ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার স্মরণ সভায় বক্তারা

সাংবাদিক নুরুল ইসলাম, এড. শাহনেওয়াজ জাহাঙ্গীর ও এড. ছালামতুল্লাহ সমাজকে কিছু দিতেই পৃথিবীতে এসেছিলেন

নিজস্ব প্রতিবেদক ::
‘মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম, এড. শাহনেওয়াজ আহমদ জাহাঙ্গীর ও এড. ছালামতুল্লাহ ছিলেন এমন ক’জন ক্ষণজন্মা মানুষ যারা শুধু সমাজকে দিতে এসেছিলেন। তারা নিরবে চলে গেছেন। এই সমাজ থেকে কিছু আশা করেননি। আমাদের সমাজও তাদের মূল্যায়ন করতে পারেনি।’

সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার আয়োজিত স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলে বক্তাগণ এমন মন্তব্য করেছেন। তারা বলেন, এই তিন গুণী ব্যক্তি কখনও নিজের রঙ-রূপ বদলাননি। তারা নিজেদের আদর্শ ও নীতির ওপর অবিচল থেকে এই পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন।

তাদের সততা ও নীতির কথা নতুন প্রজন্মের জানা দরকার ছিল। কিন্তু আমাদের সমাজে এত বিভক্তি হয়েছে যে, জানার সুযোগও এখন নাই।

সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার সভাপতি মমতাজ উদ্দিন বাহারীর সভাপতিত্বে কক্সবাজার প্রেসক্লাবের ৩ প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম, এড. শাহনেওয়াজ আহমদ জাহাঙ্গীর ও এড. ছালামতুল্লাহ স্মরণে আয়োজিত এই স্মরণ সভা রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকালে কক্সবাজার প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।

ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক আনছার হোসেনের সঞ্চালনায় হওয়া টানা ৪ ঘন্টার এই স্মরণ সভায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার সদর-রামু আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী বিষয়ক সম্পাদক লুৎফুর রহমান কাজল, কক্সবাজার বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্সের মহাপরিচালক এসএম সিরাজুল ইসলাম, কক্সবাজার প্রেসক্লাবের প্রতিষ্টাতা সদস্য আতাহার ইকবাল, সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার এর সাবেক সভাপতি মুহম্মদ নূরুল ইসলাম, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সহকারি মহাসচিব জিএএম আশেক উল্লাহ, কক্সবাজার আইন অঙ্গনের সিনিয়র আইনজীবী ও কবি এড. আকতার উদ্দিন হেলালী, আরেক সিনিয়র আইনজীবী এড. রমিজ আহমদ, সিনিয়র সাংবাদিক কামাল হোসেন আজাদ, দৈনিক ইনকিলাবের বিশেষ প্রতিনিধি শামসুল হক শারেক, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জেবর মুলক ও স্মরণীয় ব্যক্তিত্ব এড. ছালামতুল্লাহর ছোট ছেলে রিয়াজ মো. শাকিল।

দীর্ঘ এই স্মরণ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আইনজীবী ও সাংবাদিক এড. আবু সিদ্দিক ওসমানী, কবি ও লেখক রুহুল কাদের বাবুল, সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক হিমছড়ি সম্পাদক হাসানুর রশীদ, এনটিভি প্রতিনিধি ও সাংবাদিক ইউনিয়ন কল্যাণ তহবিলের আহবায়ক ইকরাম চৌধুরী টিপু, কবি ও গায়ক অধ্যাপক ফরিদুল আলম, ইউনিয়ন নির্বাহী কমিটির যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ুন সিকদার, দৈনিক সাগর দেশ সম্পাদক মোস্তফা সরওয়ার, বেসরকারি টেলিভিশন বাংলাভিশন প্রতিনিধি মোরশেদুর রহমান খোকন, দৈনিক মেহেদীর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক স ম ইকবাল বাহার চৌধুরী, নদী পরিব্রাজক দল কক্সবাজার জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম শ্রাবণ, তরুণ সমাজকর্মী ইলিয়াছ মিয়া।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক ইউনিয়ন কোষাধ্যক্ষ ছৈয়দ আলম, দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ প্রতিনিধি এএইচ সেলিম উল্লাহ, দৈনিক নয়াদিগন্ত জেলা প্রতিনিধি গোলাম আজম খান, কক্সবাজার নিউজ ডটকমের বার্তা সম্পাদক ইমাম খাইর, সিটিএন২৪ নির্বাহী সম্পাদক ইসলাম মাহমুদ, মোহাম্মদুর রহমান মাসুদ, নুরুল হক চকোরী, খোরশেদ হেলালী, আতিকুর রহমান মানিক। শুরুতে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করেন ইউনিয়ন সদস্য মাহবুবুর রহমান।

স্মরণ সভায় সম্মানিত অতিথি সাবেক সংসদ সদস্য লুৎফুর রহমান কাজল বলেন, সাংবাদিকতা হলো ঝুঁকিপূর্ণ পেশা। এখানে কিছু না পেলেও নিজের পেশার প্রতি সন্তুষ্ট থাকতে হয়।

তিনি বলেন, তিন প্রতীথযশা সাংবাদিক ছিলেন সার্বজনীন। তারা নিজেদের আদর্শ দিয়ে কক্সবাজারকে শান্তিতে রেখেছিলেন। আমরাও চাই কক্সবাজার শান্ত থাকুক, অসাম্প্রদায়িক থাকুক।

সম্মানিত অতিথি কক্সবাজার বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্সের মহাপরিচালক এসএম সিরাজুল ইসলাম বলেন, কক্সবাজার প্রেসক্লাবের মরহুম ৩ প্রতিষ্টাতা সদস্যের আদর্শ ও নীতি নতুন প্রজন্মকে জানানো দরকার। কিন্তু সমাজে যে হারে বিভক্তি ছড়িয়ে পড়ছে তাতে সেই সুযোগও হারিয়ে যাচ্ছে।

কক্সবাজার প্রেসক্লাবের অন্যতম প্রতিষ্টাতা সদস্য আতাহার ইকবাল বলেন, ওনারা (৩ মরহুম সাংবাদিক) যে সততা নিয়ে কাজ করেছেন তা বর্তমানের সাংবাদিকদের মাঝে অনুপস্থিত।

তিনি মনে করেন, তাদের সেই সততা সাংবাাদিকদের মাঝে পূণঃপ্রতিষ্টা করতে হবে।

স্মরণ সভায় মরহুম মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম, এড. শাহনেওয়াজ আহমদ জাহাঙ্গীর ও এড. ছালামতুল্লাহ ছাড়াও প্রয়াত অন্য ৩ প্রতিষ্টাতা সদস্য শামসুল ইসলাম, পরিমল চন্দ্র পাল ও শাহাবউদ্দিন চৌধুরী এবং করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারি সাংবাদিক আবদুল মোনায়েম খান ও নজরুল ইসলাম বকসীকেও স্মরণ করা হয়।

সভা শেষে মরহুম সাংবাদিকদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন কক্সবাজার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দান জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আবদুল কাইয়ুম।

পাঠকের মতামত: