ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

জেলায় পাহাড়ি ঢল ও জোয়ারের পানিতে বিপর্যস্ত চিংড়ি ঘের

নিজস্ব প্রতিবেদক :: পাহাড়ি ঢল ও কয়েক দফা অস্বাভাবিক জোয়ারের কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কক্সবাজারের চিংড়ি চাষ। ইতিমধ্যে মহেশখালী, চকরিয়া-পেকুয়া, কুতুবদিয়ায় অন্তত শতাধিক চিংড়ি প্রজেক্ট পাহাড়ি ঢল ও জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে। ফলে হতাশ হয়ে পড়েছেন চিংড়ি চাষীরা। টানা বৃষ্টিপাত,পাহাড়ি ঢল ও অস্বাভাবিক জোয়ারের কারণে কক্সবাজারের শতাধিক চিংড়ি প্রজেক্ট ভেসে গেছে। নার্সারি করা চিংড়ি পোনা ভেসে যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন চাষীরা। এই মুহূর্তে সরকারি সহযোগিতা ছাড়া চিংড়ির চাষ টিকিয়ে রাখা কোন মতেই সম্ভব নয় বলে জানালেন চাষীরা। কক্সবাজার জেলা মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায় চলতি মৌসুমে কক্সবাজার জেলায় অন্তত ৬৫ হাজার একর জমিতে চিংড়ি চাষ হচ্ছে।

প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ইতিমধ্যে প্রজেক্ট ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উৎপাদনে কিছুটা পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছেন জেলা মৎস অফিস। মহেশখালী উপজেলার ব্যবসায়ী আনসারুল করিম রুমি জানিয়েছেন তিনটি প্রজেক্টে দু’দফায় প্রায় ৭০ লাখ পোনা নার্সারি করেছিলাম। পাহাড়ি ঢল এবং অস্বাভাবিক জোয়ারের পানির কারণে সবকটি এখন ভেসে গেছে। এখন নতুনভাবে পোনা নার্সারি করা ছাড়া বিকল্প নেই। বর্তমানে হ?্যাচারী গুলিতে কোন পোনা নেই। এখন আমরা কিভাবে নার্সারি করব তা ভেবে পাচ্ছিনা।

স্থানীয়ভাবে যা পোনা সংগ্রহ হয় তার উপরেই নির্ভর করে আগামী দিন চালিয়ে যেতে হবে। এই সময়ে অন্তত ৩০ শতাংশ মূল টাকা ও উঠে আসার কথা কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আমাদের সমস্ত পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে। চকরিয়ার বদরখালী ইউনিয়নের চিংড়ি চাষী বাবুল আহমেদ জানান এই এলাকার সবকটি চিংড়ি প্রজেক্ট এখন পানির নিচে। আমরা কোন কূলকিনারা পাচ্ছিনা। কোটি কোটি টাকা পুঁজি বিনিয়োগ করে এখন সর্বস্বান্ত হওয়ার উপক্রম হয়েছে। খুব ধ্রুত প্রজেক্টে পোনা ছাড়তে না পারলে সমস্ত পুঁজি লোকসান যাবে। যার ফলে আগামী মৌসুমে চাষ করতে পারব কিনা সন্দেহ আছে।

উপকূলীয় এলাকার অন্যতম চিংড়ি ব্যবসায়ী সরওয়ার আজিম চকরিয়া নিউজকে জানিয়েছেন গত মাসেই ৪টি প্রজেক্টে অন্তত ১ কোটি টাকার পোনা নার্সারি করেছিলাম। সবই ভেসে গেছে। এখন যে ঋণ হয়েছে তা কিভাবে পরিশোধ করব তা নিয়ে চিন্তায় আছি। আমাদের প্রয়োজন যেভাবেই হোক সরকারের পক্ষ থেকে পোনা নার্সারি করার সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া। না হয় ঋণ পরিশোধ করা আমাদের পক্ষে সম্ভব হবে না। আমরা এখন অসহায় জীবন যাপন করছি।

কক্সবাজার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম খালেকুজ্জামান চকরিয়া নিউজকে বলেন, চিংড়ি চাষীদের প্রতি আমাদের দৃস্টি রয়েছে। কোন সমস্যা হলে আমরা পরামর্শ ও প্রয়োজনীয় সহযোগীতা করতে প্রস্তুত রয়েছি।

পাঠকের মতামত: