পেকুয়া প্রতিনিধি ::
পেকুয়ায় গুলি বর্ষন ও মৎস্য ঘের থেকে মাছ লুটের ঘটনায় থানায় মামলা রের্কড় হয়েছে। উপজেলা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহনেওয়াজ চৌধুরী বিটু বাদি হয়ে গত ১৮ জানুয়ারী পেকুয়া থানায় এ মামলাটি রুজু করেন। যার নং-১২/১৭। মামলায় সদর ইউনিয়নের পশ্চিম গোঁয়াখালী বকসুচৌকিদার পাড়ার মৃত.ফুরুক আহমদের ছেলে ফরহাদুল ইসলাম ছুট্টুকে প্রধান আসামি করা হয়। মামলার অপর আসামিরা হলেন একই এলাকার মৃত.নজির আহমদের ছেলে আব্দু রহিম, বিলহাসুরা এলাকার মোস্তাক আহমদের ছেলে জাহেদুল ইসলাম, মৃত.নুর আহমদের ছেলে হামিদ, মৃত.মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে আজিম, মৃত.শফিকুর রহমানের ছেলে শাহাব উদ্দিন, মৃত.আব্দু রহমানের ছেলে নেজাম উদ্দিন, মৃত.বশির আহমদের ছেলে মোছাদ্দেক, মাতবরপাড়া এলাকার নুরুল আজিমের ছেলে আসিফ সাজ্জাদ, জালিয়াখালী এলাকার মৃত.কালা চানের চার ছেলে বশির আহমদ, ফজল করিম, এশত আলী, গোলাম মৌলা, মৃত.নুরুল ইসলামের ছেলে আলতাফ, বশির আহমদের দু’ছেলে ফারুক, পারভেজ, ফজল করিমের ছেলে জাহেদ ও বশির আহমদের ছেলে বান্ডু। মামলা রের্কড়ের পর গতকাল বৃহষ্পতিবার পেকুয়া থানা পুলিশ দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে গুলি বর্ষন ও মাছ লুটের ঘটনায় সদর ইউনিয়নের বকসু চৌকিদার পাড়া, জালিয়াখালী, দক্ষিন বটতলীয়া পাড়া, মগকাটা ও ফুরুকের দ্বিয়া এলাকায় থম থমে অবস্থা বিরাজ করছে। স্থানীয়রা জানান মামলার খবর জানা জানি হলে ঘটনার সাথে জড়িতরা আরো বেশি তৎপর হয়েছে। তারা গত দু’দিন ধরে মৎস্য ঘেরের বিরোধকে কেন্দ্র করে এলাকায় পেশি শক্তি বলয় তৈরি করেছে। এলাকায় অস্ত্রধারীদের নিয়ে প্রতিনিয়ত মহড়া দিচ্ছে। মামলায় ক্ষিপ্ত হয়ে মৎস্য ঘেরের জমির মালিকদের হাকাবকা ও হুমকি দিচ্ছে বলে তারা জানিয়েছেন। মামলাসুত্রে জানা গেছে গত ১৭জানুয়ারী দুপুরে আসামিরা বকসুচৌকিদার পাড়া এলাকায় উপজেলা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহনেওয়াজ চৌধুরী বিটুসহ অপরাপর মালিকদের মৎস্য ঘেরে হানা দেয়। এ সময় তারা ঘের থেকে প্রায় সাত লাখ টাকার মাছ লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় মৎস্য ঘেরের মালিক ও কর্মচারীরা বাধা দেয়ার চেষ্টা করে। এতে আসামিরা দিন দুপুরে প্রকাশ্যে অন্তত অর্ধ শতাধিক রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। খবর পেয়ে পেকুয়া থানা পুলিশ তিন দফা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে বাদি পক্ষের অভিযোগ আসামিরা পুলিশের উপস্থিতিতে বেপরোয়া গুলি বর্ষন করে। মামলার বাদি উপজেলা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহনেওয়াজ চৌধুরী বিটু জানায় মৎস্য ঘেরের অধিকাংশ জমির মালিক আমিসহ আ’লীগ পরিবারের। ওই জায়গায় মিঠা পানির উৎসে মৎস্য চাষ করছি। আমরা ঘেরে লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছি। কিন্তু ছুট্টু গং ভাড়াটে দাগি সন্ত্রাসী ও অস্ত্রধারীদের নিয়ে আমাদের ঘেরে হানা দেয়। তারা আতংক ছড়াতে ব্যাপক গুলি বর্ষন করেছে। মাছ লুটসহ প্রায় ২০লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করেছে। উপজেলা আ’লীগ সহ-সভাপতি ফরিদুল আলম জানায় আমাদের লোকজন চরম নিরাপত্তাহীন হয়েছে। মামলা হওয়ার পর তারা এলাকায় বাড়ি বাড়িতে গিয়ে হাকাবকাসহ হুমকি দিচ্ছে। পুলিশ দ্রুত সময়ে এদের গ্রেফতার না করলে রক্তপাত সংঘটিত করতে পারে তারা। কক্সবাজার জেলা আ’লীগের সদস্য ও পেকুয়া উপজেলা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি এস.এম গিয়াস উদ্দিন জানায় সন্ত্রাসীরা আমাদের দলীয় নেতাকর্মীদের দিন দুপুরে গুলি বর্ষন করে ঘেরে হানা দিয়ে মাছ লুট করেছে। বিষয়টি জানার পর আমরা রাজনৈকিভাবে তাদের সহযোগিতা করতে তৎপর হই। জেলা আ’লীগও এ বিষয়ে অবগত আছে। মামলা হয়েছে। পুলিশের কাছ হবে আসামিদের দ্রুত সময়ে গ্রেফতার করা। পেকুয়া থানার অফিসার ইনর্চাজ জিয়া মো.মোস্তাফিজ ভুঁইয়া মামলা রের্কড়ের সত্যতা স্বীকার করে জানায় জড়িতদের গ্রেফতারের প্রচেষ্টা চলছে।
###########
পেকুয়ায় বখাটের হামলায় শিক্ষার্থীসহ আহত-৪
পেকুয়া প্রতিনিধি :::
পেকুয়ায় বখাটে হামলায় তিন স্কুল ছাত্রসহ চারজন গুরুতর আহত হয়েছে। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বৃহষ্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের সুতাবেপারী পাড়া এলাকায়। আহতরা হলেন ওই এলাকার হাজ¦ী গিয়াস উদ্দিনের দু’ছেলে আরমান (১৪), ইমরান (১২), ছৈয়দ আলমের ছেলে মো.রিয়াজ উদ্দিন (১২) ও আকতার হোসেনের ছেলে মো.মুরাদ (১২)। এদের মধ্যে আরমান পেকুয়া জিএমসির নবম শ্রেনীর ছাত্র। ইমরান ও মুরাদ একই স্কুলের সপ্তম শ্রেনীর ছাত্র। এ রির্পোট লেখা গতকাল বৃহষ্পতিবার (রাত ৮টা পর্যন্ত) সদর ইউনিয়নের সুতাবেপারী পাড়া এলাকায় চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় ঘটনার দিন বিকেলে তারা চৌমুহনী মডেল কেজি স্কুল সংলগ্ন মাঠ থেকে ফুটবল খেলা শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে সুতাবেপারীপাড়া-এবিসি সংযোগ সড়কের নুরুল হুদার বাড়ির সামনে পৌছলে পুর্ব থেকে ওতপেতে থাকা একই এলাকার বখাটে শাহজাহানের ছেলে শহিদুল ইসলাম, তার ভাই শওকত, শাহাব উদ্দিনের ছেলে আনিস, জালাল আহমদের ছেলে আব্দু রহিম, আব্দুল আজিজের ছেলে শাহজাহান ও শাহাব উদ্দিনসহ-৮-১০জন অতর্কিত লোহার রড ও হাতুড়ি দিয়ে নির্দয় পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় ঘটনার একদিন আগে বুধবার একই সময়ে ওই শিক্ষার্থীরা বারবাকিয়া সবজীবন পাড়া তাফসীরুল কোরান মাহফিলে যাচ্ছিলেন। এ সময় ওই বখাটেরা তাদের পথ রোধ করে মারধর করে। আহত আরমান, মুরাদ, রিয়াজ জানায় মাহফিলে যাওয়ার সময় তারা আমাদেরকে অহেতুক টিক্কারী করে। তারা বখাটে। প্রায় সময় স্কুল ও মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থীদের উক্ত্যক্ত করে। পরদিন এ ঘটনার জের ধরে পথে আমাদেরকে ফের হামলা চালিয়ে আহত করে। স্থানীয় ইউপি সদস্য মাহবুল করিম জানায় বিষয়টি আমাকে জানানো হয়েছে। ১ম দিনের ঘটনা মিমাংসার কথা ছিল। কিন্তু তারা পুনরায় মারধর করে আহত করে।
##############k
সভাপতি-আকতার, সম্পাদক মিনহাজ, সহ-সভাপতি-আজিজ
পেকুয়ায় বণিক সমিতির নির্বাচন সম্পন্ন
পেকুয়া প্রতিনিধি :::
পেকুয়ায় কবির আহমদ চৌধুরী বাজার (পেকুয়া বাজার) ব্যবসায়ী কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি.এর ৮ম ব্যবস্থাপনা নির্বাচন শেষ হয়েছে। গতকাল বৃহষ্পতিবার ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনে ভোট গ্রহন অনুষ্টিত হয়। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহন চলে। রাতে সর্বশেষ ভোট গননায় ফলাফলে পেকুয়া কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি.এর ৮ম ব্যবস্থাপনা নির্বাচনে প্রজাপতি প্রতিক নিয়ে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছে বর্তমান সভাপতি হাজ¦ী আকতার আহমদ। তার প্রাপ্ত ভোট ৮৭৩। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি পেকুয়া সমবায় কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি.এর সভাপতি মাষ্টার উদ্দিন (দোয়াত কলম) প্রতিক পেয়েছেন ৬৮৩ ভোট। সেক্রেটারী পদে বিজয়ী হয়েছেন হরিণ প্রতিকের প্রার্থী মো.মিনহাজ উদ্দিন। তার প্রাপ্ত ভোট ৮৭৫। তিনি দ্বিতীয় বারের মত নির্বাচিত। তার নিকটতম প্রার্থী হাজি¦ গিয়াস উদ্দিন (মাছ) প্রতিক পেয়েছেন ভোট ৬০২। সহ-সভাপতি পদে জয়ী পেয়েছেন আজিজুল হক। তিনি (হাঁস) প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ১০১০ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি মো.হোসেন প্রকাশ মাছন মিকার (গোলাপ ফুল) প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ৪৬৩ভোট। ডিরেক্টর পদে মো.শফি (ফুটবল) প্রতিক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রাপ্ত ভোট ৭৪০। এছাড়া ডিরেক্টর পদে দ্বিতীয় বারের মত নির্বাচিত হয়েছেন মো.শাহেদ ইকবাল। তার প্রাপ্ত ভোট ৬৫৫। একই পদে (কাঁঠাল) পদে বিজয়ী হয়েছেন রহিম উদ্দিন। তার প্রাপ্ত ভোট ৬৫৪। গতকাল বৃহষ্পতিবার পেকুয়া বাজার সমবায় কমিউনিটি সেন্টার (ঋনদান সমিতি সেন্টার) ভোট গ্রহন অনুষ্টিত হয়। ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনে প্রায় ১৭৬২জন ভোটার ছিলেন। এদের মধ্যে ভোট প্রয়োগ করেছেন….জন। নির্বাচন কমিশানার ছিলেন কক্সবাজার জেলা সহকারি সমবায় কর্মকর্তা মো.তাহের। সহকারি কমিশনার ছিলেন বারবাকিয়া ইউপি সদস্য এম.এনামুল হক ও ডা.বেলাল উদ্দিন।
পাঠকের মতামত: