পেকুয়া প্রতিনিধি :::
পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের মটকাভাঙ্গা এলাকায় ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় ছোঁড়া ইটপাটকেলের আঘাতে উভয় পক্ষের নারীসহ অন্তত চার জন আহত হয়েছে। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করে। রবিবার (৯জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন মটকাভাঙ্গা এলাকার মনির আহমদের ছেলে মহিউদ্দিন (২৮), মাহবুবুল হকের স্ত্রী জেয়াসমিন আকতার (২৫), উজানটিয়া ইউনিয়নের পেকুয়ার চর এলাকার মাহাদ নুরের স্ত্রী রিনা আকতার (২৫) ও মৃত.বাচা মিয়ার স্ত্রী মাবিয়া বেগম (৮০)। এ সময় উত্তেজিত লোকজন মহিউদ্দিন ও বঙ্গবন্ধু সৈনিকলীগের ৬ নং ওর্য়াড় সভাপতি মাহবুবুল হকের বসতবাড়িতে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। বর্তমানে দু’পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোন সময় বড় ধরনের সংঘাতের আশংকা করেছেন স্থানীয়রা। স্থানীয়সুত্রে জানা গেছে মগনামা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী সারজিনা ইয়াসমিন কলিকে বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ার পথে প্রায় সময় উক্ত্যক্ত করাত মটকাভাঙ্গা এলাকার নুরুচ্ছফার ছেলে নবী হোসেন। সারজিনা ইয়াসমিন কলি জানায় বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ার সময় প্রায় সময় নবী হোসেন আমাকে বাজে প্রস্তাব দিত। তিনি বিষয়টি তার মাকে অবহিত করেন। রবিবার বিদ্যালয়ে যাওয়ার সময়ও ওই ব্যক্তি রাস্তায় উক্ত্যক্ত করে। সন্ধ্যায় নবী হোসেন প্রকাশ মুন্সী ও একই এলাকার আহমদ ছফার ছেলে আমজাদ বাড়িতে এসে আমাকে টানা হেচড়া করে। এ সময় বাড়িতে কেউ ছিলনা। সারজিনা ইয়াসমিনের মা ফাতেমা বেগম জানায় সন্ধ্যায় বখাটেরা আমার মেয়েকে টানা হেচড়া করলে তার আর্তচিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসে। এ সময় তারা দু’জন পালিয়ে যায়। তিনি জানান নবী হোসেন আমার মেয়েকে স্কুলে আসা যাওয়ার সময় নানা বাজে কথা বলে। বিষয়টি ইউপি সদস্য নুরুল আজিমসহ স্থানীয়দের অনেকবার জানিয়েছি। টানা হেচড়ার বিষয়টি নিয়ে নবী হোসের অভিভাবকদের বিচার দিতে গেলে তারা আমাদের উপর হামলা চালায়। ছোঁড়া ইটপাটকেলের আঘাতে তিনজন আহত হয়েছে। মাহবুবুল হক জানায় সারজিনা ইয়াসমিন কলি আমার ভাতিজি। তাকে প্রায় সময় নবী হোসেন উক্ত্যক্ত করত। বিষয়টি স্থানীয়দের অনেকবার জানানো হয়েছে। ঘটনার দিন নবী হোসেন ও আমজাদ কলির বাড়িতে গিয়ে তাকে টানা হেচড়া করে। নবী হোসেনে অভিভাবকদের বিচার দিতে গেলে তারা আমাদের উপর চড়াও হন। এক পর্যায়ে নবী হোসেন, আমজাদ, কুদ্দুস, গোলাম নবী, আবু তালেব, আবু ছালেক, নাজেম উদ্দিন, জসিম উদ্দিনসহ উত্তেজিত লোকজন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় তারা দু’টি বাড়িতে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। নবী হোসেনের পিতা নুরুচ্ছফা জানায় আমি ব্যস্ত আছি। পরে যোগাযোগ করা হবে বলে সংযোগ বিচ্ছন্ন করে দেন। ইউপি সদস্য নুরুল আজিম জানায় দু’পক্ষের মধ্যে সামান্য বাড়া বাড়ি হয়েছে। স্কুল ছাত্রীকে উক্ত্যক্ত করার বিষয়টি সঠিক নয়। মগনামা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আকতার আহমদ জানায় ইভটিজিংয়ের বিষয়টি স্কুল ছাত্রী আমাদের পুর্বে অবগত করেনি। আমাদের লিখিত কিংবা মৌখিকভাবে জানালে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমাকে এ বিষয়ে কেউ কোন সময় বলেনি। পেকুয়া থানার অফিসার ইনর্চাজ (তদন্ত) মনজুর কাদের মজুমদার জানায় এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাঠকের মতামত: