল আসেনি। এতে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী গণিতে জিপিএ ৫ থেকে বঞ্চিত হয়েছে। গত ফলাফলে পেকুয়া জি এম সি ইনষ্টিটিউশন ১১ জন পরীক্ষার্থী এ প্লাস ফেলেও বোর্ড কর্তৃপক্ষ পুন মূল্যায়নের কারণে আরো ৫ জন পরীক্ষার্থী এ প্লাস পেয়েছে। বর্তমানে পেকুয়া জি এম সি ইনষ্টিটিউশনে এ প্লাসের সংখ্যা ১৬ জন। উপজেলায় পাসের হার ও এ প্লাসের দিক দিয়ে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। এদিকে সদ্য বোর্ড কর্তৃপক্ষ পুন মূল্যায়নে এ প্লাস অর্জন করা পেকুয়া জি এম সি ইনষ্টিটিউশনের পরীক্ষার্থী (এস এস সি) উত্তীর্ণ বাবর তার প্রতিক্রিয়ায় এ প্রতিবেদককে বলে সংশোধিত ফলাফলে গণিতে জিপিএ ৫ পেয়েছি। আমি প্রথম ফলাফলে এ পেয়ে দিশেহারা ছিলাম নিজেকে বুঝাতে পারিনি। আল্লাহ অশেষ রহমানে পুন মূল্যায়নে এ প্লাস পেয়ে আমার আশা পুন হওয়ায় আমার জীবনে সবচেয়ে বড় আনন্দের দিন। এদিকে এ বিষয়ে জানতে পেকুয়া জি এম সি ইনষ্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) জহির উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান বোর্ডে কোন অসুবিধার কারণে এ ঘটনা হতে পারে। তারপরও বোর্ড কর্তৃপক্ষ পুনমূল্যায়ন করে পরীক্ষার্থীদের ফলাফল পরিবর্তন করে দিচ্ছে। সেই সাথে আমার বিদ্যালয়ের ৫জন পরীক্ষার্থী পূর্বের ফলাফলে এ পেয়েছিল কিন্তু পুন মূল্যায়নের ফলে তারা এ প্লাস পেয়ে স্কুলের সুনাম বাড়িয়ে দিয়েছে তার জন্য আমি বোর্ড কর্তৃপক্ষের কাছে কৃতজ্ঞতা জানায়।

পাঠকের মতামত: