ঢাকা,বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় এস.আলম গ্রুপের জমি দখলে নিতে ফের উত্তেজনা

dokholপেকুয়া প্রতিনিধি :::

পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের দক্ষিন মগনামা এলাকায় এস.আলম গ্রুপের জমি নিয়ে ফের উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। দখল-বেদখকে কেন্দ্র করে গত তিনদিন ধরে ওই ইউনিয়নের কালারপাড়া, কাকপাড়া ও ডলিন্নাপাড়া এলাকায় দু’পক্ষের মধ্যে মুখোমুখি অবস্থান তৈরি হয়েছে। খবর পেয়ে পেকুয়া থানা পুলিশ দফায় দফায় ওই স্থান পরিদর্শন করেছেন। উত্তেজনা প্রশমিত করতে পুলিশ মগনামায় টহল জোরদার করেছে। কালারপাড়া ও কাজিবাজারে গত তিনদিন ধরে পুলিশের অবস্থান নিশ্চিত করা হয়েছে। জমি দখলকে কেন্দ্র করে এস.আলম গ্রুপের জায়গা তদারকির দায়িত্বপ্রাপ্তদের সাথে স্থানীয় অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে সংঘর্ষের আশংকা দেখা দিয়েছে। স্থানীয়দের দাবি যেকোন মুর্হুতে এনিয়ে বড় ধরনের সংঘাত হতে পারে। জানা গেছে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুত উৎপাদনের জন্য এস.আলম গ্রুপ মগনামা ইউনিয়নে গত ২০১২সাল থেকে বিপুল জমি ক্রয় করেছেন। সরকারের সাথে যৌথ অংশীদারিত্বে বিদ্যুত উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপনের প্রক্রিয়া চুড়ান্ত পর্যায়ে। এসব জমির মধ্যে বর্ষায় চিংড়ি উৎপাদন ও শুস্ক মৌসুমে উৎপাদিত হচ্ছে লবন। চলতি বছরের লবন মৌসুম শুরু হচ্ছে। চাষিরা মাঠ প্রস্তুতির মাঠে নেমেছেন। এস.আলম গ্রুপের এসব জমি স্থানীয় তিনজন ব্যবসায়ীর অনুকুলে লাগিয়ত করেছেন বলে জানা গেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে স্থানীয় ইউপির চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ চৌধুরী ওয়াসিম, বিএনপি নেতা মাষ্টার রিদুওয়ানুল হক ও মগনামা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মো.ইউনুস চৌধুরী চলতি সনে লবন উৎপাদনের জন্য এসব জমি লাগিয়ত নিয়েছেন। জমি তারা বর্গা চাষিদের লাগিয়ত করেন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন সম্প্রতি জমি দখলে নিতে একটি সক্রিয় সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে। কালারপাড়া, শুদ্ধখালী, বেদেরবিলপাড়ার অন্তত ২০-৩০জনের ওই সিন্ডিকেটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মগনামা ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারন সম্পাদক রশিদ আহমদ। তাকে সার্বিক সহযোগিতা করছেন বিএনপির একটি অংশ। আ’লীগের একাংশ ও বিএনপির অপর অংশের সমন্বয়ে বর্তমানে চলছে জমি দখলের মহোৎসব। তারা লাঠি শোটা নিয়ে গত তিনদিন ধরে এস.আলম গ্রুপের জমিতে শক্তির বলয় তৈরি করেছে। চাষিদের ভীতি ও আতংক ছড়াতে তারা প্রতিনিয়ত স্বদলবল নিয়ে মহড়া দিচ্ছে এলাকায়। এ ব্যাপারে নাম প্রকাশ না করার শর্তে চাষিরা জানায় মাঠ প্রস্তুতিতে বাধা প্রদান করা হচ্ছে। জমিতে না নামতে বারন করা হচ্ছে। আমরা জমি লাগিয়ত নিয়েছি অনেক আগে থেকে চেয়ারম্যান ওয়াসিমের কাছ থেকে। ইউপি সদস্য খোরশেদ আলম, জাইদুল হক জানায় আমরা তাদেরকে অহেতুক শান্তি ভঙ্গ না করতে অনুরোধ জানিয়েছি। এস.আলমের জমি নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয় বিএনপির একটি অংশ দাবি করেছেন মাষ্টার রিদুওয়ানুল হক আমাদেরকে এস.আলমের জমি থেকে ১৩০কানি জমি লাগিয়ত করেছেন। এখন তিনি আমাদের সাথে শঠামির আশ্রয় নিয়েছেন। আমরা চেয়ারম্যান ওয়াসিমের লাগিয়ত জমিতে যাচ্ছিনা। যাচ্ছি রিদুওয়ান মাষ্টারের জমিতে। এ বিষয়ে জানতে মগনামা ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারন সম্পাদক রশিদ আহমদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়। সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেয়া যায়নি। মগনামা ইউপির চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ চৌধুরী ওয়াসিম জানায় জমির বিরোধ নিষ্পত্তি করতে এস.আলম গ্রুপ আমাদের নিয়ে বৈঠক করে। সেখানে কে কতটুকু জমি ভোগ করবে তা নির্ধারন হয়েছে। এখন যারা অনুপ্রবেশ করছে তারা চাঁদার জন্য করছে। আমরা প্রশাসনকে বলেছি। আইন শৃংখলা রক্ষায় পুলিশ নিয়মিত টহল দিচ্ছে।

###############

পেকুয়ায় ইসলামী ব্যাংকের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প

পেকুয়া প্রতিনিধি :::

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড পেকুয়া শাখার উদ্যেগে সম্পন্ন হয়েছে ‘ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ২০১৬’। এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ইসলামী ব্যাংক পেকুয়া শাখায় অনুষ্টিত হয়েছে। গতকাল ১৫নভেম্বর মঙ্গলবার এ কর্মসুচির শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। সকাল ৯টায় কনফারেন্স রুমে ইসলামী ব্যাংক পেকুয়া শাখার ব্যবস্থাপক মো.আবু জাফরের সভাপতিত্বে ওই আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন শীলখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক সমাজ সেবক জসিম উদ্দিন। ব্যাংক কর্মকর্তা মো.মুছার সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদ সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো.ইদ্রিস বাদশাহ, পেকুয়া বাজার ব্যবসায়ীক কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি.এর সেক্রেটারী মো.মিনহাজ উদ্দিন, সমাজ সেবক শাহ আলম, পেকুয়া উপজেলা ভারপ্রাপ্ত টিএইচও ডা.মুজিবুর রহমান, পেকুয়া মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসক জয়নাল আবেদীন, ইসলামী ব্যাংকের ম্যানেজার (অপারেশন) মো.রাশেদ চৌধুরী, পেকুয়া সদর ইউপির সদস্য মো.ইসমাইল সিকদার। ইসলামী ব্যাংক পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ওইদিন এ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ১ম বারের মত পেকুয়া শাখায় চালু করা হয়েছে। ‘আদর্শ গ্রাম বাংলাদেশের প্রান, স্বাস্থ্যই সকল সুখের মুল, স্বাস্থ্যই সম্পদ’ এ প্রতিপাদ্যের আলোকে ইসলামী ব্যাংক এর পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প সারা দেশে দরিদ্র জনগোষ্টির চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে এ ধরনের মহৎ উদ্যেগ গ্রহন করে। এর আওতায় পেকুয়ায় দিন ব্যাপি কর্মসুচি সম্পন্ন করে। ইসলামী ব্যাংক পেকুয়া শাখার ব্যবস্থাপক মো.আবু জাফর জানায় ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের মাধ্যমে একশত জন রোগিকে চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। মেডিসিন সরবরাহ ওই ক্যাম্প থেকে বিনামুল্যে দেয়া হচ্ছে। ইসলামী ব্যাংক ৫টি বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রশিক্ষন, ত্রান ও পুর্নবাসন ও পরিবেশ সংরক্ষন খাতকে আমরা সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছি। এ গুলোতে কাজ করছে ব্যাংক।

 

পাঠকের মতামত: