ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

জেলা পরিষদ নির্বাচন: পেকুয়া ৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য পদে কে শেষ হাসি হাসবেন! কঠোর নিরাপত্তায় নির্বাচন আজ!

pic-pkua-dis-elakএম.জুবাইদ. পেকুয়া:

কক্সবাজার জেলা পরিষদ নির্বাচনে পেকুয়া ৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য পদে কে শেষ হাসি হাসবেন এখন এটি দেখার বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। নির্বাচনের আগ পর্যন্ত প্রার্থীরা তাদের প্রচার প্রচারণা বাড়িয়ে দিয়েছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রার্থীরা চোখের ঘুম হারাম করে ভোটারদের মন জয় করা এবং ভোট প্রার্থনা করছিল। তবে জেলা পরিষদ নির্বাচন হওয়ায় এবার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কদর বেড়েছে। তবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সব প্রার্থীদের মন জয় করার জন্য ভোট দেবেন বলে আশা ছুটিয়ে দিচ্ছেন। আসলে কোন জনপ্রতিনিধি কোন প্রার্থীকে তাদের রায় টুকু দিবেন তা নির্ধারণ হবে ২৮ ডিসেম্বও আজ। অনুসন্ধানে দেখা যায় বর্তমান সরকার আমলেই কক্সবাজার জেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসীল ঘোষণা করে। এ আলোকে পেকুয়া উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন থেকে পেকুয়া সদর, বারবাকিয়া, টইটং, মগনামা, রাজাখালী, উজানটিয়া এ ৬টি ইউনিয়নকে নিয়ে গঠিত হয় জেলা পরিষদের ৪নং ওয়ার্ড়। আর এ আসনের সদস্য এবং সংরক্ষিত সদস্য পদে তফসীল অনুয়ায়ী প্রার্থীরা সঠিক সময়ে মনোনয়ন ফরম জমা দেন। যাচাই বাচাইরে মাধ্যমে ৭ জন প্রার্থী বৈধ হয়। যাচাই বাচাই শেষে জেলা পরিষদ নির্বাচনে সাধারন সদস্য ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্যদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে ১২ ডিসেম্বর সোমবার। ওইদিন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো.আলী হোসেন প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্ধ দেন। জেলা পরিষদ নির্বাচনে পেকুয়া উপজেলার পেকুয়া সদর, বারবাকিয়া, টৈটং, মগনামা, উজানটিয়া ও রাজাখালী ইউনিয়ন এ ৬ টি ইউনিয়নের সমন্বয়ে ৪নং ওয়ার্ড গঠিত হয়েছে। সাধারন সদস্য পদে এ ওয়ার্ড থেকে ১০ জন প্রার্থী সাধারন সদস্য পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। তিনজন প্রার্থী সংরক্ষিত ওয়ার্ডে সদস্য পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। বাছাইয়ের সময় সাধারন সদস্য পদে তিনজন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়। সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে একজন প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। ৪নং ওয়ার্ড থেকে ৭ জন সাধারন সদস্য পদপ্রার্থী ও ২ জন সংরক্ষিত ২নং ওয়ার্ড থেকে নারী প্রার্থী সহ ৯ জন প্রার্থী প্রতীক বরাদ্ধ পেয়েছেন। উপজেলার শিলখালী ইউনিয়ন পাশ^বর্তী চকরিয়া উপজেলার সাথে সংযুক্তি হয়েছে। ৪নং ওয়ার্ডে সাধারন সদস্য পদে যারা প্রতিক পেয়েছেন। এদের মধ্যে তারেক ছিদ্দিকী পেয়েছেন (তালা), জি এম আবুল কাশেম (ক্রিকেট ব্যাট), মেহেদী হাসান ফরায়েজী (অটোরিক্সা), জাহাঙ্গীর আলম (টিউবয়েল), আবু হেনা মোস্তফা কামাল চৌধুরী (ঘুড়ি), এটিএম জায়েদ মোর্শেদ (হাতি), রিয়াজ খান রাজু (সিলিং ফ্যান) প্রতীক বরাদ্ধ পেয়েছেন। সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ওয়াহিদুর রহমান ওয়ারেচির স্ত্রী ছৈয়দা নিগাত আমিন পেয়েছেন (বই)। অপর প্রার্থী আইনজীবি গিয়াসউদ্দিনের স্ত্রী ও কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য উম্মে কুলসুম মিনু পেয়েছেন (দোয়াত কলম) প্রতীক, জেলা মহিলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সম্পাদিকা প্রতীক আসমাউল হোসনা(ফুটবল)। পরে জাহাঙ্ঘীর আলম প্রকাশ বিডি আর জাহাঙ্গীর হাইকোটে রিট পিটিশান দায়ের করে প্রতীক বরাদ্দ নেন। ইতিমধ্যে প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার সাথে সাথে প্রার্থীরা প্রতীক নিয়ে প্রচারণায় নেমেছেন।তারা এক মহা ভোটযুদ্ধে অবতারণা করছেন। প্রার্থীরা এলাকায় গিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং ভোট প্রার্থনা করে নানা প্রতিশ্র“তি দিয়ে যাচ্ছেন। অনেকই এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন পেকুয়া উপজেলা পরিষদ প্রতিষ্টার পর এবারই প্রথম কক্সবাজার জেলা পরিষদের ৪ নং ওয়ার্ডে পেকুয়া নামক উপজেলার সদস্য নির্বাচিত হতে যাচ্ছে। উপজেলা প্রতিষ্টার এক যুগ পেরিয়ে যাওয়ার পর এবারই প্রথম পেকুয়ায় জেলা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হবে। শেষ পর্যন্ত পেকুয়াবাসী অপেক্ষার প্রহর গুনছে কে হবে জেলা পরিষদে পেকুয়ার অভিভাবক। ভোটরা এখন থেকে প্রার্থী বাচায় করতে শুরু করেছে কোন প্রার্থী যোগ্য এবং ত্যাগী তাকেই জেলা পরিষদের সদস্য হিসাবে বেচে নেমে। প্রার্থীদের মধ্যে সকলের ব্যক্তিগত ইমেজসহ পারিবারিক ইমেজও রয়েছে। তবে সচেতনমহল মনে করেন এ নির্বাচনে সবচেয়ে গুরুত্ব পাবে ভোট কেনাবেচা। তবে প্রার্থীদের মধ্যে বেশ কয়েকজন তারুণ্যের প্রতীক রয়েছেন। এ নির্বাচনে ভোটারা হয়তো তারুণ্যের দিকে দাবীত হচ্ছেন। জানাগেছে, ২৮ ডিসেম্বর আজ জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহন অনুষ্টিত হচ্ছে। এ নির্বাচনে ভোটার হচ্ছেন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা। তারাই প্রথম অনুষ্টিত এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীদের ভোট প্রয়োগ করে নির্বাচিত করবেন। তবে অনুসন্ধানে দেখা দিয়েছে সদস্য পদে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হতে যাচ্ছে ত্রিমুখী। তবে জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে জরিপে উঠে এসেছে আ’লীগ সমর্থিত জেলা আ’লীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক আবু হেনা মোস্তাফা কামাল(ঘুড়ি), উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম(টিউবয়েল), কক্সবাজার জেলা জজ কোর্টের আইনজীবি সহকারী ও পেকুয়া কো অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক তারেক ছিদ্দিকী(তালা)। তবে দু একদিন ধরে জাহাঙ্গীর আলম প্রকাশ বিডি আর জাহাঙ্গীর(টিফিন ক্যারিয়া), তারুণ্যর প্রতীক জায়েদ মোর্শেদের (হাতি) নাম শুনা যাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত আ’লীগ সমর্থিত জেলা আ’লীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক আবু হেনা মোস্তাফা কামাল(ঘুড়ি), উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম (টিউবয়েল) এ দুই জনের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বি হবে বলে জনপ্রতিনিধিদের মাঝে প্রকাশ পাচ্ছে। শেষ পর্যন্ত কে হবে পেকুয়া ৪ নং ওয়ার্ডের অভিভাবক?। পেকুয়ায় ৬টি ইউনিয়নের মোট ভোটার সংখ্যা ৮০ টি হলেও দূরভাগ্য চলতি বছরের ৩১ জুলাই সকালে উজানটিয়া ইউপির ৮ নং ওয়ার্ড সদস্য ওমর ফারুকের মৃত্যু হয়। কিন্তু মৃত্যুর ৫ মাস পূর্ণ হয়ে গেলেও এখনো ওই ওয়ার্ডে উপ নির্বাচন দেওয়ার মত কোন ধরণের কার্যক্রমই নেই প্রশাসনের। ফলে ভোট সংখ্যা ৭৯ টি হয়ে যায়। অপর দিকে সংরক্ষিত মহিলা ২ নং আসনে ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য হিসাবে জেলা আ’লীগের সদস্য উম্মে কুলসুম মিনু (দোয়াত কলম) এবং জেলা মহিলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সম্পাদিকা প্রতীক আসমাউল হোসনা(ফুটবল) এতে দ্বিমুখী প্রতিদ্ব্ন্দী হবে। গত ২৬ ডিসেম্বর সকালেইজ এম আবুুল কাসেম (ক্রিকেট ব্যাট) প্রতীকের প্রার্থী পেশীশক্তি এবং কালো টাকার নির্বাচন থেকে সরে দাড়িয়েছি। উপজেলা প্রশাসনসূত্রে জানা যায় এদিকে নির্বাচনকে ঘিরে জেলা রির্টানিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক আলী হোসেন পেকুয়া উপজেলা ৪ নং ওয়ার্ড নির্বাচন অনুষ্টানের জন্য পেকুয়া উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা জয়নাল আবদীন কে নির্বাচন কালিন সময়ে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রষ্ট হিসাবে নিয়োগ দিয়েছেন। নির্বাচন সুষ্ট ভাবে অনুষ্টানের লক্ষ্য আইনশৃঙষলা রক্ষারস্বার্থে এক প্লাল্টুন বিজিবি দিয়েছেন। ভোট কেন্দ্রে নিরাপত্তা দায়িত্বে থাকবেন বিজিবি ও থানা পুলিশ এবং আনচার ব্যাটেলিয়ান সদস্যরা। নির্বাচনের আগের দিন বিজিবি ও পুলিশ সদস্যরা টহল জোরধার করছেন। ভোট কেন্দ্রের আশে পাশ্বে যানচল সম্পন্ন নিষেধ করেন আইনশৃঙ্খলা বাহির্নী।

জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্রে জানিয়েছেন পেকুয়া উপজেলায় ২টি বুথে সকাল ৮ থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত গোপন ব্যালেটের মাধ্যমে ভোট প্রয়োগ করা হবে। তবে একটি মহিলা বুথ অপরটি পুরুষ বুথ। ভোট গ্রহণের পুস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

এ দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকত্র্ াজয়নাল আবদীন জানিয়েছেন আমাকে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রষ্ট এর দায়িত্ব দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মহোদয়। তবে আইনশূঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে কঠোর নিরাপত্তায় ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে।

পাঠকের মতামত: