ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়া মহাসড়কে ফিটনেস বিহীন বালুর ডাম্পার, ঘটছে দুর্ঘটনা

ডুলাহাজারা প্রতিনিধি, চকরিয়া :

মহাসড়কের কিনারায় বালুর স্তুপ করে ব্যবসা করায় চকরিয়ায় প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। এসব বালু পরিবহনে ব্যবহার হচ্ছে ফিটনেস বিহীন যানবাহন।

লাইসেন্স বিহীন চালকের বেপরোয়া বালুর গাড়ি চলাচলে ঘটছে দুর্ঘটনা আর ঝরছে তাজা প্রাণ। চলতি বছরের গত ২৭ এপ্রিল তারিখে খুটাখালীর নতুন মসজিদ এলাকায় বালুর স্তুপে আরিফুল ইসলাম নামের যুবক নিহত হয়। ৩ মার্চ ডুলাহাজারা কলেজ গেইটে বালুর ট্রাক ওভারটেক করতে গিয়ে টমটম-মোটর সাইকেল সংঘর্ষে ডুলাহাকারা কলেজের মেধাবী ছাত্র রিপন (১৮) নিহত হয়। বালুর গাড়ি চাপায় ৩০ মার্চ তারিখে মহাসড়কের মেধাকচ্ছপিয়ায় নিহত হয় ডুলাহাজারা উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ফলপ্রার্থী মোঃ রাজিব নামের যুবক। ডুলাহাজারা কলেজ সংলগ্ন মহাসড়কে এর আগে ২২ জানুয়ারী বেপরোয়া বালুর ডাম্পার হায়েস গাড়িকে ধাক্কা দিলে মোঃ আবদুল্লাহ্ (২৯) নামের যুবক ঘটনাস্থলে নিহত হয়। এসময় গুরুতর আহত হয়ে এক রিকসা চালক সে এখনো পঙ্গুত্ব জীবনযাপন করছে।

এভাবে পরপর বছর জুড়ে চকরিয়ার মহাসড়কে চলছে মৃত্যুর মিছিল। ডুলাহাজারা কলেজ গেইট ও খুটাখালীতে মহাসড়কের পাশে অবৈধ বালুর স্তুপ ও ফিটনেস বিহীন বালু পরিবহনে মর্মান্তিক দুর্ঘাটনা ঘটলেও রহস্যজনক করাণে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কোন প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে না। এদিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া উপজেলার খুটাখালীর নতুন মসজিদ, কক্সবাজার সদরের নতুন অফিস, ডুলাহাজারার পাগলীরবিল ও কলেজ গেইটে মহাসড়ক কিনারায় বালুর স্তুপ করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে কতিপয় বালু ব্যবসায়ীরা।

কলেজের পাশে বালুর স্তুপে শিক্ষার্থী চলাচলে চরম সমস্যার কথাও জানান ডুলাহাজারা কলেজের অধ্যক্ষ আলহাজ্জ্ব ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী। ফিটনেস বিহীন গাড়ি যোগে এসব বালু সরবরাহ হচ্ছে খুটাখালী ও ডুলাহাজারার বিভিন্ন বৈধ-অবৈধ বালু মহাল থেকে। খবর নিয়ে জানা গেছে, সদরের নতুন অফিস, খুটাখালী ছড়ার বলু মহাল, ডুলাহাজারার পাগলীরবিল, রংমহল, বগাই ছড়ি ও সাফারি পার্ক এলাকার বালু মহাল থেকে প্রতিদিন হাজারো ট্রাক বালু পরিবহন করা হচ্ছে। এসব বালু সরবরাহ কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে ফিটনেস বিহীন যানবাহন।

অভ্যন্তরিন সুত্রে জানা গেছে বালু পরিবহন কাজে ব্যবহার করা যানবাহনগুলোর কোন প্রকার লাইসেন্স, রোড় পারমিট, ইনসিউরেন্স ও চালকদের কোনপ্রকার বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। নাম না বলার শর্তে এক চালক বলেন, সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এসব অবৈধ ডাম্পার দিয়ে বালু সরবরাহ করা হচ্ছে। ফলে মহাসড়কে ঘটছে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা।

এব্যপারে মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক আলমগির হোসেন জানায়, কাগজপত্র সঠিক না পেলে কোন যানবাহনকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। স্থানীয় বালুর গাড়ীগুলো কয়েকটির বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। অবশিষ্ট বালু বহনকারী গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান চলবে বলেও তিনি জানান।

পাঠকের মতামত: