ঢাকা,সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়া রেডজোন এলাকায় মাঠে ৩ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট….

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::  কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্দেশনার সঙ্গে সমন্বয় রেখে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিতে চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ইতোমধ্যে দুইদফায় তিন সপ্তাহের জন্য রেডজোন ঘোষনা করা হয়েছে চকরিয়া পৌরসভা এলাকা এবং উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের (আংশিক) ২, ৩, ও ৮ নম্বর ওয়ার্ড এলাকাকে।

গত ৭ জুন মধ্যরাত ১২টার পর থেকে চকরিয়া পৌরসভা এলাকা এবং ডুলাহাজারা ইউনিয়নে রেডজোন ঘোষণাকৃত এলাকায় কার্যকর লকডাউন নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছেন চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও ইউএনও সৈয়দ সামসুল তাবরীজ এর নেতৃত্বে পুলিশ এবং আলাদাভাবে সেনাবাহিনী সদস্যরা টহল দল। পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তার জন্য বেশ কটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নিয়মিত দায়িত্ব পালন ও সচেতনামূলক প্রচারণা অব্যাহত রয়েছে।

২১ জুন দুই সপ্তাহের রেডজোন সময় শেষ হলেও উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে করোনা সংক্রমন প্রতিরোধ সংক্রান্ত সভার সিদ্বান্তের আলোকে ফের এক সপ্তাহের জন্য অর্থ্যাৎ আগামী ২৮ জুন পর্যন্ত উল্লেখিত এলাকায় রেডজোনের পরিধি বর্ধিত করা হয়।

শুরু থেকে করোনা সংক্রমণ থেকে সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিতে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সৈয়দ সামসুল তাবরীজ এর নেতৃত্বে থানা পুলিশ এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবক সদস্যরা চকরিয়া উপজেলার পৌর এলাকা এবং ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ২, ৩, ও ৮ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় লকডাউন কার্যকরে মাঠ তদারকি অব্যাহত রেখেছেন।

২০ জুন চকরিয়া উপজেলায় দ্বিতীয় দফায় রেডজোন কার্যক্রম বলবৎ ঘোষনার পর কক্সবাজার জেলা প্রশাসন থেকে একজন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটকে চকরিয়া উপজেলায় দায়িত্ব পালনের জন্য পাঠানো হয়। বর্তমানে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সৈয়দ সামসুল তাবরীজ ছাড়াও রেডজোন এলাকায় লকডাউন কার্যক্রম তদারকিতে মাঠে কাজ করছেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো.তানভীর হোসেন এবং জেলা প্রশাসন থেকে আগত নবাগত নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট বিধান কান্তি হালদার।

সর্বশেষ সোমবার চকরিয়া পৌর এলাকার রেডজোন এরিয়ায় সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিতে মাঠপর্যায়ে বেশ কটি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেছেন ৩ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট। ওইসময় সরকারি নির্দেশ লঙ্ঘনের মাধ্যমে দোকান খোলা রাখা এবং স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গের অভিযোগে একাধিক দোকানীকে ৭টি মামলায় ৯ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা করেন আদালত।

আগেরদিন রোববার চকরিয়া পৌর এলাকাসহ একাধিক স্থানে কোভিট-১৯ মোকাবেলায় সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করণে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। ওইসময় সরকারি নির্দেশনা লঙ্ঘনে টমটম,সিএনজি, মোটরসাইকেল চলাচলের অভিযোগে শতাধিক গাড়ির চাবি জব্দ ও রেডজোন লকডাউন বাস্তবায়নে আদালত ২০হাজার টাকা জরিমানা এবং ৫ দোকান সিলগালা করেছে।

পাঠকের মতামত: