ঢাকা,মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা : করোনাকালীন ৪০ পশুপাখির জন্ম

বিনোদন ডেস্ক ::
রোদের তাপ কমতেই বেশ চঞ্চল হয়ে উঠেছে ময়ূরগুলো। খাঁচার মধ্যে ছুটোছুটি করে খেলায় মেতে উঠে। ময়ূরের খেলা দেখে উপস্থিত দর্শকরাও খাঁচার বাইর থেকে ছবি বা সেলফি তুলতে ব্যস্ত। বাবা-মায়ের সাথে আসা শিশুরা বাইরে থেকে দুষ্টুমি করছে ময়ূরের সাথে। খাঁচা দেখেই বুঝা যাচ্ছে বেড়েছে ময়ূরের সংখ্যা। ছোট বড় মিলে নয়টা ময়ূর রয়েছে চিড়িয়াখানার এ খাঁচায়।

জানা যায় চিড়িয়াখানায় প্রথম দিকে মাত্র তিনটি ময়ূর ছিল। বর্তমানে এর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯টি। শুধু ময়ূরই নয়, করোনাভাইরাসের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত চিড়িয়াখানা বন্ধ থাকায় পশুপাখিদের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এসময় চিড়িয়াখানায় বেশ কিছু প্রাণীর ঘরে নতুন অতিথি জন্ম নিয়েছে। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বাঘ, গোড়া, হরিণ, গয়াল, বানর, সাপ ও ময়ূরসহ প্রায় ২৫ টির বেশি পাখির ছানা। এরমধ্যে আবারও নতুন অতিথির অপেক্ষায় রয়েছে জেব্রা, গয়াল, সাম্বার হরিণ।

চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ চকরিয়া নিউজকে জানায়, করোনার মধ্যে ১৬ মাসে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় ৪০টির বেশি পশুপাখির জন্ম হয়েছে ও ২২টি সাপের বাচ্চা ফুটেছে। এরমধ্যে বেশিরভাগই পাখি। ১৬ মাসে ১০টা বিদেশি টিয়ে পাখির ছানা জন্ম নিয়েছে। চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ব্যবস্থাপনা কমিটির সাবেক সদস্য সচিব রুহুল আমীন বলেন, ২০২০ সালের মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে চিড়িয়াখানা বন্ধ হয়ে যায়। এরমধ্যে অল্প কয়েক দিনের জন্য একবার খোলাও হয়েছে। তবে ২০২০ সালের মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে ২০২১ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত চিড়িয়াখানায় বেশ কিছু প্রাণীর ঘরে নতুন অতিথি এসেছে। এরমধ্যে বাঘ শাবক জন্ম নিয়েছে পাঁচটি, একটি গয়াল, একটি ঘোড়া, ছয়টি চিত্রা হরিণ, দুটি মায়া হরিণ, একটি সাম্বার হরিণ, ২২টি অজগরের বাচ্চা, দুটি বানর, পাঁচটি ময়ূর, একটি সজারু, ১০টি টিয়াপাখি, একটি ইন্দোনেশিয়ার মুরগি ও চারটি ককাটিয়েল পাখি।

সংশ্লিষ্টদের দেওয়া তথ্যমতে, আগে চিড়িয়াখানায় বাঘ ছিল দুটি। বর্তমানে বিরল সাদা বাঘসহ ছোট-বড় মিলিয়ে নয়টি বাঘ রয়েছে। শেষ বাঘের বাচ্চার নাম রাখা হয়েছে জো বাইডেন। একজনের নাম রাখা হয়েছে করোনা, বাংলাদেশে বিলুপ্ত প্রায় সাম্বার হরিণের একটি শাবক জন্ম নিয়েছে। এ নিয়ে চিড়িয়াখানায় সাম্বার হরিণ শাবকের সংখ্যা পাঁচটি।

চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর ডা. মো. শাহাদাত হোসেন শুভ চকরিয়া নিউজকে বলেন, করোনার বন্ধে চিড়িয়াখানায় নিরিবিলি পরিবেশ ছিল। এটি প্রাণীর জন্য অনুকূল পরিবেশ। এসময় চিড়িয়াখানার অবকাঠামোগত উন্নয়ন করে নতুন রূপে সাজানো হয়েছে। উপযুক্ত পরিবেশ পাওয়ায় অনেকগুলো প্রাণীও জন্ম নিয়েছে। তাই চিড়িয়াখানায় প্রাণীর সংখ্যা বেড়েছে।

পাঠকের মতামত: