কক্সবাজারের পেকুয়ার সাবেকগুলদী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গোপনে ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন নিয়ে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে অভিভাবকসহ সচেতনমহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ফলে এলাকায় এ নিয়ে চরম উত্তেজনাকর পরিবেশ বিরাজ করছে। গোপনে বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করায় প্রতিকার চেয়ে অভিভাবক ও স্থানীয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগসূত্রে জানা যায় সদর ইউনিয়নের সাবেকগুলদী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন নিয়ে তফসীল অনুয়ায়ী ১৭-১০-১৬ ইং বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার কথা ছিল। কিন্তু সঠিক সময়ে প্রকাশ না করে বিদ্য্লায়ের প্রধান শিক্ষক কুচক্রী মহলের ইন্ধনে তফসীল গোপন করে। দু জন মহিলা এবং দুজন পুরুষ কে মনগড়া সিলেক্ট করে তাদের কে গোপনে ডেকে তাদের নামে ফরম তৈরি করে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার দপ্তরে পাঠিয়ে দেয়। পেকুয়া উপজেলার সব স্কুলের ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচন হলেও রহস্যজনক কারণে সাবেকগুলদী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটি হচ্ছে না কেন জানতে চাই অভিভাবকসমাজ। ইতিপূর্বে ওই প্রধান শিক্ষক গোপনে কয়েকবার কমিটি গঠন করেছিল। অভিভাবকদের দাবী বিজ্ঞপ্তি অনুয়ায়ী খসড়া ভোটার তালিকা বিদ্যালয়ের নোটিশ বোর্ডে, শ্রেণী কক্ষ ও বিদ্যালয়ের এলাকায় প্রকাশ ও ব্যাপকভাবে প্রচার করার নিয়ম থাকলেও এসব কিছু না মেনে গোপনে কমিটি করতে মেতে উঠেছেন প্রধান শিক্ষক মজিবুল হক। যা নিয়ে অভিভাবক ও প্রধান শিক্ষকের মধ্যে দ্বন্দ বিরাজ করছে। ফলে যেকোন মুহুর্তে বিদ্যালয়ে ঝুলতে পারে তালা। এমন আভাস পাওয়া গেছে। অভিযোগসূত্রে আরো জানা যায় তফসীলের মেয়াদ শেষ হওয়ার জন্য প্রধান শিক্ষক মজিবুল হক তার বিদ্যালয়ের পিয়ন হানিফকে দিয়ে নির্জন এলাকায় একটি দেওয়ালে তফসীলের বিজ্ঞপ্তি লাগিয়ে দেয়। যাতে প্রধান শিক্ষকের কোন ধরণের স্বাক্ষর ও তারিখ নেই। তা থেকে প্রধান শিক্ষকের নাটকীয়তার প্রমাণ মেলে। ওই প্রধান শিক্ষক তার মনমত ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করে মোটাংকের লেনদেনে মেতে উঠে। এতে করে সে নানা অনিয়ম দূর্ণীতি আশ্রয় নিয়েছে। প্রধান শিক্ষক মজিবুল হক ওই বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকে নানা অনিয়ম দূর্ণীতি করে যাচ্ছে। সরকার প্রদত্ত বিনা মূল্য বই বিতরণ, উপবৃত্তি বিতরণসহ নানা দিক দিয়ে নানা অজুহাত দেখিয়ে প্রশাসনকে ফাকি দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে বহু টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এছাড়াও ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আরো গুরুত্বর অভিযোগ রয়েছে। স্থাণীয় অভিভাবক নেজাম উদ্দিন, রেজাউল করিম, ফজল করিম, হেলাল উদ্দিন অভিযোগ করেন সাবেকগুলদি ষ্টশনে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচন নিয়ে কোন ধরণের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেনি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আর এ নিয়ে বির্তক সৃষ্টি হলে বিদ্যালয়ের ভাবমূতি ক্ষুণœ হতে পারে। আর এ নিয়ে বড় ধরণের অনাকাঙ্গিত ঘটনার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে বলে জানান।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মজিবুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি আরো জানান যথাসময়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে এবং যথাযথ নিয়মে প্রার্থীরা ফরম নিয়েছে। এখনো কোন কমিটি গোপনে গঠন করা হয়নি তবে যারা ফরম নিয়েছে তাদের ফরমগুলো উপজেলায় প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাসান মুরাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি আরো জানান বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখব।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়নাল আবদীনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা জানিয়ে তিনি বলেন বিষয়টি আমি দেখছি।
পাঠকের মতামত: