ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

চকরিয়ায় বদরখালী খাদ্য গুদাম অবশেষে ৩০বছর পর চালু হচ্ছে, কেটে যাবে সংকট

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :: প্রায় ৩০বছর ধরে অযত্ন অবহেলায় পড়েথাকা কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার উপকূলীয় জনপদের বদরখালী খাদ্যগুদাম অবশেষে চালু হচ্ছে। ইতোমধ্যে খাদ্য মন্ত্রনালয়ের অর্থবরাদ্দের বিপরীতে দুইটি পরিত্যক্ত খাদ্য গুদামের মধ্যে একটির সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। চলতিবছরের ডিসেম্বরের মধ্যে এটির সংস্কার কাজ সম্পন্ন হবে এমন আশা দেখছেন খাদ্য বিভাগের সংশ্লিষ্টরা। এরপর এটি চালু হলে চকরিয়া উপজেলার উপকুলীয় জনপদের সাতটি ইউনিয়নের পাশাপাশি মহেশখালী এবং কুতুবদিয়া উপজেলার সরকারি খাদ্য সহায়তা মজুদ ও সরবরাহ করা যাবে।

সূত্রে জানা গেছে, ১৯৬৫ সালের দিকে চকরিয়ার উপকূলীয় ইউনিয়নসহ মহেশখালী ও কুতুবদিয়ার খাদ্য সরবরাহ করার জন্য প্রতিটি ৫‘শ টন করে ১ হাজার টন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ২টি খাদ্য গুদাম নির্মাণ করা হয়েছিল। এরপর থেকে এখানে সরকারি খাদ্য সামগ্রী মজুত রাখা হত। ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের কারণে এ ২টি খাদ্য গুদামে রক্ষিত লবণ ও খাদ্য সামগ্রী নষ্ট হয়ে যায়। পরে খাদ্য বিভাগ এ ২টি গুদাম আর ব্যবহার করেনি। ফলে খাদ্য গুদাম দুটি ব্যবহার অনুপযোগি হয়ে পড়ে।

চকরিয়া উপজেলার চিরিংগা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আবদুল হাই বলেন, প্রস্তাবিত মাতামুহুরী উপজেলার কার্যক্রম শুরু হলে উপকূলের ৭টি ইউনিয়নসহ পেকুয়া উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের জন্য সরকারি ভাবে বরাদ্দ দেয়া খাদ্য সামগ্রী এখানেই মজুত করা হবে। তবে ২০০৪সালে পেকুয়া উপজেলা ঘোষণা হলেও এখনো পর্যন্ত সেখানে কোন খাদ্য গুদাম নির্মাণের মত জায়গা খুঁজে পাওয়া যায়নি। ফলে বদরখালীর এ খাদ্য গুদামটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, বদরখালীতে দুইটি খাদ্য গুদাম এক সাথে নির্মাণ করা হলেও একটিতে উপকূলীয় এলাকার উৎপাদিত লবণ সরকারি ভাবে ক্রয় করে সংরক্ষণ করা হতো। ফলে ওই গুদামটি একেবারেই ব্যবহারে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ১.৮০ একর জমির উপর নির্মিত এ দুটি গুদাম ৩০ বছর ধরে ব্যবহারহীনভাবে পড়ে থাকায় অনেকটা ভূতুড়ে পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল। পরে খাদ্য বিভাগ ২টি গুদামের মধ্যে ১টি সংস্কারের কাজ শুরু করেছে। একই সাথে অফিস ও স্টাফ কোয়ার্টার নির্মাণের কাজও চলছে।

এ খাদ্য গুদামটি চালু হলে চকরিয়া উপজেলার উপকূলীয় ৭ ইউনিয়ন ও পেকুয়া উপজেলার ৭ ইউনিয়নের ভিজিডি ও কাবিখার গম চাল মজুত করতে আর কোন সংকট থাকবে না। এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের নামে বরাদ্দকৃত খাদ্য সামগ্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে অর্থেরও সাশ্রয় হবে। ##

 

পাঠকের মতামত: